শঙ্কর সরকার, বাংলাদেশ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে এসে বাংলাদেশের চীন-ভারত মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তার দেওয়া সম্বর্ধনা সভায় বলেন বন্ধু বদল করা যায় কিন্তু প্রতিবেশী কখনো বদলানো যায় না। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে তাঁর সরকারের এবং ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। শুধু তাই নয় ভারতীয় সব সরকারি কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ সব সময়ই একই বক্তব্য রাখেন। ভারতীয় প্রতিনিধিগণ প্রায়শই বলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে ছিল ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের সব উন্নয়নমূলক কাজে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সেই কারণেই একটি সুপ্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিষয়টি উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর।
বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ বেনাপোল-পেট্রাপল স্থলবন্দর। বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশকে বলা হয় পেট্রাপল স্থলবন্দর এবং বাংলাদেশ অংশের বন্দরকে বলা হয় বেনাপোল বন্দর। ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল এই দুই মিলে তৈরি হয়েছে এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর করিডোর। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বেনাপোল বন্দরের দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে পেট্রাপোল বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। বেনাপোল পেট্রাপল স্থলবন্দর হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ও ভারতের স্থল-বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রস্থল। দুই দেশের মধ্যেকার স্থল-বাণিজ্যের প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ সম্পাদিত হয় এই করিডোর বন্দর দিয়ে। শুধু স্থল-বাণিজ্যের নয় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যেকার বিবিধ প্রয়োজনে প্রতিবছর প্রায় ২২ লাখ মানুষ এই স্থলপথে যোগাযোগ ও যাতায়াত করে। বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় দেশের আমদানি রফতানির জন্য, পণ্য পরিবহনের জন্য এবং যাত্রী পারাপারের সুবিধা সহজ করতে দুই দেশের মধ্যে এখানে চালু করা হয়েছে সমন্বিত চেকপোস্ট। বাংলাদেশ ও ভারতের যাতায়াতকারী ২২ লাখ মানুষের মধ্যে শুধু টুরিস্ট ভিসা নয়, চিকিৎসা, পড়াশোনা, বাণিজ্য, ইত্যাদি বিষয়ে মানুষ এই পথে যাতায়াত করে। ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের তথ্যমতে শুধুমাত্র ঢাকা থেকেই প্রায় বছরে ১৫ লাখ ভিসা প্রদান করা হয় যা সারা বিশ্বে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভিসা প্রদানে সর্বাধিক।
বেনাপোল পেট্রাপোল সীমান্ত স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতি কাপড়, যানবাহনের চেসিস(chassis),কাঁচামাল, কাঁচাতুলা, ইস্পাত, লোহা, রাসায়নিক রঞ্জক, সিনথেটিক কাপড়, মোটর সাইকেল, হালকা যানবাহন, শিশুখাদ্য, খাদ্যশস্য, মিল কলকারখানার মেশিন ও ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ও নানা ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়। বিপরীতে এই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে তৈরি-পোশাক, ব্যাগ, ব্রিফকেস, পাটের সুতা, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড, ইত্যাদি পণ্য। কিছুদিন আগেই ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর এলাকা সফরে আসেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সফরে তিনি স্থলবন্দরের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ঐ সময় তিনি পেট্রাপোলে একটি কার্গো গেট উদ্বোধন করার সময় তিনি বলেছিলেন ভারতীয় পেট্রাপল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ শুধু দেশটির অর্থনীতিকেই শক্তিশালী করছে না একই সাথে তা সীমান্তে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন আমাদের নীতিমালা পরিষ্কার। আমারা চাই সীমান্ত এলাকায় একটি শক্তিশালী অবকাঠামো ও কানেক্টিভিটি গড়ে উঠুক যাতে করে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের দুই স্থলবন্দর পথেই বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর বাণিজ্য খাতে “গেম চেঞ্জার” হয়ে উঠতে পারে বলেও বিভিন্ন সময়ে সংস্থাটির বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। ভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের Land Ports Authority of India (LPAI) তথ্য অনুযায়ী ভারতের পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশে – ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আকার প্রতিবছর বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই স্থলবন্দরের বাণিজ্যর পরিমাণ ছিল ১৮ হাজার ৭৯৯ কোটি রুপি। ২০২০-২১ অর্থ বছরে করোনা মহামারীর কারণে বাণিজ্যর পরিমাণ কমলেও অন্যান্য বছরে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাণিজ্য হয়েছে ২১ হাজার ৩৮০ কোটি রুপি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২০ হাজার ৬০৫ কোটি রুপি। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ১৫ হাজার ৭৭১ কোটি রুপি। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২৯ হাজার ৪০৬ কোটি রুপি বাণিজ্য হয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। আর চলতি অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য হয়েছে ১৯ হাজার ৬৩১ কোটি রুপি। আশা করা যাচ্ছে বর্তমান অর্থ বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্য ৪০ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানি কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমানের ভাষ্য হল দেশে সরকার অনুমোদিত ২৪টি স্থলবন্দর দিয়ে অনুমোদন থাকলেও মাত্র ১২টি বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বাণিজ্য হয়। অন্যান্য বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য করার আগ্রহ কম। বেনাপোল বন্দর দিয়েই ব্যবসায়ীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ লাখ টন পণ্য। বিপরীতে রপ্তানি করা হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৫৩ লাখ টন পণ্য। একই ভাবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে আমদানি করা হয়েছে ২১ দশমিক ৮১ লাখ টন পণ্য এবং রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ১ লাখ টন পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ২০ দশমিক ৩৮ লাখ টন পণ্য আমদানি এবং ৩ দশমিক ১৭ লাখ টন পণ্য রফতানি হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ২৭ দশমিক ৭৮ লাখ টন পণ্য আমদানি এবং ২ দশমিক ৯৭ লাখ টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থ বছরে এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়েছে ২২ দশমিক ১৩ লাখ টন পণ্য। আর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ১৯ লাখ টন পণ্য। মূলত পশ্চিমবাংলার রাজধানী কলকাতার সাথে কম দূরত্বের কারণে বাংলাদেশে ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেনাপোল বন্দরের পণ্য হ্যানডলিঙের পরিমাণও বেড়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য বলছে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ২৬ দশমিক ১৫ লাখ টন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২৯ দশমিক ১২ লাখ টন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩২ দশমিক ১৩ লাখ টন , ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩৩ দশমিক ১৭ লাখ টন ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে বেনাপোল স্থলবন্দরে ৩৯ দশমিক ৯৩ লাখ টন পণ্য হ্যানডলিঙ করা হয়েছে। তবে বেনাপোল স্থলবন্দরে এখনো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন শুধু অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর বাণিজ্যর পরিমাণ কাঙ্ক্ষিতের অর্ধেক হয়। ব্যবসায়ীরা বলেন দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর দূর্নীতি, হয়রানি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস নেমেছে। বন্দর ব্যবসায়ীরা বলেন কাস্টমস ও বন্দরের ঘুষ বাণিজ্যের কারণে গত কয়েক বছর বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। বন্দরের ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে সিএনএফ CNF(cost net freight) ফাইল প্রতি ঘুষ আদায় করে। ব্যবসায়ীরা এখানে কাস্টম ও সিএনএফের কাছে অসহায়। বেনাপোলে ব্যবসায়ীদের এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় না থাকলে বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে ও বাংলাদেশ ভারতের অন্যান্য অনেক ব্যবসা হত উভয় দেশের মধ্যে এবং উভয় দেশের সরকারের এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। বেনাপোল বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের মতে বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়ানো প্রয়োজন। বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪৫ হাজার টন পণ্যের। স্বাভাবিক সময়ে বন্দরে দুই লাখ টন আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতের ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। এসব ট্রাকে শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণাধীন যন্ত্রপাতি থাকে। শুধু মাত্র জায়গায় অভাবে এসব পণ্য খালাস করা যায় না। এতে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ৩ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। বন্দরে ভারী পণ্য ওঠানামায় ব্যবহৃত ক্রেন ও ফ্রকলিফট বেশি সময় ধরে খারাপ থাকায় খালাসের সময় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে অভিযোগ করেছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান এবং একই অভিযোগ রয়েছে সীমান্তে ওপারের ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীদেরও। পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমরা স্বাভাবিক সময়ের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য রফতানি করতে পারি না কারণ বেনাপোল বন্দরে সব সময় জায়গা সঙ্কট থাকে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। আবার বেনাপোলের শুল্ক কর্মকর্তারা জানান অবকাঠামোগত সমস্যার জন্য এখান থেকে লক্ষ্য মাফিক রাজস্ব আদায় করা যায় না। তথ্য অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থ বছরে বেনাপোলে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকা সেখানে আদায় করা হয়েছে ৪ হাজার ১৪৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের বলেন পণ্যাগার সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা চাহিদামত পণ্য আমদানি করতে পারেন না। বেনাপোল বন্দরে ঢোকার অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে পেট্রাপোল অংশে ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে এক থেকে দেড় মাস ধরে। বাংলাদেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান বেনাপোলের উন্নয়নের জন্য বিশ্বব্যাংক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সিসি ক্যামেরা, অ্যাকসেস, কন্ট্রোল সিস্টেম এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করার জন্য ২৮৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্প্রতি একনেক {Executive Committee of the National Economic Council (ECNEC)} সভায় অনুমোদিত হয়েছে এর বাইরে ১৬ দশমিক ৪৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। রাসায়নিক শেড স্থানান্তরের জন্য কাজ চলছে। এসব কাজ বাস্তবায়নের পর বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে এবং উভয় দেশের বাণিজ্যর আকার আরো বড় হবে। তবে এসব কাজ শেষ হতে আরো আড়াই বছরের মত সময় লাগবে। ঐ সময় বেনাপোল বন্দরের সক্ষমতা আরো অনেক বাড়বে। ক্রেন (Crane) ও ফ্রক লিফট Forklift সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ে জানান হয়েছে। সার্বিক বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা হচ্ছে বেনাপোলকে একটি স্মার্ট স্থলবন্দর হিসেবে গড়ে তোলা এবং সেই লক্ষ্যে সরকার সব ধরণের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। এখানেই ইন্টারনেট অব থিঙ্ক ( IOT) মাধ্যমে বন্দরের সব ধরণের কার্যক্রম পরিচালিত হবে অর্থাৎ সবকিছুই ইন্টারনেটের ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এখানে লেনদেনগুলো অনলাইনে নেওয়া হবে তবে এখনো স্লিপের মাধ্যমে নেওয়া হয়। এর জন্য Credit card, Debit card, B cash এবং নগদের মত MFS এর মাধ্যমে আমদানি রপ্তানি বা যাত্রীরা ফি পরিশোধ করতে পারবেন। সমস্ত কার্যক্রমগুলির পুরোটাই ম্যানুয়াল অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। অটোমেশনের ফলে প্রিআ্যরাইভ্যাল ডকুমেনটগুলি আগেই বন্দরে চলে আসবে। ফলে একজন আমদানিকারক তার পণ্যগুলো কি অবস্থায় আছে সেগুলো দেখতে এবং হাতে পেতে কতদিন লাগবে তা ড্যাসবোর্ডের মাধ্যমে জানতে পারবেন অর্থাৎ জনগণকে ভোগান্তিমুক্ত সেবা প্রদানই বন্দর কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য।