Center For Research In Indo

বিএনপি-জামাত মিত্রতায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কোনদিকে ?

পূর্ণিমা নস্কর

বাংলাদেশের রাজনীতিতে খুবই স্বাভাবিকভাবে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামি লিগের মতোই বিএনপির নামও সমভাবে উচ্চারিত হয়। একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে (২০১৩ সালে) যখন এদেশের সর্বস্তরের মানুষসহ দেশ-বিদেশের মাটিতে পরিচালিত হওয়া বিভিন্ন ধরণের আলোচনা ও জনমানসে আশার সঞ্চার হয় তখন বিএনপির মতো একটি বড় দলের আচরণ, নেতৃবৃন্দের কথাবার্তা, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অবস্থান দেখে সাধারণ মানুষ বেশ বিস্মিত হয়। তাদের এই বিস্ময়ের প্রেক্ষাপট অনুসন্ধান করতে হবে জিয়াউর রহমানের সময়কাল থেকেই। ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসেই সশস্ত্র সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর সরকারের পতনের পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কয়েক দফা সামরিক অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের পর নভেম্বর মাসে সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল (পরবর্তীকালে লেঃ জেনারেল) জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। দেশে গণতন্ত্র রক্ষার নামে প্রহসনমূলক গণভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি /বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর) গঠন করে সামরিক শাসনের সূচনা করেন।“১ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জিয়াউর রহমান সামরিকায়ণের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি আইনের সুযোগ ও ক্ষমতাবলে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের চেতনা ও আদর্শকে ধুলিসাৎ করে পাকিস্তানি আদর্শ এবং ধ্যান-ধারণার পুনঃপ্রবর্তন করেন। তাঁর দ্বারা গ্রহণ করা প্রথম পদক্ষেপটি ছিল – বাংলাদেশে উদার প্রগতিশীল রাজনীতির বিকাশের পরিপন্থী ও দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলামির পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, জামাত-ই-ইসলামি ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোরতর বিরোধী ও একটি ইসলামি মৌলবাদী দল। আর জামাত-ই-ইসলামি দলের অন্যতম নেতা গোলাম আজমকে (১৯৭২ সালে যার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়) রক্ষা করার মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের শত্রুকেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । আসলে জামাত-ই-ইসলামি মৌলিকভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের সামরিকীকরণের বিরোধিতা করেনি। জামাত-ই-ইসলামির সাথে আমলাতন্ত্রের শ্রেণীগত কোন পার্থক্য ছিল না। ফলে ১৯৭৫ সালের পট পরিবর্তনের পর, শেখ মুজিবর রহমানের পরবর্তী শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান তাঁর ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী করার জন্য জামাত-ই-ইসলামি দলের বিরোধিতা না করে তাদের সমর্থনের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের অভিমুখে। এটাই পাকিস্তানপন্থী ইসলামি জাতীয়তা । ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক শ্লোগানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা জামাত-ই-ইসলামি নামক রাজনৈতিক সংগঠনটির প্রতি জিয়াউর রহমান এতটাই মোহাবিষ্ট হয়েছিলেন যে, তিনি ইসলামি সাইমুন (বাতাস) কে দৃঢ়ভাবে বজায় রাখার জন্য সংবিধান সংশোধন আইন পাশ করেন। ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল পঞ্চম সংশোধন আইন পাশ হয়। পঞ্চম সংশোধনীতেই সংবিধানের প্রারম্ভে “‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ বাক্যটি সংযুক্ত করেন। এব্যতীত দেশের নাগরিকগণ ‘বাংলাদেশী’ হিসেবে পরিচিত হবেন বলে ঘোষণা করা হয়। ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাসকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। সংবিধানের অন্যান্য মূলনীতির মধ্যে সমাজতন্ত্রকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচার অর্থে গ্রহণ করা হয়। আর মৌলিক অধিকারসমূহ বলবৎকরণের অধিকার বা এক্তিয়ার হাইকোর্ট বিভাগের ওপর ন্যস্ত করা হয়। একদলীয় ব্যবস্থা রহিত করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতি বহাল রাখা হয়।”২ সুতরাং, বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীটিই বাংলাদেশকে সহজেই ইসলামি রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হওয়ার পথকে প্রশস্ত করে দিয়েছিল। জিয়াউর রহমান মুজিব আমলের সংবিধানকে তছনছ করে দেন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ত্রিশ লক্ষ বাঙালির আত্মত্যাগের বিষয়টিকেও গুরুত্বহীন প্রমাণিত করে দিলেন। আসলে ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের প্রশ্রয়ে আত্মপ্রকাশ করা ঘাতক দালাল জামাত-ই-ইসলামি ও তাদের বাহিনী রাজাকার আলবদররা বাংলাদেশের মাটিতে জেঁকে বসেন। ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি জামাত সামরিক সরকারের আশীর্বাদে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হয় এবং রাজনৈতিক দল করার অনুমতিও লাভ করে। এসময় খুব স্বাভাবিকভাবেই আশা করা যায়নি যে, জামাতীরা তাদের অতীত ভূমিকার জন্য অনুতপ্ত হবে। কিন্তু তারা উল্টে ঘোষণা করলো –‘একাত্তরে আমরা যা করেছি ঠিকই করেছি।’৩ আর এই অবস্থায় বিএনপি-জামাত সমঝোতা যে ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিতকে নড়বড়ে করে দেবে – তা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশের সামরিক শাসনকালের প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে বিএনপি-জামাত সমঝোতা, বন্ধুত্বই মুজিব পরবর্তী বাংলাদেশী সমাজকে পুনরায় পাকিস্তানিকরণের পথকে আরও সহজ করে দিয়েছিল। বাংলাদেশী সমাজে এর প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যায় এইভাবে – জামাতীয়দের দৃষ্টিতে রবীন্দ্রনাথের মতো বিশ্বকবি, ‘বিজাতীয়, বিধর্মী কবি হিসেবে আখ্যায়িত। রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক রচিত গান, ‘আমার সোনার বাংলা’ তথা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতকে বাতিল করার প্রস্তাব বাংলাদেশের সমাজে উচ্চারিত হয়। পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ বাতিল হয়। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বাংলাদেশে পূর্বতন সামরিক শাসন বজায় থাকল পরবর্তী শাসক এরশাদের হাত ধরে। অর্থাৎ জিয়াউর রহমানের আমলে ইসলামিকরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়, পরবর্তী শাসক, হুসেইন মহম্মদ এরশাদের আমলে (১৯৮২-১৯৯০) তা পূর্ণতা লাভ করে। তিনি বাংলাদেশে কোরাণ ও সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন গ্রহণ না করার কথা ঘোষণা করেন। প্রতি শুক্রবার এক এক মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কথা বলতে থাকেন। এছাড়া পাকিস্তানপন্থী পীরদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, কওমী মাদ্রাসার পুনঃপ্রতিষ্ঠা – এসব কিছুই জামাতীদের মনোভাবকে সমর্থন করারই নামান্তর। এপ্রসঙ্গে আরও একটি ঘটনার কথা বলা যায়। সেটি হল –“১৯৮৭ সালে মে-জুন মাসে ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, অত্যাচার ও লুটপাট সংঘটিত হয়। বায়তুল মোকারম মসজিদের (জাতীয় মসজিদ) মুসল্লিদের সভায় তখন মৌলবাদী জামাত নেতা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ঘোষণা করেছিলেন, দিল্লি, মিরাটসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসলমান ভাইদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে।”৪ এসব কিছু থেকে একথা বলা যায় যে, এরশাদ তাঁর পূর্ববর্তী শাসকের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন এবং তিনিও জামাত-ই-ইসলামি দলকে বাংলাদেশের মাটিতে তাদের শিকড় শক্ত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আর তাঁর এই মানসিকতার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছিল “১৯৮৮ সালের জুন মাসে। সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর দ্বারা রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে।”৫ আর এটি ছিল এদেশে ইসলামিকরণ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত রূপ এবং জামাতীদের সুপ্ত বাসনার পূর্ণ প্রতিবিম্ব। অতএব ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সময়টুকুকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীকাল বললে ভুল হবে না। কেননা সামরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রথম থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের অবস্থান রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সুদৃঢ় করেছেন। জিয়াউর রহমান এধারা শুরু করেছিলেন এবং এরশাদ তা করেছিলেন সংহত। তাইতো ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, যাদের বিচার হওয়ার কথা ছিল যুদ্ধাপরাধী হিসেবে (জামাত নেতা গোলাম আজম সহ প্রমুখ) তারাই দেশের কর্ণধার হিসেবে মর্যাদা পেয়েছেন। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের একযুগের শাসন, বাংলাদেশে বকলমে পাকিস্তানি শাসনকে শুধু প্রজ্বলিত রাখেনি; সেই শিখাকে অকম্পিত রাখার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়। এরশাদের পতনের পর জিয়া পত্নী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসেন। তিনিও তাঁদের থেকে ব্যতিক্রমী ছিলেন না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার সামনে জেনারেল জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। তাঁর রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক চিন্তা জিয়াউর রহমান থেকে ভিন্ন হওয়ার কথা নয়, কারণ তিনি তাঁরই উত্তরসূরি। ২০০১ সালে সামরিক-বেসামরিক আমলারা জোটবদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামাতকে ক্ষমতায় আনতে সাহায্য করে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকে। এসময় স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয় এবং এই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শের প্রতি অবজ্ঞা করা হয়। শুধু তাই নয়, এই সময়কালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস ও দুর্নীতির প্রসার ঘটার সাথে সাথে শুরু হয় এথনিক ক্লিঞ্জিং (ethnic cleansing)। শুরু হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদকে সমূলে উৎপাটিত করার কাজ। খালেদা জিয়ার শাসনকাল বাংলাদেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় বললেও ভুল হবে না। এসময়কালে বাংলাদেশ যে রাজনীতি ও সরকারি মিথ্যাচার প্রত্যক্ষ করল তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না। এপ্রসঙ্গে আওয়ামি লিগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর মতামতকে স্মরণ করা যায়। তিনি বেগম খালেদা জিয়াকে ‘জামায়াতের মহিলা আমির’৬ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বিএনপি আসলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিজেদের ইচ্ছেমতো দাবিদাওয়া অর্জন করার জন্যই জামাতের সঙ্গে সমঝোতা করেছে। বিএনপির রাজনৈতিক ভাবনায় জামাত ব্যতীত আর অন্য কিছু ছিল না। বিএনপি মনে করেছে যে, জামাতকে সঙ্গে রাখা গেলে জামাত-শিবিরের জঙ্গি কর্মী বাহিনীকে পাওয়া যাবে, এর সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মীরা তো আছেই। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে এদেরকে মাঠে নামাতে পারলেই কেল্লা ফতে! জামাত যেহেতু যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে আছে, তাই তারা সবসময় রাজনীতির ময়দানে বিরাজমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়টি বিএনপি মোটেও বিবেচনায় নিতে চায় না। কেননা, বিএনপির জন্মই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারীদের নিয়ে। বিএনপির কাছে তাই কখনই মুক্তিযুদ্ধ জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ মর্যাদার বিষয় হিসেবে বিবেচিত ছিল না, বরং মুক্তিযুদ্ধকে বিএনপি দখল করে সেটির ইতিহাস নিজেদের মতো করে লিখতে চেষ্টা করেছে, জয় বাংলা শ্লোগানকে বাদ দিয়ে জিন্দাবাদ ধ্বনি আমদানি করেছে। এক বিকৃত ইতিহাসের রাজনীতি নিয়ে বিএনপি চলেছে; সঙ্গে রেখেছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি জামাতকে। জামাতের একাত্তরের ভূমিকাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়ে চলেছে, তাদের নানা সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চলেছে। এসমস্ত কিছু থেকেই একথা বলা যায় যে, বিএনপির কাছে তাদের রাজনীতিই মুখ্য, সামরিকায়নে বিশ্বাসী বিএনপি কেন আমার আপনার বা গণজোয়ারের মানুষের কথায় চলবেন? জামাত শিবিরের নেতাকর্মীদের ক্রিয়াকলাপকে ভুলে গিয়ে বিএনপি-জামাত সমঝোতায় এসে বাংলাদেশে জিন্দাবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে দ্বিধাবোধ করলেন না। তবে কতদিন জামাত বিএনপির সঙ্গে থাকবে তা ভবিষ্যৎই বলবে। বস্তুত, শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যু্র পর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ স্থান রইল না সমাজে এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজাকাররাই নায়ক হয়ে উঠলেন। কিন্তু সবচেয়ে ক্ষতিকর যে কাজটি তা হল দুর্নীতির জাতীয়করণ ও দেশের যুব সমাজকে দুর্নীতিপরায়ণ করে তোলা। এই সবকিছুর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বৈষয়িক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে বিএনপির হাত ধরে জামাত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের সমাজে যে ধর্ম ব্যবসায়ের রাজনীতির সূত্রপাত ঘটিয়েছিল তা থেকে মুক্তি পাওয়া অত সহজ কথা নয়। তথ্যসূত্রঃ ১। Golam Hossain, `General Ziaur Rahman and the BNP’ University Press Limited, Dhaka, 1988. 2. ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’, বাংলাদেশ সরকার, ঢাকা, ১৯৯১। ৩। Golam Hossain, Ibid. 4. সাপ্তাহিক বিচিত্রা, ২৬.০৩.১৯৮২. ৫। সংবাদ, ঢাকা, ৮.৭.১৯৮৯. ৬। ভোরের কাগজ, ঢাকা, বাংলাদেশ, ফেব্রুয়ারি ২০১৩।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *