Center For Research In Indo

Author name: admin

বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত ও দুর্বলতা

পূর্ণিমা নস্কর পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে নানা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তির প্রসার ও বিকাশ ঘটতে থাকে লক্ষণীয়ভাবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ববঙ্গের পরিসীমায় বাঙালির বিকাশের প্রশ্ন যখন সামনে চলে এলো, তখন এদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের বিকাশে মূল প্রতিবন্ধক হিসাবে দেখা দিল পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি। সে সময় নবপর্যায়ে এদেশে বাঙালি জাতীয়াবাদের উন্মেষের সম্ভাবনা তৈরী হল । সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই ধারার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। শাসকশ্রেণির সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, রবীন্দ্রনাথ বর্জনের সরকারী প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশবাসীর প্রতিরোধের কথা উল্লেখ করা যায় । এ প্রসঙ্গে আরো একটি কথা মনে রাখা দরকার, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও চেতনার ধারা সামনে আনার চেষ্টা হলেও সমস্ত আন্দোলনের গতিপথে দ্বি-জাতিতত্তেবর ব্যাপারটিকে কোন সময়ই সরাসরি আক্রমণ করা হয়নি। এব্যাপারে যা প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা সবই হয়েছে পরোক্ষভাবে। দ্বিজাতিতত্তেবর ও পাকিস্তানের গঠন  কাঠামোর কৃত্রিমতর ব্যাপারটি কখনই সামনে তুলে আনা হয়নি। অথচ জাতীয়তাবাদের চেতনার বিকাশে এই বিষয়টির প্রয়োজন ছিল খুবই বেশি।    ভাষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সরকারের দমন পীড়নের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়েছিল এর প্রভাব রাজনীতিতেও দেখা গেল। ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৩শে অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামি মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। পূর্ববঙ্গে বাঙালিদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালের ৩রা ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলা অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই দুইটি ঘটনা থেকে একথা অনুধাবন করতে কষ্ট হয় না যে, সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে ভাষা/জাতি (সম্প্রদায়) ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের যে সূচনা ভাষা  আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল তা রাজনীতি, সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনেও দেখা যেতে লাগল। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৫৫ সালের ১৪ই অক্টোবর ‘পূর্ব বাংলার’ নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তান সরকার ‘পূর্ব পাকিস্তান’ করে দিল।   পাকিস্তানের পক্ষে জনজাগরণের মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এই সকল ঘটনা মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না, বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের ধারাটি তার সফলতা ও দুর্বলতা দুইয়ের ভিত্তিতে অনুধাবন করতে গেলে এই বিশেষত্বটি উপলব্ধি করতে হবে।   ১৯৪৮ সাল থেকে যে সত্যটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও পরবর্তীকালে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠল, তা হল, পাকিস্তানি শাসনে বাঙালি জাতির স্বাধীন চেতনা বিকাশের পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ন নয়। পাকিস্তানি শাসকদের শাসনের স্বরূপ ছিল ঔপনিবেশিক ধরণের। এদেশ থেকে সম্পদ পাচার, পশ্চাদপদতা অব্যহত রাখা এবং এদেশটাকে নিজেদের বাজার হিসাবে ব্যবহার করা ছাড়াও পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আক্রমণ করে এবং জাতীয়তাবাদের বিকাশকে রুদ্ধ করা তাদের  প্রাথমিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। বস্তুত, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভাষা সংস্কৃতির বিকাশ। এই পর্বের বিকাশকে জাতীয় অধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে সংগ্রাম থেকে বিছিন্ন করে দেখা সম্ভব নয়।   আসলে একুশের সর্বদলীয় ভাষা আন্দোলনে ছিল একাধিক মতাদর্শের সমাহার। তবুও তার মুখ্য চরিত্র ছিল জাতীয়তাবাদ ও প্রগতিশীলতা। এর সুপ্রভাব পড়ে সাহিত্যে, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে  কিন্তু পাকিস্তানি শাসক চক্রের রক্তচক্ষু ও প্রতিকূলতার পটভুমিতে ১৯৫১ সালে চট্টগ্রামে সহিত্য সম্মেলন উদবোধন করেন বেগম সুফিয়া কামাল। ১৯৫১ এর সাহিত্য সংস্কৃতির সম্মেলনের পর ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্য সংস্কৃতির সম্মেলনসমূহ।    একদিকে এই সাহিত্য সংস্কৃতির সম্মেলনসমূহ, অন্যদিকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন হলেও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশের ধারা তেমন গতি সঞ্চার করতে পারেনি। কারণ পূর্ব পাকিস্তানের জনতার মধ্যে দ্বি-জাতিত্তেবর ধারণা মোটেই দুর্বল ছিল না এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যেও দ্বি-জাতিতত্তব বিরোধী তেমন কোন কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়নি। অথচ ব্রিটিশ ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক বা স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি মসুলমানদের তেমনভাবে যোগদানের নজির পাওয়া যায় না। বাঙালি মুসলমান সমাজে ইসলাম ধর্মের চর্চা গভীরভাবে দেখা না গেলেও বিভিন্ন মাওলানা, মৌলবী ও ইসলামিক সংগঠনগুলি মুসলমানদের মধ্যে ধর্মাচরণ ও ইসলামিক রীতি-নীতির একটি অভ্যাস বা অনুশীলন অব্যাহত রেখেছিল ফলে গভীরভাবে ধর্মচর্চা না করেও বাঙালি মুসলমানরা ইসলামের প্রভাব বলয়ের মধ্যে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। সাধারণ মুসলমান সমাজে ইসালামী সংস্কৃতি ব্যতিরেকে উদার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা খুবই স্বল্প মাত্রায় দেখা যেত। সেকারণে পাকিস্তান আন্দোলনে দ্বি-জাতিতত্তব তাদের উপর সহজেই প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছিল। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন পরবর্তীতে সারা দেশের আবহে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার ধারা ক্রমে বেগবান হয়ে ওঠে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের শিক্ষা ক্রমেই পুষ্ট হতে থাকে, কিন্তু দ্বি-জাতিতত্তেবর দ্বারা মুসলমান সমাজ এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল যে, বাংলা ভাষার  পরিবর্তে যখন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রস্তাব করা হল, তখন বাঙলি মুসলমানদের গণপরিষদে সকল প্রতিনিধি উর্দুর পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন এই ভেবে যে, উর্দু হল মুসলমানদের ভাষা এবং পাকিস্তান একটি ইসলামিক রাষ্ট্র, আর এই ইসলামকে রক্ষা করতে হলে মুসলমানদের ভাষা উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করা যথাযথ। তারা মনে করতেন বাংলা ভাষার উপরে হিন্দুদের প্রভাব খুব বেশি; তার শব্দ ভান্ডারের সঙ্গে ইসলাম বা মুসলমানদের খুব একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দ বাঙালি মুসলমানদের কাছে এই ধারনাই তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিলেন। বাংলাদেশের সমাজেও এই সময়কালে অর্থাৎ ভাষা আন্দোলন কিংবা তার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি ইসলামি আদর্শের ভাল রকমেরই প্রভাব ছিল, ফলে উদার বাঙালি চেতনার বিকাশে তেমন কোন সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি ১৯৬৮ সালের আগে পর্যন্ত।   আবার ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন হলেও শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ তথা পূর্বপাকিস্তানে বাঙালি নেতৃবৃন্দ বারে বারে ক্ষমতায় এলেও তারা শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছেন বলে মনে হয় না। ঐ সময়কালে তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য বাঙালি নেতৃবৃন্দ নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে যে ধরনের বিবাদে লিপ্ত ছিলেন, সেখানে ভাষা আন্দোলনের স্মারক নির্মাণের তেমন কোন গুরুত্বই ছিল না। তাহলে কি সমাজে ভাষা  আন্দোলনের তেমন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি ?   অন্যদিকে, উদার বাঙালি চেতনার বিকাশে তেমন কোন সাংস্কৃতিক আন্দোলন ১৯৬৮ সালের আগে পর্যন্ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। কেননা ১৯৬০ এর দশকে বাঙালি সংস্কৃতি জগতের মাইলফলক হিসাবে ‘উদীচী ও ছায়ানট’ নামে দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করল। সংস্কৃতিকর্মীরা বিভিন্ন নাটক, দেশপ্রেম মূলক কবিতা, প্রবন্ধ ও সিনেমা তৈরিতে জোরকদমে নেমে পড়লেন। আর এই পর্বেই তৈরি হলো জহির রায়হানের চলচ্চিত্র – ‘জীবন থেকে নেয়া’। উক্ত চলচ্চিত্রে বিধৃত হয়ে ওঠে দেশব্যাপী  আন্দোলন ও সংগ্রামের সংহত ঐক্য এই আন্দোলনগুলি তখনও পর্যন্ত শহরকেন্দ্রিক থাকায় এর সীমাবদ্ধতাও ছিল, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এটাও একটা দুর্বল জায়গা বলা যায় কারণ জাতীয়তাবাদের অন্যতম মূল ভিত্তি হচ্ছে সাংস্কৃতিক চেতনা। সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ছাড়া কোন জাতীয়তাবাদের শক্তিশালী ভিত তৈরী হওয়া খুবই কঠিন। আর তা দীর্ঘমেয়াদী হওয়া প্রায় অসম্ভব।   যদিও পরবর্তী সময়ে ছাত্র-যুব সমাজের মুখে মুখে ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার  আমার ঠিকানা” তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ, জয় বাংলা, জয় বাংলা’ প্রভৃতি শ্লোগানের উচ্চারণ হতে দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু তাতে একটি উগ্র জাতীয়তার গন্ধ অনেকে পেলেও ১৯৬৮-৭০ সালে ছাত্র আন্দোলনে এগুলি  ছিল উচ্ছ্বাসভরা শ্লোগান। এই সমস্ত শ্লোগান থেকে একথা বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদের একটি হাওয়া পূর্ব-পাকিস্তানের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছিল।   …

বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত ও দুর্বলতা Read More »

Complexities of Post-Mujib Era as Misunderstood in India.

Bimal Pramanik Director, Centre for Research in Indo-Bangladesh Relations, Kolkata A new politics, a new economics and a new culture, taken together, started unravelling itself in post independent India under the leadership of Nehru as a result of adopted policy of state secularism, which aggravated the confusion of the exuberant and adventurist politics of secularism of the erstwhile radical nationalist and the radical left in India.  Gradually, for the first time, the Hindu refugees were being treated at par with the Muslim infiltrators.  This twin flow at the same time had introduced a new opportunity to show perversely that Bangladesh was as much secular as India.  Politicians, who placed immediate electoral gain above national interest, successfully equated Muslim infiltration with the Hindu refugee flow under the grand title of infinite and indefinite migration of Bangladeshis with nondescript faces through all conceivable manholes in the border region. Growing population pressure and crippling poverty and pauperization of the marginal rural masses in Bangladesh encouraged, if not forced, them to put this agenda of migration as a life and death question, which no force can resist.  In the meantime, the consolidation of Islamic forces was already advanced.  They adopted the agenda of a greater Islamic region as a grand political strategy.  Although it was an emotional issue for Sheikh Mujib, later it became a political and strategic issue with the covert support of Pakistan. There is no state religion in secular India, which is obliged to protect all religions equally, but the State of Bangladesh must preserve religious peace and harmony under the shadow of its state religion, viz. Islam.  The adoption of Islam as the State Religion has utterly demoralized Hindus and has reinforced their already unavoidable compulsion regarding migration to India.  Significantly, a state religion cannot extend the minimum of socio-economic protection even to Muslims, who, instead of being satisfied with living in Islamic Bangladesh, have long been voting with their feet, and continuously leaving for secular India, especially Assam and West Bengal.  Whereas this is a constant tribute to India’s secularism, this is also a threat to India’s socio-economic stability and political security.  Unfortunately, policy makers in India have displayed little alertness in pre-empting or arresting this grave threat. Reality of Independent Bangladesh: The minority community in Bangladesh participated in the war of liberation with the expectation that in the newly liberated country they would enjoy equal status and rights along with the majority community. But, in practice, the persecution of the minorities continued even after independence.  The forms of oppression of the religious minorities in Bangladesh are manifold.  Constitutionally, they have been downgraded; economically, they have been crippled through different discriminatory laws and practices; politically, they have been segregated and alienated from the mainstream; culturally and socially, they are insecure and overwhelmingly dominated.  They are totally deprived of the privileges of participation in the top positions of the government, and nationally they are used as subjects tortured through communal violence organised by the government for counteracting political unrest against the ruling party.  Because of the discriminatory policies, combined with land grabbing, looting, arson, rape, murder and attack on religious institutions and populations with the collusion, if not instigation, of the government or semi-government agencies, there has been a continuous exodus of the minorities from Bangladesh. From the very beginning since the liberation of 1971, Hindus who had earlier gone to India as war refugees and returned to independent Bangladesh, again started migrating from the newly independent country to India, because they failed to retrieve their property and enjoy social security.  Bengali nationalism was eroding fast, and anti-India sentiment was growing rapidly.  After the assassination of Sheikh Mujib (President of Bangladesh) in 1975, the relevance of the very idea of non-communal Bangladesh borne out of liberation war of 1971 was lost, and Bangladesh became a state tilting towards Islamization.  All these show that the emergent idea of secular Bangladesh, partially apparent in 1971, was not only missing but was probably mistaken.  Mujib’s case of fighting against Pakistan had finally given way to a Bangladesh which never denied its Islamic character.  On the surface, while Hindus imagined a new secular-democratic prospect, Muslims suffered from a bankruptcy of leadership, which threw them eventually into the clutches of Mustaq Ahmed, Ziaur Rahman and similar others after Mujib’s death.  It was a pity that Bangladesh soon came out as a new country and a state with an overt Islamic identity. Leaders of the Muslim society, at every level, are trying to organize and consolidate Muslim masses on the basis of religion and madrassa teachings.  The moderate views of a small section of the liberal minded urban middle class in the society society are gradually being replaced by the stronger radical trends.  As a result, the differences with the other religious and cultural communities and sects have become wider.  Now Bangladesh has become the epicentre for propagating and promoting ultra-Islamic fundamentalism and terrorism in eastern and northeastern India which has a sizeable Muslim population.

Lalmonirhat Airport: Derelict Past to Beaming Future

Drona Bandyopadhyay The very name ‘Lalmonirhat’ is quite curiously riveting name of a place or district. There are several historical explanations behind the origination of this particular queer nomenclature. One common thing among all the available explanations is popular commissioning of ‘Lalmonirhat’ is relatively not very ancient. I have first come to know about Lalmonirhat in my early adoloscence while reading a short story called ‘Bhondul Mamar Bari’ written by celebrated Bengali litterateur Bibhutibhushan Bandyopadhyay.  Since then Lalmonirhat has occupied a distinct place in my personal horizon of virginal fantasy and academic excitement. In recent years Lalmonirhat has come in news headlines due to its immense potential to emerge as a major aviation centre of not only Bangladesh but also in entire Indian subcontinent. We all know that Lalmonirhat is one of the four northernmost districts of Bangladesh. The other three districts are Panchagarh, Nilphamari and Kurigram. Before 1984 when nation-wide administrative decentralization was executed, Lalmonirhat was part of greater Rangpur district. Lalmonirhat is famous for its large aerodrome. It was built in 1931 as a military airbase. During the Second World War (1939-1945) the Allied Forces used it as a forward airbase for its operations in Burma (now Myanmar) and other countries of southeast Asia. Presently Lalmonirhat aerodrome is under the possession of Bangladesh Air Force (BAF). The BAF has an active Care and Maintenance Unit in its premises for many years. The airstrip of Lalmonirhat has 1,166 acres of land in its official possession and 4 kms long runway, huge tarmac, hanger and taxiway. Due to its huge land possession and exceptionally long landing strip Lalmonirhat airbase is the largest aerodrome in the Indian subcontinent and second largest in Asia. During the Pakistan period the Pakistan Civil Aviation Authority started flight operations in 1958 but due to lack of response from the adjoining region and relative backwardness of the same air services were stopped within few years. After the independence of Bangladesh in 1971, the newly formed Bangladesh Air Force decided to establish the Headquarters of it at Lalmonirhat airport. But it could not be materialized. Some of the political analysts in Bangladesh opine that the Govt. of India opposed the plan strongly and under Indian pressure nascent Bangladesh succumbed and abandoned the decision completely and as an alternative the Govt. of Bangladesh chose the Dhaka cantonment at Kurmitola as Headquarters of BAF along with that of Army. The rationale provided by those political analysts who hold this view is close geographical proximity of the Lalmonirhat airport to Indo-Bangladesh border and unavoidable usage of Indian airspace while landing and takeoff of aircrafts at this airport. Even without accepting the afore-mentioned role of India in abandonment of Lalmonirhat airbase by Bangladesh authorities since 1972 it can be construed that the very location of Lalmonirhat airstrip is extremely significant and sensitive from geo-strategic point of view. Hence it has a huge strategic importance in the entire subcontinent. The Lalmonirhat airport having geographical location of 25⁰ 53’ 15’’ North and 89⁰ 25’ 59’’ East, LLJ as Airport Code and VGLM as ICAO (International Civil Aviation Organisation) designation, has emerged as a critical fulcrum of trans-national hub of air connectivity. It is utterly regretful to keep Lalmonirhat airport unused and unutilized for more than seven decades. To be particular, after the end of Second World War in August 1945 the airport has been lying inactiveexcept for a short span of time from late 1950s to early 1960s. In the line of idle chronology the BAF has established an agricultural farm and cattle-breeding farm in 1983 in the abandoned land of the airport. But it cannot be a prudent alternative to proper utilization of untapped potentials of an airfield whose nearest Bangladeshi counterpart is located 54kms away at Saidpur and nearest Indian one is located 49kms away at Cooch Behar. In the recent decadesthe Lalmonirhat district and its adjoining areas have emerged as a developing economic hinterland of this airport. The commercial cultivation of tea, orange and dragon fruits has become lucrative and the bulk of production are exported abroad. In 1990 the BSCIC (Bangladesh Small and Cottage Industries Corporation) has established an industrial estate on 15 acres of land in which 36 factories have been started of which 11 remain functioning. Flour, wooden furniture, cotton textile, processed polymer are produced from these production units. The establishment of this small industrial estate is a remarkable step in fomenting industrialization in northern Bangladesh, popularly known as North Bengal. In 2001the BEPZA (Bangladesh Export Processing Zone Authority) has established an export processing zone (EPZ) in Sangloshi of Nilphamari district. It is known as ‘Uttara EPZ’ and located only about 80 kms away from Lalmonirhat airport. The Uttara EPZ has 213.66 acres of allotted land in which 180 industrial plots are demarcated for private industrial production. At present 138 plots have been developed. This Uttara EPZ is another notable project to encourage export-oriented industrial growth and employment in North Bengal. In this positive atmosphere of economic development the Lalmonirhat chapter of FBCCI (Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industries) has seriously called for reopening and reoperationalisation of unutlised Lalmonirhat airport to encourage regional commerce and connectivity. Bhutan has also expressed its willingness to use the Lalmonirhat airport for passenger and cargo services. But there are some trans-border complexities over the usage of airspace. The Indo-Bangla border land ports like Banglabandha, Burimari, Sonahat, etc. are well connected with Lalmonirhat airport. Hence the Indian business entities can also use this airport for trans-national trade and commerce as Bagdogra and Guwahati airports are over-utilised, Cooch Behar airport has no determined prospect and Rupsi airport in Kokrajhar district of Assam has limited facilities. Moreover Bangladesh has a great strategic location. It bridges between Indian subcontinent and southeast Asia. The country can also become a hub of international air connectivity. The present world is experiencing steady expansion of aviation services. It is a global trend nowadays. The Asia-Pacific region is expected to become the largest air-travel market in the …

Lalmonirhat Airport: Derelict Past to Beaming Future Read More »

বাংলাদেশে পাঠক্রম নির্ধারণে নীতিহীনতা

Dr. Kakoli Sarkar যে কোন দেশের মনোজগতে আধিপত্য বিস্তার করার সর্বোৎকৃষ্ট কৌশল হল তার শিক্ষা জগৎ দখল করা। সেই কারণে স্কুল-কলেজের পাঠক্রম তৈরি করার বিষয়টি অতি স্পর্শকাতর একটি বিষয়  রুপে বিবেচনা করা হয়। আমরা দেখি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে রাষ্ট্রগত আদর্শকে সামনে রেখে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের দ্বারা পাঠক্রম তৈরি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই বিষয়টি অত্যন্ত বিশৃংখল ভাবে ঘটে থাকে। বিশৃংখল বলছি এই কারণে যে, সেখানে যে রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতা দখল করে তখন তারা তাদের মতো করে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন সাধন করে। তাদের জাতিগত আদর্শ কিছু মাত্র উপলব্ধি হয় না। এখানে আমি পাকিস্তানের কথা বলতে পারি। পাকিস্তানে শিক্ষার ক্ষেত্রে নির্লজ্জভাবে ইসলামিকরণ করা হয় এবং ভারতবিদ্বেষ ছড়ানো হয়। আমার মনে হয় সেক্ষেত্রে তবুও একটা অবস্থান পরিষ্কার আছে যে, পাকিস্তানের শিক্ষানীতির মূলে হল ইসলামী চেতনা এবং সেটা তাদের স্বাধীনতার চেতনাও বটে। সে কারণে তারা সেটা প্রকাশ্যেই করে। তার ফলও অবশ্য তারা পাচ্ছে এবং পাবে। যেমন আমরা দেখেছি পেশোয়ারের সামরিক স্কুলে জঙ্গিদের বোমা হামলায় শতাধিক মৃত্যু এবং এইরকম বহু ঘটনা। এখানে পাকিস্তান আমার আলোচ্য নয়। বাংলাদেশে বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। বাংলাদেশে পাঠক্রম তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যার বিষয় হলো তাদের জাতিগত চেতনা। তারা যদি তাদের স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে রাখে তাহলে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রাধান্য দিতে হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালীন তাদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বরচিত অত্যাচারের কথা বলতে হয়। স্বাধীনতার ইতিহাস বলতে গেলে ৩০ লক্ষ শহীদের কথা বলতে হবে, অসংখ্য নারী ধর্ষণের কথা বলতে হবে। আর এই সবই করেছিল তাদের একই ধর্মাবলম্বী পশ্চিম পাকিস্তান। যখন ধর্মভিত্তিক ইসলামিক দল বা পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল ক্ষমতা দখল করে তখন তাদের বড় সমস্যা হয় স্বাধীনতার ইতিহাস বিষয়টিকে ঘিরে। কিন্তু বাংলাদেশ কখন স্বাধীন হলো, কেন এবং কিভাবে স্বাধীন হলো সে ইতিহাস তো বলতেই হবে। এদিকে আবার পাকসেনার বর্বরোচিত অত্যাচারের কথা বলা যাবে না, ভারতের সাহায্যের কথা বলা যাবে না। ভারতের সাহায্যের কথা তারা নাই বলতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন ওঠে পাক সেনার আত্মসমর্পণের বিষয়টিকে নিয়ে। পাক সেনা কখন, কার কাছে আত্মসমর্পণ করল অর্থাৎ কখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেল?– এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে তো ভারতের সাহায্যের কথা বলতেই হবে, কিন্তু বাংলাদেশের ইসলাম পন্থী দলগুলির ঘোষিত নীতি হলো ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষ। তাদের কাছে বাঙালি জাতীয়তার থেকে বড় আদর্শ ইসলামী চেতনা। সেই কারণে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করতে গিয়ে তারা জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর সেজন্য তারা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তা করতেও পারে না। সত্যকে চাপা দেবার অপচেষ্টা করতে গিয়ে পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন জায়গাতে জগাখিচুড়ি একটা কিছু তৈরি করে।           আমার স্কুল জীবনের একটা অংশ কেটেছে বাংলাদেশে সামরিক শাসকের সময়ে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এবং হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশে পাকিস্তানি মডেল অনুসরণ করেছিলেন। আমি ছোটবেলায় বইতে পড়েছি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। তিনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আমাদের বইতে শেখ মুজিবের কোন ছবি এবং নাম ছিল না। বাস্তবতা এবং পাঠ্যবই এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান না করার জন্য আমার মত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বিভ্রান্ত হয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে হিন্দু লেখকদের লেখা পাঠ্য বই থেকে বাদ পড়তে থাকে। বাংলাদেশের নবম শ্রেণী থেকে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখাতে ভাগ করে দেওয়া হয়। আবশ্যিক বিষয়গুলির মধ্যে আমার সময় (১৯৯০–৯২) ছিল বাংলা ২০০ নম্বরের, ইংরেজি ২০০ নম্বরের, সাধারণ গণিত ১০০ নম্বর, ভূগোল ১00 নম্বর এবং ধর্ম শিক্ষা ১০০ নম্বরের। বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগে বিশেষ সমস্যা ছিল না, সমস্যা হতো মানবিক শাখাতে। মানবিক শাখাতে ইতিহাসের বদলে পড়ানো হতো ইসলামের ইতিহাস। তখন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী কলেজে পড়ানো হতো। আমাদের রাজবাড়ি সরকারি কলেজে ইতিহাস পড়ানো হতো না, তার বদলে ইসলামের ইতিহাস পড়ানো হতো, যার ১০০ নম্বর আরবের ইতিহাস এবং আর ১00 নম্বর বাংলায় মুসলমানদের  ইতিহাস। স্কুলে আবশ্যিক বিষয়গুলির মধ্যে মুসলমানরা পড়তো ইসলাম ধর্ম শিক্ষা আর আমরা হিন্দুরা পড়তাম হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। সম্ভবত ১৯৮৯ সালে আমার বোনের হিন্দুধর্ম শিক্ষা বইটির রানিং টাইটেলে লেখা ছিল মালায়ন ধর্ম শিক্ষা, অবশ্যই তা ছাপার অক্ষরে লেখা ছিল। এর থেকে অনুমান করা যায় বাংলাদেশে পাঠ্য পুস্তক নির্মাণে সমস্যা কোন স্তরে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে সব থেকে বড় সমস্যা ইতিহাস পড়ানো নিয়ে। কারণ ইতিহাস পড়লে সত্য জানতে পারবে। আমার স্কুল জীবনে দেখেছি অধিকাংশ স্কুল-কলেজে ইতিহাসের বদলে ইসলামের ইতিহাস পড়ানো হতো, কেননা সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আসবেনা। আমি ২০১৬ সালের একটা পরিসংখ্যান দিতে পারি যেখানে ৮ টি জেলার ৩০ টি সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগ নেই। কোনো সরকারি মাদ্রাসায় ইতিহাস পড়ানো হয় না। বাংলাদেশের ৪৭৫৭ টি বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় ইতিহাস পড়ানো হয় না (অবশ্য মাদ্রাসা শিক্ষা আমি এখানে আলোচনা করছি না) । বাংলাদেশে ১০০–এর উপরে বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইতিহাস বিভাগ আছে, এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা পাঁচ এর বেশি হবে না। এর অর্থ হল এই, শিশু অবস্থা থেকেই জোর দেওয়া হচ্ছে ধর্ম শিক্ষা, ইসলাম শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাসের উপর। সেখানে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ কি করে তৈরি হবে। যদিও বাংলাদেশ তৈরীর ভিত হিসেবে কাজ করেছিল ধর্মনিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ। সেই কারণে আমি প্রথমেই বলেছি বাংলাদেশের স্কুল কলেজে কোন্ আদর্শকে সামনে রেখে পাঠক্রম তৈরি করা হয় তা আমার বোধগম্য হয় না। বলতে বাধা নেই ১৯৭১ সালের পর যে প্রজন্ম বাংলাদেশে গড়ে উঠছে তাদের মনোজগৎ অধিকার করে আছে ধর্ম, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, প্রতিক্রিয়াশীলতা ইত্যাদি।       এবার বাংলাদেশে পাঠ্য বইয়ে যে বিবর্তন হয়েছে সে সম্পর্কে দু একটি তথ্য উপস্থাপন করব। তবে বাংলাদেশে পাঠ্য বইয়ের বিবর্তন কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া খুবই দুরূহ। বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা ক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল, এ যাবত যে সব বই প্রকাশিত হয়েছে তার সংগ্রহও বোর্ডে নেই। ১৯৮০র দশকে পঞ্চম শ্রেণীর বইতে আমরা পড়েছি ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আমলে ওই মিথ্যা ইতিহাস সংশোধন করা হয়। ১৯৯৬ সালে পঞ্চম শ্রেণীর আমার বই এ “বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল” রচনাটি সংশোধন করে করা হলো এইরকম – “ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।”      ২০০১ সালে খালেদা– নিজামী সংস্করণে ওই জায়গাতে বলা হলো, “ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে তারা অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুরু হলো হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ।” এখানে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাদ।      তৃতীয় শ্রেণীর বইতে একটি রচনা ছিল “ আমাদের জাতীয় পতাকা”। ১৯৯৬ সালে হাসিনা সরকার সেটি সংস্করণ করে এইরকম করলেন, “ ১৯৭০ সালে সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বেশি আসন লাভ করে। কিন্তু জনগণের রায়কে অস্বীকার করে পাকিস্তানের সরকার আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দিল না। বরং বাঙ্গালীদের কঠোরভাবে দমন করার পথ বেছে নিল।       ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানী সৈন্যরা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন বঙ্গবন্ধু …

বাংলাদেশে পাঠক্রম নির্ধারণে নীতিহীনতা Read More »

বাংলাদেশি সমাজে ইসলামীকরণের প্রারম্ভিক কালপর্ব

পূর্ণিমা নস্কর বাংলাদেশের সমাজে ইসলামের ভিত পাকা করতে বাংলাদেশি সকল শাসকরাই তাঁদের মতো করে উদ্যোগ নিয়েছে। পাকিস্তান আমলের যে অভিজ্ঞতা পূর্ব পাকিস্তানি সমাজের কট্টর ইসলামি নেতৃবৃন্দের সঞ্চয় হয়েছিল – তা ইসলামি সমাজ গড়ার পক্ষে তেমন সহায়ক হয়েছে বলে তাঁরা মনে করতে পারেননি। এবিষয়ে তাঁরা স্পষ্টভাবেই মতামত দিয়েছেন যে, পাকিস্তান ইসলামি রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব  পাকিস্তানে ইসলামের যথাযথ বিকাশ  না হওয়ায় ইসলাম এবং পাকিস্তান বিরোধী নানা আন্দোলন গড়ে উঠতে পেরেছিল। উদাহরণস্বরূপ, ভাষা আন্দোলন, উদার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার আন্দোলন এবং সর্বোপরি, বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তানের) স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বলা যায়। শেষ পর্যন্ত একটি রক্তক্ষয়ী  যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্র প্রদান করার উদ্যোগ নিল।   আর এই সমস্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই পূর্ব পাকিস্তানের ইসলামি পণ্ডিত, মৌলানা মৌলবিগণ ও তাঁদের বিদেশী মুরুব্বীগ্ণ প্রথম থেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে, বাংলাদেশের সমাজের অন্দরে ইসলামি প্রভাবের একটি বাতাবরণ তৈরি করতে হলে স্থায়ীভাবে এমন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা দরকার, যা বাংলাদেশি সমাজকে ইসলামি ধ্যান ধারণায় পুষ্ট করতে পারে এবং এই মনোভাবকে আশ্রয় করেই স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা থেকেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ প্রক্রিয়াকে নির্মূল করে ধর্মভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক  রূপ দিতে হলে দেশে একটি শক্তিশালী ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বা সরকারের প্রয়োজন – তাও তাঁরা অনুভব  করেছিল। কিন্তু, তা করার জন্য শুধু সংবিধানে ইসলামিকরণই যথেষ্ট ছিল না; রাজনীতিতে ও সমাজে প্রয়োজন ছিল ধর্মান্ধ মানবসম্পদের  সুনিশ্চিত জোগান। ঠিক এইরূপ একটা পটভূমিতে আমরা বাংলাদেশে মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার শ্রীবৃদ্ধি ও স্বাধীনতা বিরোধী ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলির প্রত্যাবর্তন এবং পুনর্বাসন দেখতে পাই। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মাদ্রাসা শিক্ষা ও ইসলামি মৌলবাদী দলগুলির যুগপৎ শ্রীবৃদ্ধির ঘটনা এদেশের   বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সমাজ-রাজনীতির চরিত্র ও গতিপ্রকৃতি বুঝতে আমাদের অনেকটাই সাহায্য করবে । ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ও  তার কয়েকদিনের মধ্যে শেখ মুজিবসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান ভূমিকা গ্রহণকারীদের হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরবর্তীকালে  রাষ্ট্রীয় নীতিতে ইসলামি তথা পাকিস্তানি ভাবধারার স্পষ্ট প্রতিফলন  দেখা যেতে লাগল এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে  তার প্রয়োগও ঘটতে থাকল।  মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিচ্ছিন্ন রেখে যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রশাসনের ধর্মান্ধ জনশক্তির সরবরাহ ও চলাচল  সুনিশ্চিত  করা যাবে না; তা বুঝতে বাংলাদেশের তদানীন্তন  শাসকদের বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি। তাই মাদ্রাসা হতে মূল শিক্ষা ব্যবস্থায় চলাচল সুনিশ্চিত করতে সত্তর দশকের শেষার্ধে মূল ধারার সাথে সাথে মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্য বিষয়াবলীর সংযোগ ও  সমন্বয় এমনভাবে করা হয়; যা কিনা মাদ্রাসায় শিক্ষিত ছাত্রদের সহজেই মূল ধারায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইসলামিকরণ রাজনীতির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের পরপরই পাকিস্তানপন্থী ধর্মীয় মৌলবাদী নেতাদেরকে  সমাজে পুনর্বাসিত করার সাথে সাথে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য  দরগা, পীর এবং মাদ্রাসা পরিদর্শনের প্রক্রিয়া, সংবিধান হতে ধর্মনিরপেক্ষতার উচ্ছেদ ঘটানো, সরকারি নীতিমালায় মাদ্রাসা  শিক্ষাখাতে অস্বাভাবিক  ব্যয় বরাদ্দ ও তার পৃষ্ঠপোষকতাদানের ন্যায় ঘটনাবলীর নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ধর্মকে  রাজনৈতিক বর্ম হিসাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এরশাদ তাঁর পূর্বসূরীদের তুলনায় একধাপ বেশি এগিয়ে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময়কালে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে মসজিদের ইমামদের বেতন – ভাতা  বৃদ্ধি করা হয়। শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এরশাদকে সভাপতি ও মওলানা আব্দুল মান্নানকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশের শিক্ষক ফেডারেশনের  কলেবর বৃদ্ধি করা হয়।  উল্লেখ্য যে, প্রায় সকল ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলই সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিল । তবে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আমরা জাতীয় পার্টি ও বি. এন. পি.-র কথা জানি, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধীতা না করলেও বা এখনও পর্যন্ত তা করা সম্ভব না হলেও জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি এদের অনীহা প্রকাশিত হয়ে পড়ে।    বাংলাদেশের সমাজে ইসলামি মৌলবাদী শক্তি, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি এবং মাদ্রাসা শিক্ষার দ্রুত বিকাশের একটি যোগসূত্র  রয়েছে। ১৯৭৫ সালের পরবর্তীকালে জামাতে-ই-ইসলামীসহ অপরাপর ইসলামপন্থী ও দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক শক্তিসমূহ প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক রাজনীতি করার এবং দল গঠন করার সুযোগ লাভ করে । ১৯৭৬ সালের ২৮ শে জুলাই জিয়াউর রহমানের সামরিক প্রশাসন ঘোষিত “রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ বিধি”র মাধ্যমে এরা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিক বৈধতা পায়। জিয়াউর রহমানের সক্রিয় সহায়তায় এইসব মৌলবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুত প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়। এপ্রসঙ্গে বলা যায় যে, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনের  প্রাক্কালে খুলনায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সেমিনারে তদানিন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  লেফটন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নতুন জাতীয় সংসদের প্রথম ও প্রধান করণীয় হবে, কোরান ও সুন্নাহভিত্তিক আইন প্রণয়ন করা ।’ ঐ সেমিনারটির উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশে নিয়োজিত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় যে, ১৯৭৬ সাল হতেই সৌদি আরব, ইরান, লিবিয়া, প্রভৃতি পশ্চিমী অর্থবান ইসলামি রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করতে থাকে এবং বিভিন্ন মৌলবাদী কর্মকান্ডে আর্থিক সহায়তাও দিতে  থাকে। আর এইসব মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের থেকে প্রাপ্ত বিপুল আর্থিক সাহায্য মাদ্রাসা শিক্ষাখাতে ব্যয়িত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের সমাজে ইসলামিকরণের ধারাটি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যায়। এদেশের ধর্মানুরাগী সামাজিক জনগণ জনপ্রিয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানরূপে মসজিদকে অচিরেই গুরুত্ব দিতে থাকে। এর কারণ ১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো স্বনামে আবির্ভূত হতে পেরেই ‘জামাত’ মসজিদ ও ছাত্রদেরকে তাদের রণকৌশলের মুখ্য ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করে । এমনকি, জামাতের কথা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মসজিদকেই  কর্মতৎপরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয় । নিয়মিতভাবে তাফসীর মাহফিল,  শুক্রবারের নামাজের পর খুৎবার বাংলা তর্জমা, ইসলামি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা,  ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা এবং ইসলামি দিবসসমূহের উদযাপনার্থে  উক্ত কর্মসূচীর বাস্তবায়নের জন্যই মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচী সম্পাদন করা হতে থাকে। বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার দ্রুততর বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে ইসলামি ছাত্রশিবির এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদী দলের প্রসার ঘটে চলেছে। মাদ্রাসা সৃষ্ট বিশাল জনশক্তি ইতিমধ্যেই দেশ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ।  উদার  ও শিক্ষিত সমাজে সাম্প্রদায়িকতার  প্রসার ও এর সহনশীলতা এই সকল  কর্মকান্ডেরই ফল একথা এখন  আর অস্বীকার করা যাবে না ।     

Start of 2023: A Sketchy Assessment of Bangladesh Politics

Drona Bandyopadhyay Bangladesh is gearing herself up for the next general election in the end of 2023 and start of 2024. As political tradition shows the elections in Bangladesh are always enervatingly marred by conflicts and controversies. The main contenders in the power politics of Bangladesh are Awami League (AL) and BNP. But BNP has clearly stated that it will not take part in the next general election if it is held under the present dispensation of Awami League govt. under the premiership of Sheikh Hasina. BNP demands resignation of Sheikh Hasina and inclusion of the provision of non-party caretaker govt. in the constitution to arrange and organize a free and fair election.Already BNP and her allies including 20 party alliance and newly formed Ganatantra Mancha has taken a hardline position regarding their demands. Awami League has also taken a hardline stance to counter the demands and ongoing demonstrations of BNP. PM Sheikh Hasina has given a stern warning to BNP to not to cross a redline in the name of political movement to dislodge the government from power which is in power since 2009, an unprecedented event in the political history of Bangladesh. Due to rising power, foreign exchange reserve and inflation crises the govt is facing real threat from the economy. The corruption, money laundering, extra-judicial killings, imposition of U.S. sanctions on RAB and 6 high ranking officials have posed a grave challenge to the popularity of Awami League. But AL has a large countrywide organization, dedicated frontal organisations and huge money, muscle and media power. Moreover it has a large beneficiary segment in every strata of the society due its longest stint in power. Al has done a remarkable job in economic upliftment and infrastructural development. Padma Bridge bears the testimony to it. It is the edifice of Sheikh Hasina’s legacy. History is also on the side of AL. AL has no record of being ousted from power through popular revolt. On the contrary AL ousted many unpolular governments in 1954, 1969, 1990, 1996 and 2006-2007. The violent extra-constitutional intervention can remove AL from power. 1975 tragedy proves it.But there is a catch here.Since 2014 AL is no more dependent on electoral competition and performance. Both 2014 and 2018 elections were objectionable. The common people want a change. They are tired of sermons on MUJIB, 1975 TRAGEDY, LIBERATION WAR VALUES, etc. The economy is in doldrums. People are reeling under dire financial constraints.The high-handedness of police and other state agencies are an important issue in the public domain. The minorities are still insecure in public life. They are harassed across the country.Tribals of CHT have not seen the complete implementation of peace treaty and resolution of land issues in their habitat zone. VP Nur, Reza Kibria, Zafrullah Chowdhury, Kamal Hossain, Badiul Alam Majumdar, are important civil society power players backed by several foreign embassies. They want a non-party administration in Bangladesh. Mohammad Yunus is their clan leader. Hefazat I Islam will be a divided force in case of any political upheaval between AL and BNP. Some Islamist forces like Tarikat Federation Khilafat I Majlis will stand behind AL. Jamaat will completely back BNP and its cadres are ready for a final showdown against Hasina regime. The moderate BNP leaders like Fakhrul, Dudu, Iqbal Tuku, etc.are not ready for any violent tumult in the country. AL will not spare an inch in case of any political turmoil. Sk. Hasina is a hard nut to crack and a seasoned politician. Military and other state forces will not go for another 1/11 without the support of Indian govt. This is a great advantage for Hasina. BNP knows it.It will only go for rabble-rousing but never opt for any direct confrontation. AL is weak in popular support at present but Hasina will merge as a legend if BNP and other anti-AL forces fail to dislodge her from power this time. Jatiya Party is finished force. ALwill encourage them to take a strong stand against it so that BNP will fail to capture the entire opposition canvas. GMQader is ready for it. But Rawshon Ershad is totally subservient to Hasina. Bidisha Ershad is not a factor at all. Here is also a problem for AL. Common people do not regard JP as an opposition party.due to their consistent bootlicking. 10thDecember was a dateline. AL had shown its teeth and nails to remain in power. BNP should not go for any further confrontation. If this time 1/11 happens it will install a civil society led govt for atleast a decade Khaleda and Hasina were in early 60s during 2006. Now they are old and Khaleda is completely frail. Moreover another political development is taking place in the external politics of Indian sub-continent. Bangladesh is emerging as the fulcrum of clash between China on the one side and India and USA on the other. The continuous Chinese engagement in the economic development of Bangladesh and her joining in the Belt and Road Initiative of China is not well received by India and USA. Again China has already publically warned Bangladesh to not to join ‘QUAD Plus’  led by USA despite being the biggest development partner of Bangladesh in terms of financial loans and grants. The American administration is not taking the growing Chinese influence in Bangladesh in a reluctant manner. Bangladesh has asked to join QUAD, IPEF ( INDO PACIFIC ECONOMIC FRAMEWORK) and IPS ( INDO PACIFIC STRATEGY).  Bangladesh, being a small country with a huge poor population,  cannot ignore the pulls and pressures of the world powers. The recent visit of US Assistant Secretary of State in charge of South and Southeast Asia Mr. Donald Lew has paid a  two day visit  (14th and 15th January) to Dhaka which bears deep diplomatic significance. He acknowledged that the issue of IPS has been discussed with his Bangladeshi counterpart and assured that it is basically a strategy for future not a club against anyone. Lew’s visit in the backdrop of Treasury sanctions of US …

Start of 2023: A Sketchy Assessment of Bangladesh Politics Read More »

Declining Democracy in Bangladesh

Sudip Kumar Acharya The functioning of democracy in Bangladesh has been witnessing a chequered journey since 1971.  Simply, the swinging democratization process in Bangladesh is continuing till date.  We know that, from time of its independence, Bangladesh has been submerged in critical internal contradictions. The Bengali national identity by which the freedom struggle of Bangladesh got a determined character did not proceed further because Bengali cultural traits were replaced by Islamic cultural characteristics and maligned by Islamization process especially after Mujib’s assassination on 15th August 1975.  Though 1972 Constitution of Bangladesh asserted the pride of Bengali identity in place of Muslim nationalism, but majority of ministers did not care much of being Bengali or secular and inclined towards Arabized culture which was given major importance. The liberal Bengali culture became short lived and afterwards irrelevant.  On the other hand, Mujib had a promising start with secular, social outlook but later he did not nurture democratic voice of his beloved nation and became authoritarian, proscribed opposition and introduced one party rule.  The decay of democracy to some extent had already started during Mujib’s rule and his disastrous murder paved the way for prolonged military rule.  The next ruler Major General Ziaur Rahman seized maximum executive power and accelerated the process of Islamization.  A new sort of praetorian political culture decorated with radical Islam grasped the domestic political milieu of the country. It was the most dangerous phase against democracy when orthodoxy was assembled with politics and state policy of secularism was vaporized from objectives of state through undemocratic politics.  In a nutshell the political culture of Bangladesh has changed since long after the end of Mujib regime. The revengeful politics and minority persecution were parallelly introduced.  In time of Ziaur Rahman steps were taken to demoralize the constitution through shrugging off the ideals of freedom struggle and Pakistan oriented communal values. So, Islamization of Bangladesh was a natural phenomenon and became a threat to Hindu, Buddhist and Christian minority communities.  We have to remember that in its Constitution, Bangladesh has state religion of Islam The dictator President Chief Marshal Law Administrator (CMLA) Hossain Mohammad Ershad in the year 1988 forcibly through constitutional amendment  introduced state religion in Bangladesh. Earlier Ziaur Rahman also amended the Constitution and four basic principles of 1972 Constitution (Nationalism, Socialism, Democracy and Secularism) were diluted and `Bismillahi-Rahman-er-Rahim’ was adjoined before Preamble.  Moreover, a new sort of Bangladeshi identity had been incorporated which was fully covered with Islamic aroma, Religion had taken hegemonic role in Bangladesh and diluted democracy. In 1991, ten per cent of religious minority except Islam existed in the country but in 2001 the proportion decreased steadily. The Chittagong Hill Tract (CHT) was destroyed many times by state sponsored various forces  The local ethnic groups are outnumbered due to Muslim infiltration patronized by state itself. Consequently, tribals migrated from Bangladesh and sheltered into India.  The CHT leaders formed resistance movement against the Government.  Later Sheikh Hasina signed peace accord with P.C. J. S. S. but even after a long time the accord not fully implemented.  The forced eviction of minorities from land, rape of minority women and children had drawn attention and severe criticism from global human rights groups. We can add another pointin this regard that this overt Islamization has led to a definite shift towards radical Islamic nationalism.  Besides, the rising of Jamaat in the last decades of 20th and early decades of 21st century had a fatal impact on the political culture of Bangladesh. Within a short span of time Jamat became the largest Islamic Party in Bangladesh and contested in national elections.  The Jamat-e-Islami’s ideology has spread gradually. Jamaat leaders became ministers in the BNP led regime of Prime Minister Begum Khaleda Zia (2001-2006).  In 2008, it got nearly four lakh votes which is four percent of total votes.  The resurgence of theocratic tendency and the growing animosities between Begum Khaleda Zia and Sheikh Hasina have weakened the republican credentials. The resurgence of Islam at the direct behest of the state especially under the time of Begum Zia, made serious challenges towards democratic consolidation. Moreover, radical Islam is connected with worldwide Jihadist network. On the other hand, the personality-prone politics fanned the flame of feudal tendencies in democracy.  The transparent electoral process run by different caretaker Governments did not bring much instability or political maturity. The tendency of extreme religious awakening namely by the radical Islamic groups, Ansarullah Bangla, or J.M.B, in Bangladesh affect foreign relations with immediate neighbours.  India has alarmed Bangladesh several times about the fundamentalist groups which sheltered in Bangladesh as they are dangerous for Indian security scenario.  Except that, many a times Indo-Bangladesh relations became worse with different issues like trade disputes, border disputes, Ganges River water sharing, migration, insurgency, anti-Hindu and anti -tribal violence, confusions regarding Gas exports. In most of the cases fragile condition of democracy in Bangladesh has been responsible for such hindrances in the way for smoother bilateral relationship. As an instance the acute anti-Indian rhetoric in Bangladesh can be regarded as a bulwark against strong relations.  The opportunist political tendencies of Bangladesh are also an interesting section like most of the third world democracies in the world.  It is astonishing that Sheikh Hasina joined hands with notorious dictator and C.M.L.A. Hussain Muhammad Ershad and his Jatiya Party while Begum Khaleda Zia had her coalitions with radical Islamist group Jamaat-e-Islami.  Nothing is impossible in the dance of democracy in Bangladesh.  Indeed, the growth of various religious parties such as the Islami Oikyo Jote Front is the output of Islamization and its wider acceptance in Bangladesh.  Hence, communal harmony and tolerance are becoming invisible in Bangladesh. Though different sections of liberal progressive intelligentsia have endeavored to regain the place of non-communalism and secularism but unable to receive enough support from the common public. So these above negative factors have weakened democracy and political culture in Bangladesh. Eventually, the anti-democratic forces are flourishing in Bangladesh and the insecurity of the minorities is rising.  The …

Declining Democracy in Bangladesh Read More »

An essay on the Rohingya crisis

Jayanta Kumar Ray National Research Professor, Ministry of Human Resource Development, Government of India & Honorary Adviser, Centre for Research in Indo-Bangladesh Relations, Calcutta. Rakhine (known as Arakan during British rule) is a province of Myanmar. Buddhists form a majority in Rakhine. But, Muslims, according to one assessment, emerged in Rakhine (Arakan) as early as 8th century AD, and the distinctiveness of Rakhine Muslims (Rohingyas or Chittagonian Muslims or Chittagonian Bengali Muslims) became evident by the fifteenth-sixteenth centuries.1 A UN Report on Rohingyas, prepared by a human rights organization, also claims that Rohingyas came to the region in the 8th century.2 However, there is another view that Rohingyas never had millennia long connection with the Arakan state as it is a fabricated story that has no academic acceptability.3 Interestingly, from 1950s, the term ‘Rohingya’ began to be used by the direct descendents of Muslim migrants from Chittagong.4 In 1785, the Konbaung Dynasty of Burma occupied Rakhine. Later, the Anglo-Burmese War (1824-26) started, and the British conquered the whole of what they called Arakan (currently Rakhine). Bengali Muslims began to migrate to Arakan, which was encouraged by the British. From 1826 onwards, British companies had been recruiting Bengali Muslims in Arakan in commercial ventures, like mining, cutting of teak trees, constructing roads and bridges, etc. It led to massive Muslim migration, which continued for more than a century. There was a significant economic reason behind the massive migration of Bengali Muslims from Chittagong to Burma. Compare to Bengal, wages in Arakan were very high.5 In the estimate of Burmans, who comprise the ethnic majority in Myanmar, a majority of the Muslims currently living in Rakhine are the descendants of the migrants from Chittagong, located in present day Bangladesh. During colonial rule, Chittagonian immigrants turned into a dominant group in some parts of Burma.6 Burmans form the ruling circle, although since 1962, the military have (visibly or invisibly) governed the country, and their concept of the essentials of Burmese national culture excludes Rakhine Muslims, obliterating even the distinction between Muslims living in the pre-British era, and those arriving in the British era.7 It is important to keep in mind that the Government of Myanmar considers 1826 as a watershed regarding the issue of conferring citizenship rights on the Rohingyas.8 One striking fact is that unlike any Muslim-majority country, despite having its own Buddhist identity, Burma was a tolerant country and did not declare Buddhism as state religion. Moreover, non-Buddhists had complete freedom to practise their religion, and more significantly, public opinion in Burma was not in favour of conversion from one religion to another.9 None of these progressive features can be observed in any Muslim country in the world. Indeed, British conquest of Burma drastically changed the status quo of Burmese society due to a huge Muslim migration from India. With the substantial growth of immigrants in Burma, Muslims began to develop their religious activities to the fullest extent, such as building of mosques and other religious institutions, which Burmese Muslims had never done before.10 After the declaration of the British government that Arakan was a part of Bengal presidency, Muslim population in Arakan increased in a colossal fashion, and subsequently reached twenty percent of the total population. Ceaseless Bengali Muslim migration to Arakan led to clashes between Bengali Muslims and the Buddhists. The clash between Buddhists and Rakhine Muslims, currently called Rohingyas, became inevitable, especially because of violent anti-Buddhist activities of the Rohingyas, such as destruction of Buddhist temples, forceful conversion to Islam, etc. The British did nothing to stop such violence conducted by the Rohingyas. Later, during the time of the Second World War, Rohingyas supported the British, whereas Buddhists supported Japan. The British government provided arms to Rohingyas, which were used to kill Buddhists. In 1942, Rohingyas killed 20,000 Buddhists in Northern Arakan. When Japan occupied some parts of Burma, the British government formed Volunteers Force to provide arms training to Rohingyas to fight against the Japanese, and Rohingyas used those arms against the Rakhine Buddhists. Rohingyas killed Rakhine Buddhists and destroyed their religious institutions.11          In 1948, when Burma got independence, Rohingyas refused to be citizens of Burma, and requested M.A. Jinnah to include Arakan in East Pakistan. Nevertheless, Jinnah turned down their request. The reason behind Jinnah’s refusal was not far to seek.  The Eastern part of Pakistan (called East Bengal till 1956) had a population already exceeding that of the Western part of Pakistan. To add Rakhine Muslims to East Pakistan was to aggravate the population disparity between the two parts of Pakistan—which was a distinct disadvantage in the political arithmetic of any democratic system. Under these circumstances, Rohingyas formed the Mujahid Party in 1948 with an ambition of establishing a Muslim state in Northern Arakan. From 1948 to 1962, Rohingyas destroyed countless Buddhist temples and cultural centres.12 Subsequently, in 1962, this situation changed when General Ne Win came to power through a military coup. The Ne Win government passed an exclusionary Citizenship Act, which made three categories of citizens–National, Associate, and Naturalised–in 1982. Full citizenship was conferred on 135 national races, officially declared as indigenous groups, who have proven record of ancestry in Burma before 1823, i.e. prior to the first Anglo-Burmese War.13 It is important to remember that even in 1971, Burma (called Myanmar since 1989) provided shelter to 75,000 Bengali Muslims, who had been tortured by the West Pakistani military, seeking safety in Burma. The Islamic terrorist organisation, Arakan Rohingya Salvation Army (ARSA), formerly known as Harakah-al-Yakin, wants to establish an Islamic state in Myanmar. It is an undeniable fact that Islamic terrorism is largely responsible for today’s crisis in Myanmar. Saudi Arabia, Malaysia, and a number of Arab states are providing all kinds of resources to the Muslim jihadis in Myanmar, which plays a key role to intensify the crisis.14 Significantly, for a long time, Bangladesh has been patronising the Rohingya terrorists. In 1978, the Rohingya Solidarity Organisation (RSO) was formed in Chittagong, and it provided arms training to the local …

An essay on the Rohingya crisis Read More »

SAARC possibilities overcast by problems

Bimal Pramanik Political leadership in India has always subscribed to commonality in the region and the need to cooperate, instead of looking at diversities and differing perceptions from a narrow, sectarian perspective. As early as August 1983, when SAARC was not even formally born, Mrs Indira Gandhi, addressing the foreign ministers of South Asia, said: ‘Our cooperation in no way limits each country’s freedom of judgment. It is allied solely to development and to the strengthening of the economics of our individuals countries. Let us not be disheartened if we have some difficulties and differences to contend with —– our very cooperation will increase our capacity to withstand pressure. With unity we can hope to move ahead to a future of freedom, peace and prosperity.’1 At the time of establishment of this regional forum (SAARC) in 1980s there were some declared objectives but some hidden agenda also. Bilateral relations of the regional countries, particularly Pakistan, Bangladesh and Nepal with India were not so warm at that time; rather, it was strained in the fields of politics and economics. In absence of deep rooted democracy or democratic environment in those countries, perception of regional development among the political leadership was hazy. Bilateral issues dominated in the field of the foreign policy because of lack of foresight of the possibilities of common regional development. It was a fact that the nature of the existing bilateral issues with neighbouring countries was not simple, and prospects of solving them hardly bright. Particularly, with Pakistan and Bangladesh, it was  the continuing vendetta of partition. Apart from that, neighbouring countries of India have been trying hard to internationalize some bilateral issues and condemning India’s intervention in them, e.g.  the liberation war of Bangladesh in 1971. Pakistan was not ready to admit that it was the wrong policy of Pakistan that led to the separation of its eastern province.         Though the SAARC members do not face a common threat to security, they have a sort of common allergy to India. Overwhelming predominance of India in South Asia is a major handicap for the smooth sailing of SAARC. In short, the gigantic size of India is generally regarded as an inimical factor in the development of regional cooperation in south Asia.2 Apart from size; there is an enormous disparity between India and its wary neighbours in terms of population, resources, military might and the level of economic and technological development. In South Asia, India is centrally situated while other members of SAARC are located in the periphery. As a result of this peculiarity, each country of the region is closely related to India socio- culturally, economically and politico-strategically. Moreover, it is due to the peculiar geographical position of India that numerous problems and tensions frequently erupt between India and its neighbours. Periodical border clashes and the alarming problem of migration, which are the by–products of this unique socio economic, political and geographical feature, hamper the smooth progress of SAARC. It is no exaggeration to say that there is the inevitable presence of India, to a considerable extent, in every other country of South Asia. In other words, India has strong cultural, religious, historical and political bonds with the South Asian countries. The uniqueness of South Asia is considered to be a basic problem which is uncongenial to the promotion of regional cooperation in this region. The region of South Asia is marked by the presence of great disparities which rarely exist in any other part of the globe; again, there are very few regions in the world which share such strong cultural affinities like South Asia. In Western Europe, the original members of the European Economic Community (EEC) were more or less equal in terms of status, power, population and resources, but each of them had long separate historical and cultural   tradition which led to the development of separate national identities. The seven constituent states of SAARC(at the time of establishment)  were unequal in status, size, population, possession of natural resources and the level of economic development. These types of dissimilarities have not been conducive to the uninhibited growth of regional cooperation in South Asia.3 Since its very inception, the normal activities of SAARC have been inhibited by the strained bilateral relations between India and its neighbours. A number of irritants have often marred the apparently cordial relations between India and the other member states of SAARC. India’s conflictual relations with most of the neighbours no doubt have an adverse effect on the overall performance of SAARC, but it is Indo-Pak hostility since 1947-48 that accounts for a major part of success or failure of SAARC. Indeed, Indo-Pak rivalry lies at the root of all troubles in South Asia. There are several contentious issues between these two rival countries, of which Kashmir problem is the foremost. The Kashmir imbroglio has triggered four armed conflicts between these two countries so far.  In order to further complicate the bilateral relations, Pakistan even attempted to fish in the troubled waters between India and other neighbours. In addition to this, Pakistan even tried to gang up with the smaller neighbours against India by exploiting their grievances against India. Pakistan suffers from a paranoia that its economy is going to be swamped by the huge Indian economy. This is why Pakistan opposed the launching of South Asian Preferential Trade Agreement (SAPTA) proposed by India. Later on, although Pakistan accepted SAPTA, it had not granted the ‘Most Favoured Nation (MFN)’ status to India, while India had already accorded the same to Pakistan 4. Thus, the continuing animosities and mutual suspicion between India and Pakistan on Kashmir explains the slow progress of SAARC. The quest for integration in South Asia, economic and political, will be a far cry unless the relations between them are improved. SAARC lacks the essential prerequisite of a common threat perception, and this is one of the most important impediments to the smooth sailing of SAARC. The huge size of India has made it the source of perceived threat …

SAARC possibilities overcast by problems Read More »