Center For Research In Indo

Articles

Bangladesh economy- on free fall?

Dr Kasturi Bhadra Ray   Bangladesh spiraled into a crisis after nationwide protests over a job quota bill flared up. Following the agitation, Sheikh Hasina, Bangladesh Prime Minister fled to India for safety and security. Thousands of protesters stormed and looted prime minister’s residence. Several police stations, buildings and public places were ransacked and set on fire.   Violence in any nation, or even in a small area, costs hefty amounts as it hampers several economic activities. These include the day-to-day operations of local markets, hospitals, transport and offices, food delivery system and e-commerce.    Curfews were imposed in Bangladesh and internet was shut down, further impacting the operations in the fragile economy.    Violence also impacts human productivity (Anand 2024) .Bangladesh’s garments manufacturer’s body has called for a complete shutdown of all facilities causing a major disruption to the nation’s key industry. The garment and textile industry was finding it hard to stay afloat with the harsh reality of diminishing international orders, high energy price and mounting bank liabilities amid a challenging economic climate and ongoing agitation.    Bangladesh’s garment factories helped pull millions out of poverty; especially first-time female workers (Frayer2022).It is the second largest clothing exporter behind China. However, its economy is very much entwined and dependent on the rest of the world– the international demand for its garments and textiles, its big diaspora that sends remittances home and the government’s reliance on imported fuel to run its electricity grid.   The country’s economic health largely rests on those three things — exports, remittances and fuel prices — all of which have taken a hit in recent months.   Bangladesh’s power grid is shaky and runs in part on imported fuel (Times of India 2022). That’s getting more expensive after Russia’s invasion of Ukraine. “While Bangladesh’s amazing growth was going on, what it was hiding is that infrastructure was always a problem. Power is always in deficit,” says Ahmed Mushfiq Mobarak, professor of economics at Yale University. So when any kind of shock happens — like Russia invades Ukraine, thousands of miles away — the country is immediately put on an edge.    That’s of course true across the world. But Bangladesh is less equipped to handle the shock. In U.S., the price of gasoline depends on global fuel prices, but also on how much tax federal and state governments levy on top of that. But in Bangladesh, like many developing countries, the government subsidizes the price of fuel.   That changed in August, when the government decided it could no longer afford to keep fuel prices artificially low. In a single week, it raised the price of gasoline, diesel and kerosene by more than fifty percent. Local media called it the steepest price hike since Bangladesh’s 1971 founding.   Higher fuel prices directly increase the cost of running factories, making it harder for garment manufacturers to remain competitive in the global market.  The lack of domestic yarn production due to gas shortages forces manufacturers to import more expensive yarn, further increasing costs.    The textile industry has been heavily affected by a severe gas shortage, leading to a significant drop in production. The gas crisis in Bangladesh has caused a drastic reduction in textile production, with some factories operating at less than thirty percent capacity and others closing down temporarily.    As Bangladesh is one of the world’s largest suppliers of textiles and garments, this reduction has created bottlenecks in the global supply chain. The instability and failures to meet delivery deadlines or maintain price competitiveness pushed International buyers to shift orders to other countries with more stable production costs. Bangladesh’s garment industry, worth $55bn (£42bn) a year, is now facing an unsettled future resulting in a “10-20% drop in exports this year which  is no small amount when fast fashion exports account for eighty percent of Bangladesh’s export (Inamdar 2024).   In the meantime, a big source of income for Bangladesh from its diaspora, suffered a setback. Some thirteen million Bangladeshis live abroad. Many of them send money home. But this year, remittances fell by more than fifteen percent. Bangladeshis living abroad are tightening their belts. It could be in part because the U.S. dollar has become very strong. That means someone abroad needs to send less in order to have the same amount of Bangladeshi currency. However, figures from the central bank, Bangladesh Bank, show remittances to the country stood at $1.9bn in July 2024, a decline of $64mn. The figure was also down on the $2.5bn sent during June 2024.The intermittent internet access during the period was one of the reasons suggested for the reduced flows also. However, Asad Islam, professor in the department of economics at Monash Business School, says there are other reasons. For instance, many expatriates delayed or refrained from sending money to Bangladesh due to concerns about the stability and security in the country’s banking system.    Bangladesh’s transformation into a global fashion powerhouse has been a remarkable success story, but recent turmoil has exposed deep vulnerabilities in its economy (Daily Bangladesh 2024). The country’s rapid rise from poverty to a lower-middle-income status has largely been fuelled by its garment industry, which clocks exports of billions of dollars each year. However, the current instability underscores that this economic success is precariously built on shaky foundations. The recent political upheaval, which led to the ouster of Prime Minister Sheikh Hasina and severe violence, has significantly disrupted the garment sector. Factory closures, interruptions in production, presently skyrocketing fuel prices, and withdrawal of major brands, highlight the fragility of an industry that has become the backbone of Bangladesh’s export economy. The potential 10-20 per cent drop in exports signals a worrying trend for a sector that already faces numerous challenges.   Bangladesh’s economic reliance on fashion has long been a double-edged sword (Daily Bangladesh 2024). The challenges facing Bangladesh are compounded by a range of structural issues. The garment industry’s economic impact is undermined by rising operational costs and shrinking foreign currency reserves, exacerbated by …

Bangladesh economy- on free fall? Read More »

জাতিসংঘ ১৭তম সংখ্যালঘু ফোরামে শিতাংশু গুহ

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক আমি বলি, এ সময়ে নোবেল বিজয়ী ড: মোহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশে রাজত্ব করছেন, তিনি নোবেল বিজয়ী কিন্তু তার সরকারের কর্মকান্ড মোটেই ‘নোবেল’ নয়, বরং তার ছায়াতলে বাংলাদেশ এখন ‘রেডিকেল ইসলাম’-এর অভয়ারণ্য। এ সময়ে খট খট খট আওয়াজ, অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি আপত্তি তুলেছেন। চেয়ারওমেন আমাকে ‘পয়েন্ট অফ অর্ডারে’ থামিয়ে দিলেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি বললেন, বক্তার বক্তব্য সম্মেলনের সাথে সাযুজ্য নয়, ড: ইউনুস এখন বাংলাদেশের সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। চেয়ারওমেন আমাকে সৌজন্য রক্ষা করে পুনরায় বক্তব্য রাখার সুযোগ দেন্। আমি বুঝতে অপারগ যে, আমার বক্তব্যে কি এমন ‘অসুন্দর’ ছিলো? আমি তাই ওপরের কথাগুলো পুনরাবৃত্তি করি।  আমার বক্তব্যের শুরুতে আমি বলি, সন্মানিত চেয়ারওমেন ইতিপূর্বে আমার আগে এক ডজনের বেশি বাংলাদেশের প্রতিনিধি বক্তব্য রেখেছেন, তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। বর্তমান সরকারের অধীনে শিল্প-সংস্কৃতি, প্রেস-ফ্রিডম ও সংখ্যালঘু অধিকার চাপ ও হুমকির মুখে। এ সরকারের হাতে এর কোনটাই নিরাপদ নয়। এগুলো খতিয়ে দেখতে আমি জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং’ মিশন পাঠানোর আহ্বান জানাই। একই সাথে ঢাকায় জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার সংক্রান্ত অফিস খোলার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমি বলি, এই সরকার অত্যাচারী। দৃষ্টান্ত হিসাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার, হিন্দু যুবক রবি দাস হত্যা এবং চট্টগ্রামের হাজারী লেনের ঘটনা তুলে ধরি।  আমি বলি, এই সরকার জাতীয় পতাকার পরিবর্তন করতে চায় এবং সংবিধানকে ইসলামীকরণ করতে উদ্যত। আরো বলি, ড: ইউনুস বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে মরু সংস্কৃতিতে পরিণত করতে চাচ্ছেন, প্লিজ এদের হাত থেকে বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচান। সংখ্যালঘুদের নিশ্চহ্ন হবার হাত থেকে রক্ষা করুন। আমার কথা বলা শেষ হবার সাথে সাথে কোথা থেকে লন্ডনের পুষ্পিতা গুপ্ত দৌড়ে এসে চেয়ারের পেছন থেকে জাপ্টে ধরে বলে, ‘ফাটাইয়া দিছেন’। পাশে বসা জেনেভার অরুন বড়ুয়া ও মন্ট্রিলের দিলীপ কর্মকার এবং ক’জনা বিদেশী উচ্ছাস প্রকাশ করেন। নিষেধ থাকা সত্বেও হাততালি পরে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধির অহেতুক বিরোধিতা হয়তো এ উচ্ছাসের কারণ।  জেনেভায় দু’দিনব্যাপী জাতিসংঘের ১৭তম সংখ্যালঘু ফোরামের শেষদিনে শেষ অধিবেশনে আমি এসব কথা বলি। সারা বিশ্বের ৫/৬শ’ সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন, কথাবার্তা বলেন। জাতিসংঘ এর প্রেক্ষিতে একটি রিপোর্ট তৈরী করে। এবার অন্তত: ২০জন সংখ্যালঘু এতে অংশ নেন, বক্তব্য রাখেন। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির খলিলুর রহমান বক্তব্য রাখেন, এই ভদ্রলোক ও তার স্ত্রী সাজিয়া রহমানের আতিথেয়তা ভুলবার নয়, মিটিং-র পরে তাদের রেস্তোরাঁ ‘সাজনা’ ছিলো আমাদের আড্ডাস্থল। পুষ্পিতা গুপ্ত, দিলীপ কর্মকার, রতন বিশ্বাস ও বাংলাদেশের সবার বক্তব্য ভাল হয়েছে। অধিকসংখ্যক বাংলাদেশির উপস্থিতি জাতিসংঘের দৃষ্টি কেড়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস প্রথমে পাত্তা না দিলেও পরে এমনকি রাষ্ট্রদূত এসে বক্তব্য দেন্।  এ সম্মেলন ছাড়াও আমরা একটি সাইড-ইভেন্টে বক্তব্য রাখি। জাতিসংঘের সামনে বিখ্যাত ‘ভাঙ্গা চেয়ার’-র পাদদেশে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে একটি মানব বন্ধনে অংশ নেই। এগুলো নিয়ে ভিন্নভাবে লেখার ইচ্ছে আছে। লন্ডন ও ফ্রান্সের দু’টি বড় গ্রূপ জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেয়। এসব কিছুর পেছনে ছিলো জেনেভার ‘বাংলাদেশ মাইনরিটি এলায়েন্স এন্ড হিউম্যান রাইট্স’ এবং এর নেতা অরুন বড়ুয়ার অক্লান্ত পরিশ্রম, সাথে খলিলুর রহমান।  Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

চট্টগ্রামের হাজারী লেনে যা ঘটেছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ!

শিতাংশু গুহ, নিউ ইয়র্ক   নিরাপত্তা বাহিনী যখন ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ভেঙে কারো বাড়িতে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে, তখন সেই অভিযানের উদ্দেশ্য অবশ্যই প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ঠিক এমনটাই ঘটেছে চট্টগ্রামের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা হাজারী লেনে। ইসলামপন্থীদের একটি গ্রুপের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশ রাতের অন্ধকারে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে হিন্দুদের বাড়ি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। কতজন আহত বা নিহত হয়েছে, কেউ নিশ্চিতভাবে জানে না, কারণ কোনও গণমাধ্যমই ঘটনাটি রিপোর্ট করার সাহস পায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি না করা হবে, হাজারী লেনের হিন্দুদের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাকি অংশের হিন্দুদের কান্না থামবে না। অপরাধীদের বিচার কি হবে? অতীতে হয়নি এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখন হবে, এমনটি আশা করা যায় না। কেন? কারণ বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হলে কেউ পাত্তা দেয় না।    দিনটি ছিল মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর ২০২৪। পরের দিন সেনাবাহিনী একটি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে যে, তাদের দিকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যদিও কোনও পর্যাপ্ত প্রমাণ সরবরাহ করা হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৯ জন হিন্দুকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে, মুসলিম সম্প্রদায়ের একজন সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করে হাজারী লেনে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রতি আচরণের সাথে তুলনা করেছেন [১]। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে তাদের আট দফা দাবি নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।      ৮ই নভেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর চট্টগ্রামে জঙ্গী মুসলিম দলগুলোর নেতৃত্বে এক বিশাল মিছিল বের হয়। অংশগ্রহণকারীরা প্রকাশ্যে স্লোগান দেয় যেমন, “একটা একটা ইসকন ধর্, ধইরা ধইরা জবাই কর্ [২]।” ইসকন (দ্য  ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস) হল বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় সংগঠন যা প্রাচীন গৌড়ীয়-বৈষ্ণব ধারায় অহিংসা ও আধ্যাত্মিক চেতনা অনুশীলন ও প্রচার করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইলিয়াস হোসেন, ফ্রান্স থেকে পিনাকী ভট্টাচার্য এবং ঢাকায় সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানের সমন্বিত প্রচারাভিযান ইসকনকে পৈশাচিক রূপ দিতে এবং এই সংগঠন  ও সাধারণভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।      ৬ই নভেম্বর, ইসকন বাংলাদেশের সেক্রেটারি চারু কৃষ্ণ দাস এক বিবৃতিতে সংগঠনের অরাজনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করেন এবং আন্দোলনের সঙ্গে কোনওরকম সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন [৩]। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিবৃতির উস্কানিমূলক প্রকৃতি সত্ত্বেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, অপারেশন চলাকালীন তারা নিরপেক্ষ ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর বক্তব্যে যে প্রধান প্রশ্নগুলি অনুপস্থিত রয়েছে, তা হচ্ছে: “কেন অপারেশনের আগে সিসি ক্যামেরাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল?” এবং “কেন নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বেসামরিক ক্যাডাররা জড়িত ছিল?” [৪]   আমরা দু’জন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছি যারা তাদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছিল। তারা জানিয়েছে যে, ৫৭ জন হিন্দু আহত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, পুলিশ প্রায় ২০০ হিন্দুকে আটক করে নিকটবর্তী একটি অস্থায়ী সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখে। পরে প্রায় শতাধিক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ ৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে, যাদের জনসাধারণের দৃষ্টি এড়াতে রাত ১.০০টায় বিচারকের সামনে হাজির করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, আটককৃতদের শরীরে নির্যাতনের দৃশ্যমান দাগ ছিল, অনেকে আদালতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানায় যে, তারা “অ্যাসিড নিক্ষেপ” সম্পর্কে কোনকিছুই জানত না, বরং তারা পাথর নিক্ষেপ করতে দেখেছিল।    এর আগে, ওসমান মোল্লা নামে এক মুসলিম ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসকনের বিরুদ্ধে কিছু উস্কানিমূলক পোস্ট করেছিল, যা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতিবাদ করে। স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম দোকান মালিকরা ঘটনাটির মধ্যস্থতা করেন এবং ওসমানের ক্ষমা চেয়ে একটি লিখিত মুচলেকা নিয়ে বিষয়টির সমাধান করেন। যাইহোক, এই ফলাফলে অসন্তুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি হিন্দুদের শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং বড় প্রতিবাদ সংগঠিত করেছিল। সেই রাতে, জঙ্গি ইসলামপন্থীরা পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একযোগে আক্রমণ করে ১৫-২০টি সোনার দোকান লুট করে, এবং অনেককে গ্রেফতার করে যাদের অধিকাংশই নির্দোষ। পুলিশ রুবেল সাহা, অমিত ধর এবং ডাঃ কথক দাসের মতো ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে, যাদের সঙ্গে ঘটনার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না।    প্রত্যক্ষদর্শীরা নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে দুটি দলকে দেখেছেন– একটি সম্পূর্ণ হিন্দু বিরোধী এবং অন্যটি হিন্দুদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযানের বিরোধী। তারা আরও বলেছে যে, হিজবুত তাহরীর এবং জামাত ক্যাডাররা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যোগ দিয়ে বেশিরভাগ লুটপাট চালিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী হিন্দুদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আরাধ্যা সাহা নামে এক তরুণী মানবাধিকার সংস্থার কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে বলেন যে, নিরাপত্তা বাহিনী ও জামায়াত সমর্থকরা যখন তার বাড়িতে প্রবেশ ও লুটপাট করে, তখন তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। আন্দোলনে জড়িত নেতাকর্মীদের বাড়িতেও পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।    দ্য হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজ (এইচআরসিবিএম)-এর সুমন সিকদার, লাকি বাছাড় ও সুজিত দাসের নেতৃত্বে একটি দল স্থানীয় পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করেছেন কিন্তু কোনও সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া পাননি। সূত্রের মতে, পুলিশ আটকদেরকে বাংলাদেশের পতাকার উপরে প্রদর্শিত তথাকথিত আরএসএস পতাকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। বাস্তবে, এটি একটি জাফরান পতাকা যা সাধারণত হিন্দুদের দ্বারা ব্যবহৃত হয় এবং অন্যটি বাংলাদেশের পতাকা ছিল না। পুলিশের আরও জিজ্ঞাসা ছিল, ভারত তাদের সমর্থন করছে কিনা। তারা এর আগে এত হিন্দুকে রাস্তায় নামতে দেখেনি। তারা প্রশ্ন করেছিল, কেন “জয় শ্রীরাম” স্লোগানটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এটিকে তারা আরএসএস-এর স্লোগান হিসাবে দেখছে। যাইহোক, “রাম” ও “কৃষ্ণ” ঈশ্বরের দুই অবতার, এবং “জয় শ্রীরাম” ও “হরে কৃষ্ণ” হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত সাধারণ বাক্যাংশ।    বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে, ঢাকা থেকে একটি সেনাদল শিগগিরই চট্টগ্রামে যাবে আন্দোলনের সাথে জড়িত বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যদের গ্রেফতার করতে। পুলিশ হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করেছে। সামরিক বাহিনী এই তালিকায় ৫০০ জনের নাম যোগ করতে পারে। প্রধান নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসও ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন।   পার্বত্য চট্টগ্রামের একটি নিউজ পোর্টাল ৭ই নভেম্বর রিপোর্ট করেছে যে, ৫ নভেম্বর, ২০০৪ এর সন্ধ্যা থেকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি) ও স্থানীয় পুলিশ নিয়ে চট্টগ্রামের সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় হিন্দুদের লক্ষ্যবস্তু করে একটি হিংসাত্মক ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে [৫]। এই অঞ্চলে ভুক্তভোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টগুলি ইঙ্গিত করে যে, ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সৈন্যরা আধাসামরিক বাহিনী এবং পুলিশের সহায়তায় হাজারি লেন ও আশেপাশের এলাকাসহ হিন্দু পাড়ায় ঘরে ঘরে অভিযান চালিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করার, সমস্ত পুরুষ বাসিন্দাদের আটক করার এবং অস্পষ্ট পরিস্থিতিতে তাদের হেফাজতে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, নিরাপত্তা রক্ষীরা এই ক্রিয়াকলাপের প্রমাণ লোপাট করতে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও ধ্বংস করেছে।    গ্লোবাল বাংলাদেশি হিন্দু অ্যালায়েন্স বিশ্বকে সতর্ক করে বলেছে যে, “চট্টগ্রামের হাজারী লেনের হিন্দুপাড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঘেরাওয়ের সময় ৮০ জনের বেশি হিন্দুকে মধ্যরাতে তুলে নেওয়া হয়েছিল।” তারা রিপোর্ট করেছে যে, নিরাপত্তা বাহিনী বাড়িঘর ও দোকান ভাঙ্গচুর করেছে, প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা ধ্বংস করেছে এবং হিন্দুদের নির্দয়ভাবে মারধর করেছে। তাদের প্রহারে নারী, শিশু …

চট্টগ্রামের হাজারী লেনে যা ঘটেছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধ! Read More »

বাংলাদেশী মুসলমানের আত্মপরিচয়ের সঙ্কট

বিমল প্রামাণিক বাংলাদেশে একটি প্রায় পরিমিত আর্থ-সামাজিত স্থিতাবস্থা বিরাজ করলেও কখনও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কোন শাসকের আমলেই ছিল না।  ফলে গণতন্ত্রের  চর্চা এবং বিকাশের পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুকুল  ছিল না।  একথা  বলতে দ্বিধা নাই যে, পাকিস্তানের চব্বিশ বছরে গণতন্ত্রের ভিত গড়ার কোন চেষ্টা হয়নি। অবশ্য দুনিয়ার কোন ইসলামি রাষ্ট্রেই গণতন্ত্রের নজির নাই।   স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সংবিধান তৈরি হলেও—অঙ্কুরেই তা বিনষ্ট করা হয়। শুধু তাই নয়, মাত্র সাড়ে তিন বছরে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান নেতৃবৃন্দকে সামরিক অভ্যূথানের মাধ্যমে নৃসংশভাবে হত্যা করা হয়। তখন থেকেই এ বিষয়টি পরিষ্কার  হয়ে গিয়েছিল যে বাংলাদেশটিও পাকিস্তানি ধারায়ই চলবে। সামরিকতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র,  গণতন্ত্রের নামে প্রহসন যা পাকিস্তানি পরম্পরা। কিন্তু বাংলাদেশের অদূরদর্শী বাম ও গণতান্ত্রিক ধারার বুদ্ধিজীবীগণ স্রোতের বিপরীতে নৌকা বাইতে রাজনৈতিক-কর্মী-নেতাদের বার বার গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, যার পিছনের ভোঁতা যুক্তির জাল ফাঁসতে বেশি সময় লাগেনি।  ফলে, স্বাধীন বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছর অতিক্রম করলেও গণতন্ত্রের আকাঙ্খা  জনগণের পূর্ণ হয় নাই। বাংলাদেশের জনগণ ‘গণতন্ত্র’ একটি ইসলামিক দেশে সম্ভব নয় – একথা অনুধাবন করতে পারলেও – তারা ‘মনের উপর চোখ ঠেরে’ অকপটে স্বীকার করে না। তারা ভাবে ভারতে গণতন্ত্র থাকতে পারলে কেন আমাদের দেশে থাকবে না। অত্যধিক মুসলিম সংখ্যাধিক্য দেশের চিন্তার দৈন্যাবস্থার প্রধান কারণ বাঙালি হলেও ধর্মীয় বিভাজনে মুসলমান ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী এমন  একটি  ইসলামি নেতৃগোষ্ঠী দ্বারা প্রভাবিত ও চালিত হচ্ছে—যেখানে জাতিসত্তার উপরে ধর্মীয় পরিচয়কে স্থান দেওয়া হয়েছে। ফল হয়েছে, ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগোত্তরকালে বাঙালি  মুসলমান সমাজে বাঙালি জাতিসত্তার  বিকাশ না হয়ে ইসলাম ধর্মের অক্টোপাস তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে। এই অসহায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর সামনে আজ আর কোন  মুক্তিদূতের দেখা মিলছে না।  তাদের হিন্দু-বিদ্বেষের আফিম দিয়ে মোহগ্রস্ত  করে ফেলা  হয়েছে – যা গত শতাব্দীর তিরিশ-চল্লিশের দশক থেকেই সক্রিয়ভাবে শুরু হয়েছিল। ধর্মীয় রাষ্ট্র কাঠামোয় গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রকৃত অর্থেই কোন বিশেষ মূল্য পায় না। দেশবিভাগ পরবর্তী পাকিস্তানের চব্বিশ বছরের শাসনে পূর্ববঙ্গের  অধিবাসীবৃন্দ মর্মে মর্মে এটা উপলব্ধি করেছিল। পূর্ববঙ্গে তথা  বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়  ও সামাজিক অঙ্গনে জাতি পরিচয় ছাপিয়ে ধর্মীয় পরিচয় বাঙালি মুসলমান সমাজকে এমনভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে যে – তারা আর তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। মুসলমান সমাজে বাঙালি জাতিসত্তাবোধ  গভীরে প্রবেশ না করায় বাঙালি জাতিরাষ্ট্র গঠনে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, ১৯৭২ সালেই তা সামনে এসেছিল, ১৯৭৫-এর পটপরিবর্তন তা চিরতরে অবসান ঘটিয়েছে বললেও  অত্যুক্তি হবে না। একবার পিছনে ফিরে দেখা যাক। মুসলিম লিগ ১৯৪০ সালে পৃথক ও স্বাধীন মুসলিম  রাষ্ট্র পাকিস্তান সৃষ্টির দাবিতে ‘লাহোর প্রস্তাব’  পাশ করে। দীর্ঘকাল অমুসলিমদের উপর বর্বরতাপূর্ণ মহাশক্তিধর প্রভুত্ব খাটানো মুসলিমদের ঐতিহাসিক আত্মগর্ব তাদেরকে স্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ যুক্তভারতে একটা সংখ্যালঘু জাতি অথচ সমঅধিকারপ্রাপ্ত নাগরিক হওয়ার পরিণাম বহন করতে দিল না। তারা একটা পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী  আন্দোলনের সূচনা করে নির্মম  সহিংসতা  শুরু করে দেয়, যা ব্রিটিশদের উপলব্ধি করায় যে, হিন্দু ও মুসলিমরা একত্রে বাস করতে পারবে না। এ পরিস্থিতিই পরিণামে  ১৯৪৭  সালে  ভারতীয় উপমহাদেশের বিভক্তি ঘটায়। আনোয়ার শেখ মনে করেন, ইসলাম মৌলিকভাবে নিজেই বিভক্তি ও শাসনের একটা মতবাদ এবং ইসলামের এ ‘বিভক্তি ও শাসন’ মতবাদই  ভারতের বিভক্তির জন্য দায়ী, ব্রিটিশদের বিভক্তিমূলক নীতি নয়। তিনি লিখেছে … “ কিন্তু যে ক্ষত সৃষ্টি করেছিল তাদের (ইসলামিক হানাদারদের) আদর্শ অর্থাৎ ইসলাম, যা তাদেরকে ভারতে বয়ে এনেছিল, তা স্মৃতি থেকে মোছা যাবে না, কেননা নিরাময়ের পরিবর্তে  সে আঘাত একটা  নিরাময়-অযোগ্য  বিষ ফোঁড়ায় পরিণত হয়েছিল। যদিও সব  মুসলিমের ৯৫ শতাংশই মূল জনসংখ্যা থেকে আসা, আর অবশিষ্ট মাত্র পাঁচ ভাগও শতশত বছর স্থায়ীভাবে বসবাস করার সূত্রে ভারতীয় হিসেবেই স্বীকৃতি প্রাপ্ত, তথাপি তারা সবাই মিলে নিজাদেরকে একটা পৃথক মুসলিম জাতি মনে করেছিল – এ বিশ্বাসে যে, তাদের জন্মভূমি একটা ‘দ্বার-উল-হার্ব’ বা ‘যুদ্ধক্ষেত্র’। এ অন্যায় মতাদর্শটি ভারতের  বিভক্তির কারণ ছিল। আরবরা (আরব হানাদাররা) নিজেরা যা করতে ব্যর্থ হয়েছে, আরবীয় ‘বিভক্তি ও শাসন’ মতবাদটি তা করে দেয় তাদের জন্য”১ আবুল মনসুর আহমদ ১৯৭২-এ লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ আসলে পাকিস্তানেরই সত্যতর রূপায়ণ’। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশে বাঙালি মুসলমানের জাতিসত্তা বা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চিন্তার প্রধান অন্তরায় ‘ইসলাম’। দ্বিজাতি-  তত্ত্বের ভূত যা পাকিস্তানের জন্ম ও ভারত বিভক্তির প্রধান ভূমিকায় দেখা গেল, আজ দেশবিভাগোত্তর  পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে এসে সেই ভূত বাঙালি মুসলমানদের কাঁধে আরও চেপে বসেছে। কোরান, সুন্নত ও শরিয়ার বাঁধন শিথিল না হলে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ কখনও সম্ভব নয়। ইসলাম এবং জাতিসত্তা পরস্পর সাঙ্ঘর্ষিক। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী  গবেষকগণ হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক  বিষয়ক যে মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং বাঙালি  উদ্ধৃত করা হলঃ “ The attitude of Muslims towards the minorities in fully influenced by the tenets of Islam.  The tenets and practices of other religions are compared with that of Islam – and in the process, it is established now Islam as a religion is superior to other religions. The superiority is rationalized Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Changing status of women and the garment industry in the light of the political sea change in Bangladesh

Dr.  Kasturi Bhadra Ray     The political turmoil in Bangladesh, including the stepping down of Prime Minister Sheikh Hasina, has created uncertainty that is severely straining the economy. This instability has disrupted not only the overall industry but also the textiles and apparel sector, the shift leading to a significant loss of market share for Bangladesh’s ready-made garments (RMG) sector. The countries that are major import partners of Bangladesh include the US, the UK, Germany, Canada, France, Spain, Italy, Belgium, Denmark, and Australia. Many of these countries are also investors in Bangladesh’s apparel industry. The countries that have heavily invested in Bangladesh’s apparel industry, such as the US, Germany, the UK, and Canada, are seriously considering sourcing products from other Asian nations, such as Vietnam, India, and Sri Lanka.   The ready-made garment (RMG) sector of Bangladesh has been the cornerstone of the country’s economy, the industry that has made a crucial contribution to rebuilding the country and its economy, with strong female participation.    Bangladesh, after becoming independent in the year 1971, was considered to be one of the poorest countries in the world with no distinguished production supporting her progress. Even the jute industry, the only major export earner began to tear down. During this turmoil, the industry that not only contributed but also helped in rebuilding the economy of the nation-state was- the Readymade-made Garments Sector.    Readymade garments industry is the clothing industry that deals with mass-manufactured finished textiles products. Unlike custom tailored products according to specific measurements, they are generalized clothing based on anthropometric measurements. Though it was a concept first initiated in the West, to be precise in New York, USA in 1831, with the rise in demand of the RMGs worldwide, this sector has spread in the Third World countries as well.(Chowdhury & Tanim, 2016; Rahman et.al. 2017, Sen Sharma 2020).    The readymade garments sector has paved the path for the development of that section of the society, which has been limited to the private sphere, i.e., women. Bangladesh being a developing state has not been able to provide the amenities required for the progress of women like, education, jobs, etc. But with the advent of the RMG factories, many women were able to utilize their proficiency and aptitude for the betterment of the family, society and country. Women, from lower to lower middle class in the urban and rural regions, were  employed in huge numbers in these garment factories This has served to be the basic means of earning for these women and with financial independence they are not only having a say in their families but also in the public sphere.    Earlier, women’s mobility to any place outside the private arena was quite restricted especially in rural Bangladesh based on traditional and family norms. These notions and beliefs prohibited them to leave the family compound alone, without being accompanied by a male member, on grounds of safety and security. However, all these notions were challenged once the women started working in the RMG factories, as they had no option but to move out of their houses to earn their living. With women stepping out of their houses, they became more conscious of the situation of their family and society and they began to question their traditions and customs. Therefore, women’s access to resources, free mobility and awareness of family planning have carved out the materialization of women’s empowerment and involvement in the RMG industries is assisting them to realize it( Sen Sharma 2020).   Though there are certain aspects negatively affecting the lives of women workers in the RMG industry. However, the economic independence provided by this sector can’t be negated. This has facilitated them to take equal stand with men in the society. How have men taken this change of situation is a question. The notion that men are least bothered with women’s progress is incorrect. Earlier men considered women to be inferior beings with lesser intelligence and capacity, this thought process has reformed. The growth in the monetary income, by their partners, has improved the standard of living of these families and this has been happily accepted by the Bangladeshi men. Therefore, it can be seen that salaried women, sometimes, have a constructive impact on their husbands and families.   In this wake, Bangladesh was suddenly plunged into a political crisis when Sheikh Hasina resigned as the Prime Minister following deadly protests against her government over a controversial quota system in jobs , and fled the country. Soon after Parliament was dissolved leading to the creation of an interim government.    The 84-year-old Nobel laureate Muhammad Yunus took oath as the head of an interim government. Since then the fear that Bangladesh is steadily going the way of Afghanistan are turning out to be grimly true. Apart from the unrelenting attacks on minorities, mostly Hindus, over the past few weeks, radical Islamists have attacked Muslim women in Dhaka, Cox’s Bazar, and some other parts of the country for venturing out in public without a male relative accompanying them or for dressing ‘indecently’ and even for listening to music in what Barr ( 2024 ) defines as developing gender apartheid.    In Afghanistan now, women are largely confined to their homes, losing their voice, their personhood, their education, their dreams, and contributions to their communities—a brutal demonstration of how fragile the rights of women have become in this country. Fears that Bangladesh is steadily going the way of Afghanistan are turning out to be grimly true.               References:   Barr H, (2024); ‘The Taliban and the Global Backlash against Women’s Rights ‘, Georgetown Journal of International affairs, February 6, 2024 1:29PM EST.   Chowdhury, M. F., Tanim, T. R. (2016); ‘Industrial Accidents in Bangladesh Apparel, ’DOI: 10.20448/journal.500/2016.3.2/500.2.115.126.   Kundu, D. (2015); Personal Communication, 30 November, 2015.   Luthfa, S. (2015); Personal Communication, 1 December, 2015.   Rahman, M. Abdullah-Al-Masum, T. M. & Habibullah, M. (2017),’Readymade Garment Industry in Bangladesh: Growth, Contribution and …

Changing status of women and the garment industry in the light of the political sea change in Bangladesh Read More »

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কঃ পর্ব ২

বাংলাদেশ থেকে হিন্দু বিতাড়ন অব্যাহত বিমল প্রামাণিক      আমরা বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সাম্প্রদায়িকতার রূপ যদি দেখতে চাই, তাহলে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকেও দৃষ্টিপাত করতে হবে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিপুল অংশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল এবং তাদের অবর্তমানে স্থানীয় মুসলমানদের একটি বিশেষ প্রভাবশালী মহল  তাদের সম্পত্তি দখল করেছিল। স্বাধীনতার পর ওরা দেশে ফিরে যখন নিজেদের  বিষয়-সম্পত্তি ফেরৎ চাইল, তখন একটা প্রচারণা ব্যাপকভাবে চালানো হয় যে, ভারত বিভাগের আগে যারা চলে গিয়েছিল  তারাও এসে বাংলাদেশে তাদের সম্পত্তির ভাগ চাইছে। এই প্রচারণার মধ্যে কোন সত্যতা ছিল না। তাদের সঙ্গে  যুক্ত হয় ঐসব  লুটেরা, যারা একাত্তরের দেশত্যাগী হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছিল। ওরাও বাহাত্তরেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সুবিধাবাদী অংশকে  হাত করে – যারা ছিল তথাকথিত আওয়ামি লিগ। পাকিস্তান আমলে ভারত-বিদ্বেষ  সৃষ্টি করেছিল হিন্দু-বিদ্বেষকে, আর বাংলাদেশ আমলে হিন্দু-বিদ্বেষ থেকে সৃষ্টি হল ভারত-বিদ্বেষ। বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত ছদ্মবেশী আওয়ামি লিগ থাকলেও অবশেষে তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে পুরো রাষ্টীয় কাঠামোকেই খোলাখুলিভাবে সাম্প্রদায়িক ও পাকিস্তানি করে ফেলল। পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পরপরই দখলদার রাষ্ট্রপতি খন্দকার মুস্তাক ঘোষণা করেন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চলবে না। এদেশ চলবে ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে। তিনি বললেন, এদেশের স্বাধীনতা অর্জিত  হয়েছিল ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট, আর ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয়েছিল গণতন্ত্রের  সংগ্রামের বিজয়। খন্দকার মোস্তাকের এই ঘোষণার ভিতর দিয়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সাম্প্রদায়িকতা একটি পরিপুষ্ট ও সতেজ  চারাগাছ হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হল। বাংলাদেশের পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারসমূহ এই চেষ্টাই করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সাম্প্রদায়িকতাকে  বিশাল মহীরুহে পরিণত করেছে ধীরে ধীরে। ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট সায়েমের মাধ্যমে রাজনৈতিক দন্ডবিধি জারি করে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলোকে ময়দানে ছেড়ে দেওয়া হল। ১৯৭৬ এর ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি জলসা’র নামে একাত্তরের ঘাতক আলবদর-রাজাকাররা সমবেত হল এবং সেখানে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিমান বাহিনী প্রধান এম. জি. তাওয়াব বক্তৃতা দিয়ে বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণার দাবি জানালেন। সেখানেই স্বাধীনতা-বিরোধীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি তোলা হল এবং সেটা গৃহীতও হল। বাংলাদেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করতে হবে, জাতীয় পতাকা পাল্টাতে হবে, নতুন জাতীয় সঙ্গীত চালু করতে হবে, একাত্তরে নিহত রাজকারদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করতে হবে, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদমিনারটি ভেঙ্গে ফেলতে হবে। এম. জি.তাওয়াবের এই তৎপরতা থেকে বোঝা গিয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রামকে  মুছে ফেলার জন্যে  বাংলাদেশের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা পাকিস্তানপন্থীরা গোপনে গোপনে  কতখানি সংগঠিত হয়ে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থাকাকালীনই  তার ডেপুটির মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি মার্কা ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গিয়েছিল। আজ ২০২৪ সালে মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে ও জামাত-হিজবুত তাহরীর  সহযোগিতায়  বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানিকরণের চেষ্টা হচ্ছে, যার শুরু হয়েছিল জিয়াউর রহমানের শাসনকালেই তার সক্রিয় উদ্যোগে। ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পরদিনই জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ও দূরদর্শন ভাষণে সংবিধানের কাঠামোই দিলেন পাল্টে। সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তন  করে পাকিস্তানকে যখন ইসলামি প্রজাতন্ত্রে পরিণত করা হয়, তখন তার মূলনীতিতে বলা হয়েছিলঃ ‘Where in the principles of democracy, freedom, equality, tolerence and social justice as  enunciated by Islam shall be fully observed, ‘  ঠিক তেমনভাবে ‘৭৭ এর ২২ এপ্রিল জিয়া বলে ভিলেন, সংবিধানের মূল রাষ্ট্রনীতি হবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, সংবিধানের শুরুতে থাকবে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’। জিয়াউর রহমান আসলে পরোক্ষভাবে  বাংলাদেশের সংবিধানকে ইসলামাইজেশনই করলেন। অন্যদিকে “In November 1976, the Government of Bangladesh repealed previouks Act No. XLVI of 1974 by Ordinance XCII of 1976 (Exhibit 12) and with a restrospective effect from the date of enactment amended the Act XLV of 1974 by Ordinance XCIII of 1976  (Exhibit 13) Ordinance XCIII of 1976 empowered the  Govermment not only to administer and manage the Vested Properties, but also to dispose of or transfer the same on long term basis. All the Acts prior to Ordinance XCIII of 1976 (including Ordinance I of 1969) empowered the Government only to become the custodian and to preserve enemy property in  contemplation of arrangement to be made in the conclusion of peace with India.  But Ordinance XCIII of 1976 made the Government owner of  vested properties instead of protector of the same.  This the Government encroached the right of ownership, which is a gross violation of the  existing laws pertaining to the right to  private ownership,  These steps undertaken by the military dictator had served dimensions, all related to the strengthening of the political’ base of the vested groups. First, the military rulers wanted to accelerate the process of Pakistanization, and to eliminate the spirit Bengalee Nationalism built-upon secularism that has been developed and enrooted through the war of Independence of 1971.  Second, the military dictators wanted to create a panic and insecurity feeling among the 9.7 million Hindus (Census 1974) as they are considered to be the bridge of Bengalee Nationalism, culture and spirit.  Third, the nmilitary junta wanted to establish a strong foothold of the ruling government and the power mechanism  with the local level power structure by providing them access to acquire vested properties in exchange of collaborations with the government.  Fourth, the military rulers wanted to divert the attention of the economically ruling strata of the society from the current6 socio-political development and being engaged in procuring the property of the emigrant Hindus.  It is to be mentioned  here that in the context of a densely populated country like Bangladesh, it is considered to be a great opportunity to get a chance for further expanding the most scarce   recource, the real estate.  All the above stated objectives of the military dictator were accompanished to a great extent. প্রাক্তন মিলিটারী শাসক ও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে  পরিচিত।  তার শাসনকাল বিশ্লেষণ করলে যে ইতিহাস উঠে আসে তা হল, বাংলাদেশের অস্তিত্বে তিনি কখনও বিশ্বাস করেননি, মনেপ্রাণে পাকিস্তান চেয়েছিলেন এবং হিন্দু-বিতাড়নে তিনি ছিলেন অন্যান্য  পাকিস্তানি ও বাংলাদেশী শাসকের চেয়ে এক কাঠি উপরে।  এ থেকে এই কথাই প্রমাণিত হয় যে, উনবিংশ শতকের দ্বিজাতিতত্ত্ব ও সাম্প্রদায়িকতা মুসলমানের মনোজগতে চেতনার গভীরে যেভাবে শিকড় বিস্তার করেছিল – তা আজ মহীরুহ হয়ে ভারত উপমহাদেশের বাঙালি মুসলমান সমাজকে অনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির অশান্ত ছায়া প্রদান করে চলেছে – যা প্রাক দেশ বিভাগোত্তর  কাল থেকে নিরন্তর পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু এই মহীরুহের ছায়ার বাইরে  যে ক্ষুদ্র  জনসংখ্যা বাঙালি জাতিসত্তা নিয়ে নাড়াচাড়া করেন – তাদের বুদ্ধি-বৃত্তির শিকড় বাংলার মুসলমান সমাজে  মননে-চিন্তায় একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি। তাই আজ আমরা দেখছি বাংলাদেশের জন্ম পাঁচ দশক অতিক্রান্ত হলেও সেই পাকিস্তানি  চেতনাই বাঙালি মুসলমানদের আন্দোলিত করে চলেছে – হোক সে শাসকশ্রেণী বা জনসাধারণ। যেহেতু পাকিস্তান হয়েছিল …

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কঃ পর্ব ২ Read More »

(১) হিন্দুরা চায় না মাদ্রাসার ছাত্ররা পুজায় পাহারা দিক

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক   প্রথমে শুনলাম, মাদ্রাসার ছাত্ররা দুর্গাপুজায় পাহারা দেবে। ধর্ম-উপদেষ্টা জানালেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা পাহারা দিতে রাজি হয়েছে। এখন শুনছি, পুজা কমিটি চাইলে মাদ্রাসার ছাত্ররা মন্দির বা পুজামণ্ডপ পাহারা দেবে। আমাদের উত্তরটা বেশ স্পষ্ট ও শক্ত এবং তা হচ্ছে, ‘আমরা চাইনা মাদ্রাসার ছাত্ররা মন্দির/মণ্ডপ পাহারা দিক’। মাদ্রাসার ছাত্ররা বরং তাঁদের উগ্রপন্থী ভাইদের পাহারা দিক যাতে তারা মন্দিরের ধারে-কাছে না আসে। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটি ও অন্যান্য পুজা কমিটি একযোগে একথা জানিয়ে দিন্।    আমাদের এ সিদ্ধান্তের ৩টি কারণ উল্লেখ করছি: (১) মাদ্রাসার ছাত্ররা খুলনার উৎসব মন্ডলের যে পরিণতি ঘটিয়েছে সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। হিন্দুরা ‘শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা’ দিতে চায়না। (২) পুজায় আমাদের মা-বোনেরা ব্যাপকভাবে উপস্থিত থাকে, তাদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। (৩) শেখ হাসিনা ‘কওমী মাতা’ হয়ে তাঁর সন্তানতুল্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা করে নিজে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন, আমরা তার ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চাইনা।    নোবেল বিজয়ী ড: মোহাম্মদ ইউনুস বলেছেন, ‘এমন দেশ গড়বো যাতে মন্দির পাহারা দিতে না হয়’। আমরা তার কথার ওপর গুরুত্ব দিতে চাই। পুজায় পাহারা লাগবে কেন? ঈদে তো পাহারা লাগেনা। কারণটা সবাই জানে, বলে না। প্রশাসন বা পুলিশ-ৱ্যাব প্রহরা ঠিক আছে, তবে তা হওয়া উচিত ‘নিমিত্তমাত্র’, যদি প্রয়োজন পড়ে। আমরা চাই কোন প্রকার পাহারা ছাড়া পুজা করতে। সেটি যখন সম্ভব হবে, যখন হিন্দুর মন্দির আক্রমণ হবে না, মূর্তি ভাঙ্গবে না, সেদিন আসবে প্রকৃত স্বাধীনতা।   জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া-শেখ হাসিনা সকল সরকারের আমলে হিন্দু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়েছে। ফখরুদ্দিন-মঈন তত্বাবধায়ক সরকার আমলে পরিস্থিতি কিছুটা ভাল ছিলো। ড: ইউনুস আমলে হিন্দুরা ভাল থাকতে চায়, যদিও প্রথম মাসে, বা এখনো ঘটনা ঘটছে। তবু আমরা দেখছি প্রধান উপদেষ্টাকে এনিয়ে কথা বলতে, ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যেতে। ধর্ম উপদেষ্টা ও জামাতের আমির ঢাকেশ্বরী গেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ‘হাতজোড়’ করে ক্ষমা চেয়েছেন। এসব আমরা আগে দেখিনি।    তবে কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। অতীতে সকল সরকার মিথ্যাচার করে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’র গীত গাইতেন। সরকার প্রধান যখন মিথ্যাচার করেন তখন রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষতি হয়। এটি বন্ধ হওয়া দরকার। বাংলাদেশে যেদিন পাহারা ব্যতীত পুজা হবে; সিএসএ ব্লাসফেমী হিসাবে ব্যবহৃত হবে না; হিন্দুরা দেশত্যাগে বাধ্য হবে না; বাড়িঘর-ব্যবসা লুট হবে না; কন্যা ধর্ষিতা হবে না; হিন্দুরা বৈষম্যহীনভাবে দেশ সেবার সুযোগ পাবেন; সেদিন দেশে সম্প্রীতি জোয়ার বইবে, তার আগে নয়?   (২) বিশ্বখ্যাত টাইম স্কয়ারে দুর্গাপূজা শিতাংশু গুহ,  নিউইয়র্ক ।     বিশ্বখ্যাত টাইম স্কয়ারে এ বছর (২০২৪)-এ দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রথম। এটি একটি ঐতিহাসিক  ঘটনা। বাঙ্গালীর দুর্গাপুজা ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক হেরিটেজের অংশ। টাইম স্কয়ারে দুর্গাপুজা এই ঐতিহ্যকে আরো মহামান্বিত করবে। পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শনিবার ও রবিবার ৫ই ও ৬ই অক্টোবর ২০২৪, পঞ্জিকায় নির্দিষ্ট পুজা নির্ঘন্টের এক সপ্তাহ পূর্বে। মায়ের পুজা যে কোন সময়ই করা যায়,  শ্রীরাম চন্দ্র অকাল বোধনই আধুনিক দুর্গাপুজা। টাইম স্কয়ারে দুর্গাপুজা করার চিন্তাই অচিন্তনীয়, বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ সেই অসম্ভব সম্ভব করেছে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটিতে দুর্গোৎসব এই ক্লাবই করেছে। এ পূজায় ব্যাপক সাড়া লক্ষণীয়। এই মহৎ কর্মকান্ড যাঁরা সম্পন্ন করছেন, যারা সহযোগিতা করছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন।     এবার পুজা এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন বাংলদেশে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে ৫৩ বছর ধরেই দেশে হিন্দুরা নিপীড়িত, লাঞ্ছিত ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার। বাংলাদেশে এবার পুজা নিরানন্দ।   পুজা হচ্ছে, উৎসাহ ও আনন্দ নেই, বা কম, এবং ভয়ভীতি বিরাজমান। একদল বলছে, পুজা হতে দেয়া হবে না,  হিন্দুরা বাংলাদেশ ছাড়ো। এর অবসান জরুরি। বাংলাদেশের হিন্দু দেবী চন্ডীর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে অসুর দমনে উজ্জ্বীবিত হোন। দেবী দুর্গা আসেন, দেবী অসুর সংহার করেন, ফাঁক-ফোঁকরে কিছু অসুর বেঁচে যায়, এরাই অশান্তি সৃষ্টি করে, মুর্তি ভাঙ্গে, পুজায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের দুর্গাপূজা থেকে মুর্তিভাঙ্গা শুরু, আজো অবিরাম ধারায় চলছে। কোন সরকারই এটি বন্ধ করতে আন্তরিক ছিলেন না, এখনো নন?      দুর্গাপুজা বাঙ্গালী হিন্দু’র সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান। বাঙ্গালী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, দুর্গাপুজাও তাই এখন ‘বিশ্বজনীন’ অনুষ্ঠান। ধর্মীয় আবেদনের বাইরেও এর সামাজিক-সাংস্কৃতিক আবেদন দুর্গোৎসবকে করেছে ‘সর্বজনীন’।  দুর্গাপুজার প্রতীকী মেসেজ হচ্ছে, অসুরের বিরুদ্ধে সুরের লড়াই অথবা অসুন্দরের বিরুদ্ধে সুন্দরের যুদ্ধ এবং এ সংগ্রামে সর্বদা সুর, সুন্দর বা সত্য বিজয়ী হয়। দুর্গোৎসবের অন্য দু’টি মেসেজ হচ্ছে, ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’ এবং ‘নারীশক্তি’। দেবীদুর্গা পুত্রকন্যা নিয়ে মর্ত্যে আসেন, ক’টা দিন সবাইকে আনন্দে ভাসিয়ে যান। আর তিনি নারীশক্তির বলে বলীয়ান হয়ে অসুর বধ করেন। পুজা চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর  সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। কীর্তন থাকবে। কলকাতার চিত্রনায়িকা পায়েল আসবেন। স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সর্বক্ষণ পাহারায় থাকবেন। পুজার প্রসাদ ছাড়াও ড্ৰাই খিচুড়ি/লাবড়া থাকবে।  আমাদের মহিলারা ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মুড়ির মোয়া, নাড়ু, সন্দেশ তৈরী করে ফেলেছেন। ধুনুচি নাচ, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি প্রতিযোগিতা রয়েছে। দীপ চ্যাটার্জি’র লাইভ কনসার্ট হবে। বিশাল জ্যোতি গাইবেন।  নিউইয়র্কের প্রখ্যাত ড্যান্স স্কুল ‘আড্ডা’ (অনুপ দাশ ড্যান্স একাডেমি)’র নাচ হবে শনিবার। ১০জনকে শারদ সম্মান দেয়া হবে, এরা হচ্ছেন: সর্বশ্রী সুশীল সাহা, ডাঃ কালিপ্রদীপ চৌধুরী, ব্রাহ্মণ স্বপন চক্রবর্তী, রথীন্দ্রনাথ রায়, কুমার বিশ্বজিৎ, রতন তালুকদার, ডাঃ দেবাশীষ মির্ধা, প্রবীর রায়, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী (মরণোত্তর) এবং শিল্পী তাজুল ইমাম। এই অনুষ্ঠানটি হবে রোববার। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক এডাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের রাষ্ট্রদূতদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও কলকাতা, নেপালের হিন্দুদের মধ্যে এটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্যে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো  হয়েছে।       Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

Atrocities on Hindus in Bangladesh

Sitangshu Guha : New York Religious Affairs Advisor AFM Khalid Hasan said that ‘harassment of Hindus is not communal’, rather it is ‘political’ (bdnews24.com 7 Sep 2024). Honorable advisor, if it is so, then why the Hindu youth, Utsav Mandal, 19 who has no political identity was killed? It is not just that, Utsab was killed in front of the police, and the military within the police station, by the madrassa students, because he was a Hindu. Violence against Hindus is all communal. If it is not, why are the Hindu temples being attacked while the Mosques are not attacked. You are outraged at Sheikh Hasina, she built 560 model mosques, why are not attacked? Sheikh Hasina did not build any temple, yet Hindu temples are being attacked, because it is communal persecution. Hindu singer Rahul Anand’s house was attacked and he was evicted, because he is a Hindu, even though he was not involved with Awami League politics? Ritwik Ghatak’s house is destroyed, because  he bears a Hindu name! Shall I give more examples? Honorable Advisor, you have visited Dhakeshwari temple several times, because the attacks on Hindus are communal. The Amir of the Jamaat also visited. The chief adviser too visited the Dhakeshwari temple because the attacks on Hindus are simply communal. The New York Times, Fox News, and the world’s major media published news of Hindu persecution, destruction of their temples. Still you will say that Hindu persecution is political. You are a religious advisor, dealing with religion, please speak the truth.  In the same event, religious advisor AFM Khalid Hasan also said, “More Muslim houses were set on fire than the Hindu houses’. Well, according to the population census, Hindus are only 8% of the total population, then if 12 Muslim houses are burnt, 1 Hindu house should be burnt, if 12 Muslims die in lynching, 1 Hindu should die, if 12 Muslim girls are raped, 1 Hindu girl should be raped (should not be raped either Hindu or Muslim), if 12 mosques are attacked, 1 temple should be attacked, right sir? Is that what is happening in Bangladesh, honorable religious advisor? Honorable Advisor, you are most powerful now, you can give us a statistics from the government on that if you wish. Please do so, the nation needs to know this. Honorable religious advisor, the nation has been listening to this type of talk for the last 53 years, now that the country has become independent again, the nation wants to hear the truth and only truth from the advisors.      হিন্দু নির্যাতন পুরোটাই সাম্প্রদায়িক   ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, হিন্দুদের ওপর নির্যাতন সাম্প্রদায়িক নয়, ‘রাজনৈতিক’ (বিডিনিউজ২৪ডটকম ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪)। তাহলে হিন্দু যুবক, উৎসব মন্ডল, ১৯, যার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই, মরলো কেন? শুধু কি তাই, গণপিটুনিতে পুলিশ, মিলিটারির সামনে থানার মধ্যে এ মৃত্যু কি হিন্দু বলে নয়? হিন্দুর ওপর নির্যাতন পুরোটাই সাম্প্রদায়িক। তা যদি না হয়, তাহলে হিন্দুর মন্দিরে আক্রমণ হচ্ছে কেন? মসজিদে তো আক্রমণ হচ্ছে না? শেখ হাসিনা’র ওপর আপনাদের প্রচণ্ড আক্রোশ, কই তিনি যে ৫৬০টি মডেল মসজিদ তৈরী করেছেন, এর কোন একটি’র ওপরে তো কোন আক্রমণ হচ্ছে না? শেখ হাসিনা কোন মন্দির তৈরী করেননি, তবু হিন্দুর মন্দিরে আক্রমণ হচ্ছে, কারণ এটি সাম্প্রদায়িক নির্যাতন। জলের গানের হিন্দু গায়ক রাহুল আনন্দ’র বাড়ী আক্রমণ করে তাঁকে ঘরছাড়া করা হলো কেন, তিনি তো আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত নন? ঋত্বিক ঘটকের বাড়ী ধ্বংস হয়েছে তার নামটি হিন্দু বলে! আর কত বলব ?       সাম্প্রদায়িক ঘটনা বলেই আপনি ক’বার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেছেন। জামাতের আমির গেছেন। প্রধান উপদেষ্টা গেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস, ফক্স নিউজ-সহ বিশ্বের বড়বড় মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে। এরপরও বলবেন, নির্যাতন রাজনৈতিক? আপনি ধর্ম উপদেষ্টা, ধর্ম নিয়ে কারবার, সত্য কথা বলা উচিত। একই অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন আরো বলেছেন, ‘মুসলমানদের বাড়ীতে বেশি আগুন দেয়া হয়েছে। জনসংখ্যা অনুপাতে হিন্দুরা ৮%, তাই ১২টি মুসলিম বাড়ী পুড়লে ১টি হিন্দু বাড়ী পোড়ার কথা, ১২জন মুসলমান গণপিটুনিতে মারা গেলে ১জন হিন্দু মরার কথা, ১২টি মুসলিম মেয়ে ধর্ষিতা হলে ১টি হিন্দু মেয়ে ধর্ষিতা হওয়ার কথা (১টিও হওয়া উচিত নয়), ১২টি মসজিদ আক্রান্ত হলে ১টি মন্দির আক্রান্ত হওয়ার কথা, তাই না? তা কি হচ্ছে, মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা? আপনি তো চাইলেই সরকার তরফ থেকে আমাদের একটি পরিসংখ্যান দিতে পারেন। জাতির এটি জানা দরকার। বলছিলাম কি, এমন সব কথাবার্তা জাতি ৫৩ বছর ধরে শুনছে, দেশ নুতন ভাবে স্বাধীন হয়েছে, জাতি উপদেষ্টাদের কাছ থেকে সত্য কথা শুনতে চায়।    Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

মুরগীর গলা

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক     সামাজিক মাধ্যমে যশোরের জাহাঙ্গীর আলম লিখেছেন যে, তার বন্ধু বল্টু হটাৎ দুপুরে এলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, কি খাবি? বললো: ‘মুরগীর গলা’। বাংলাদেশের একটি মহল ভারতের ‘চিকেন নেক’ (মুরগির গলা) স্বাধীন করার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে। এমন একটি শ্লোগান শোনা যাচ্ছে, ‘আমরা সবাই বাবর হবো, সেভেন সিস্টার স্বাধীন করবো”। ৫ই আগষ্ট ২০২৪’র পর বাংলাদেশে নুতন সরকার ক্ষমতাসীন, এটিকে বলা হচ্ছে, ‘অন্তর্বর্তী সরকার’, এ আমলে অনেকেই, এমনকি দু’একজন উপদেষ্টা এমন সব কথাবার্তা বলেছেন যা দেশের জন্যে মোটেও ভাল নয়! হঠাৎ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠান ভাগ্যের বিষয়, কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্বশীল হওয়া চাই? ভারত বিরোধিতা করতে গিয়ে যাতে দেশের ক্ষতি না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখতে হবে বৈকি।    ইউ-টিউবে ক’জনা ভারতীয়ের বক্তব্য শুনলাম, তারা জবাব দিচ্ছেন এবং সেভেন সিস্টার রক্ষায় সবকিছু করার সঙ্কল্প ব্যক্ত করছেন। এবার বন্যায় ফেনী ডুবে গেলে বাংলাদেশে কিছু মানুষ বললেন, ভারত চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন  করতে ফেনীকে ভাসিয়ে দিয়েছে। একজন ভারতীয় সুজিত প্রফেসর ইউ-টিউবার বললেন, ফেনী হচ্ছে বাংলাদেশের ‘চিকেন নেক’, অবাক কান্ড যে, আমরা এটি জানতাম না? রংপুরে ৮০ কিলোমিটার জায়গাও নাকি বাংলাদেশের ‘চিকেন নেক’। পার্বত্য চট্টগ্রামেও ২৫ কিলোমিটারের একটি ‘চিকেন নেক’ আছে? ভূগোলে আমি চিরকাল কাঁচা ছিলাম, সেটি আর এজীবনে শুধরাবার নয়, তাই ‘চিকেন নেক’ নিয়ে কোন কালেই মাথাব্যথা ছিল না। এখন নানান কথাবার্তা শুনে নিজেকে এবিষয়ে সমৃদ্ধ করছি।     ‘মুরগি’র গলা’ (চিকেন নেক) নিয়ে সারগর্ভ ভাষণ দেয়া আমার কাজ নয়, সেটি সামরিক বিশেষজ্ঞদের বিষয়। আমি সাধারণভাবে যা বুঝি তা হলো মুরগি ভারতের, গলাও ভারতের, তারা এতকাল সেটি সুরক্ষা করে এসেছেন, ভবিষ্যতেও করবেন, মধ্যখানে আমরা মুরগির গলায় ‘মাথা ঢুকাইলে’, আমাদের না আবার মাথা কাটা যায়? অন্তর্বর্তী সরকার নিশ্চয় বিষয়টি লক্ষ্য করছেন। ঢাকায় একটি ভারত বিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকতেই পারে, কিন্তু ‘সেভেন সিস্টার’ স্বাধীন করে দেয়ার দিবাস্বপ্ন না দেখাই ভাল, বা এবিষয়ে উচ্চবাচ্য না করাই শ্রেয়। প্রবাদ আছে, অন্যের জন্যে গর্ত খুঁড়লে নাকি সেই গর্তেই নিজেকে পড়তে হয়? খালেদা জিয়া তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী  শেখ হাসিনাকে ফেলে দেয়ার জন্যে যে গর্ত খুঁড়েছিলেন, শেখ হাসিনা সুযোগ পেয়ে সেই গর্তেই খালেদা জিয়াকে ফেলে দেন্।    নিজের ভাল পাগলেও বোঝে, অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রতিবেশীর সাথে সু-সম্পর্কের নীতি নিয়ে  এগিয়ে যাবেন বলেই মনে করি। পাকিস্তান ও চীনের প্রতি বেশি নির্ভরশীলতা বাংলাদেশের জন্যে কখনো ভাল ছিল না বরং চিরকালই ক্ষতিকর। এটিও মনে রাখতে হবে, আজীবন চীনের সাথে দোস্তি করে পাকিস্তান আজ কপর্দকহীন, দেউলিয়াপ্রায়, পক্ষান্তরে ভারতের সাথে সু-সম্পর্ক ছিল বলে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ঢের ভাল। অন্তর্বর্তী সরকার যদি চীনের সাথে বেশি মাখামাখি করতে যান, তাহলে ‘হিতে বিপরীত’ হয়ে যেতে পারে। ড: ইউনুস আমেরিকাপন্থী, সেটাই ভাল, চীনপন্থীদের ফাঁদে পা না দিলেই ভাল।    ৮০’র দশকে আমাকে হঠাৎ যশোরে এক হোটেলে একরাত কাটাতে হয়। সকালে ব্রেকফাষ্ট-র সময় হোটেল বয় বললো, স্যার, কি খাবেন? বললাম, কি আছে? জানালো, স্যার লটপটি আর পরোটা দেই? জানতে চাইলাম, ‘লটপটি’ কি? বয় জানালো, মুরগির গলা, মাথা, ঠ্যাং ইত্যাদি দিয়ে এক রকম ঝাল ঝাল ঝোল। সেদিন তাই খেয়েছিলাম, ভালই, তবে ‘চিকেন নেক’ খাচ্ছি বলে মনে হয়নি। এখন যারা বল্টু’র মত মুরগির গলা বা চিকেন নেক খেতে চাচ্ছেন, তাঁদের বলি, মুরগির গলা যেন আপনাদের গলায় আটকে না যায়? গলায় মুরগি’র ঠ্যাং আটকে রুগীকে হাসপাতালে যেতে আমি দেখেছি। মুরগির গলা বা চিকেন নেক নিয়ে উচ্চাশার কারণে তারেক জিয়া দেশের বাইরে, বিএনপি ক্ষমতার বাইরে দীর্ঘদিন।        —   Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo. Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কঃ পর্ব ১

বিমল প্রামাণিক    এ বিষয়টি আলোচনার  শুরুতেই ভারত এবং বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও রাজনৈতিক বিষয়টি যেমন মনে রাখতে হবে, দেশ বিভাগোত্তর কালে দুদেশের গণতন্ত্র চর্চা, দেশ পরিচালন ব্যবস্থা ও শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশ বা গতিপ্রকৃতির দিক-নির্দেশনাও খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে। স্বাধীনতা-উত্তরপর্বে ভারতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম সংবিধান প্রতিষ্ঠা ১৯৫০ সালের পর থেকেই দেশে নিয়মিত নির্বাচনী ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজ্য সরকারগুলিরও যথাযথভাবে নিয়মিত নির্বাচনের নজির রয়েছে। এ থেকে ধারণা করা যায়, কেন্দ্রে এবং রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র  চর্চার একটা অভ্যাস জনগণের মধ্যে গড়ে উঠেছে এবং একটি ভিতও শক্তপোক্ত হয়েছে – যা গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনের আবশ্যিক শর্ত। অন্যদিকে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পর্বের পঁচাত্তর বছরের ইতিহাসে সুষ্ঠু গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাস বড়ই এলোমেলো, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রেও সামরিকতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র বারবারই গণতন্ত্র চর্চার পরিবেশ গঠনে যেমন সহায়ক হয়নি, তেমনই কোন সময়ে  নির্বাচিত সরকার গঠিত হলেও  তা গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী করতে বা পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি। ফলে  আজকের  বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা  ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমাজে শিকড় গেড়ে বসতে পারেনি। শিক্ষা-সংস্স্কৃতির বিকাশ হয়েছে পশ্চাদমুখী। আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক জনবল তৈরির প্রতিবন্ধকতা যেমন সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে, তেমনই ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন মধ্যযুগীয় মতাদর্শ আজকের বাংলাদেশকে অন্ধকারের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে। পাকিস্তান আন্দোলন পর্বের প্রধান ভিত্তি ছিল দ্বিজাতিতত্ত্ব, যা বাংলাদেশ আন্দোলন পর্বে মোটেই পরিত্যাগ করা হয়নি। প্রবাসী সরকারের ঘোষণাপত্রে যে সকল সর্বজনীন জনকল্যাণমূলক নীতি বিধৃত হয়েছিল, শেখ মুজিব দেশে ফিরে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সেসকল নীতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে গেল। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, পাকিস্তান যে কালা-আইনগুলির  বলে দ্রুত হিন্দু জনগোষ্ঠী  নিশ্চিহ্নকরণ  প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছিল, তার মধ্যে ‘Enemy Property Act’ অন্যতম, মুজিব সরকার এই আইনের একটা ভদ্রগোছের নাম ‘Vested Property Act’ এর মাধ্যমে ‘Enemy Property Act’  এর সকল ধারা বজায়  রেখে সদ্য স্বাধীন দেশ থেকে হিন্দু বিতাড়ণের ব্যবস্থা পাকা করে দিলেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক আবুল বারকাত লিখেছেন, Transformation of Enemy Property into Vested Property: Old Wine in a new bottle.   The proclamation of independence and formation of the Provisional Government of Bangladesh took  place at Mujibnagar on April 10, 1971 and the order named Laws of Continuance Enforcement Order, 1971 was promulgated on the same day purporting to keep in force  all the Pakistani Laws which were in force in the then East Pakistan on or before March 25, 1971.  In other words, Ordinance No.1 of 1969, which does not fit  with the spirit of proclamation of independence of Bangladesh, automatically  remained ineffective in the new state. Bangladesh was not a successor state of Pakistan. On the contrary, Bangladesh established by waging a war of Independence against Pakistan. Immediately after liberation, the Bangladesh government enforced  on 26th March 1972,  the Bangladesh Vesting of Property and  Assets Order, 1972 (Order 29 of 1972). By this order, as can be seen in Exhibit 9, the properties left behind by the Pakistanis and the erstwhile ‘enemy properties’ were combined to a single category. However, in 1974, the Government passed the Enemy Property (continuance of Emergency Provisions (Repeal) Act, Act XLV of 1974, repealing Ordinance I of 1966 (Exhibit 10).  But despite the fact of repealing Ordinance I of 1969  under Act XLV of 1974, all enemy properties and firms which were vested with the custodian of enemy property in the then East Pakistan renamed Vested  in the Government of Bangladesh under the banner of Vested Property. At the same time, Government also enacted another law, namely the Vested and Non-resident property (Administration) Act (Act XLV) of 1974.  This act as shown in Exhibit II, was enacted  to provide the  management of certain properties and assets of the  persons who are non-residents of Bangladesh or have acquired  a foreign  nationality.  Though the Principal aim of the Act XLVI of 1974 was to identify and take over the properties of those residents who left Bangladesh during/immediately after liberation war and or took foreign citizenship, in practice this Act XLVI of 1974 was also widely used against Hindu minorities who had no connection with Pakistan for quite valid and obvious reasons.(১) যেহেতু প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠন এবং পরিচালনা হয়েছিল ভারতের মাটিতে এবং ভারত সরকারের সহায়তায় এমনকি মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাও; যদি আওয়ামি লিগ নেতৃবৃন্দের  মনের কোণে হিন্দুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন বলবৎ  রাখার গোপন ইচ্ছাও থাকতো, পরিস্থিতির কারণে সেটা প্রকাশ করা সমীচীনও ছিল না, সম্ভবও ছিল না, যেহেতু আওয়ামি লিগের অনেক বড় বড় নেতাও পাকিস্তানি Enemy Property আইনের সুযোগে হিন্দুদের স্থাবর সম্পত্তির মালিক হয়েছিলেন। কিন্তু ‘মুজিবনগর সরকার’ ঢাকায় থিতু হওয়ার মাত্র স্বল্প সময়ের মধ্যেই শেখ মুজিবের নেতৃত্বে  Enemy Property  তার সকল দাঁত-নখ  সহ  Vested Property তে রূপান্তরই শুধু  হল না, মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শত শত হিন্দু পরিবার শেখ মুজিবের আমলেই স্বাধীন  বাংলাদেশ থেকে  চিরতরে নিশ্চিহ্ন হয়ে পুনরায় ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হল। মুজিবনগর সরকারের  কোন নেতা বা মন্ত্রীর  এসকল  ঘটনার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ ধ্বনিত হল না, পাকিস্তান আমলের চেয়েও দ্রুততার সঙ্গে হিন্দু জনগোষ্ঠীর নতুন বাংলাদেশের প্রতি মোহভঙ্গ হতে সময় লাগল না। দেখা গেল ১৯৬১ সালের জনগণনায় হিন্দু ১৮.৫ শতাংশ থাকলেও ১৯৭৪ সালে তা কমে দাঁড়াল ১৩.৫ শতাংশ।    স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ তথা মুসলমান সমাজ যে দ্বিজাতিতত্ত্বের  মানসিকতা পরিত্যাগ করতে পারেনি বার বার নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে তা আরও প্রকট হয়েছে। আজকের সমাজে এই ‘তত্ত্ব’ দগদগে ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। হিন্দু  নিশ্চিহ্নকরণ  হয়ে গেলেও এই ঘা নিরাময় হবে না, যেমন পাকিস্তানে হয়নি। এর প্রধান কারণ হিন্দুদের শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতি-দর্শন  যা ভারতীয় পরম্পরা ও দর্শনের অঙ্গ। হিন্দুরা জাতিসত্ত্বায়  আস্থাশীল – সেকারণেই ভারত একটি বহুজাতিক গণতান্ত্রিক দেশ। মুসলমানরা জাতিসত্তায়  বিশ্বাস করে না, তারা ধর্মকে জাতির ঊর্ধ্বে  স্থান দেয়, যা তাদের জীবন-চর্চায়  চরিত্র ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গঠনে প্রধান অনুষঙ্গ। ফলে বাংলাদেশে বাঙালি  মুসলমানের জাতিসত্তা বা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কোন বিকাশ হয়নি। সবশেষ আমার ছয় দশকের উপলব্ধি ব্যক্ত করা একান্তই প্রয়োজন বলে মনে করি। পাকিস্তান ঘোষিত ইসলামি রাষ্ট্র বিধায় ইসলামি সমাজ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা শাসকের মূল লক্ষ্য হবে – যা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তি, তা নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন নাই। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারাই বসেছেন, শেখ মুজিবর রহমান থেকে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ পর্যন্ত, তাদের কর্মকাণ্ড বিচার বিশ্লেষণ করলে আমরা এটাই দেখতে পাই, সকল শাসকের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশী সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতি ইসলামের ভিতের উপর প্রতিষ্ঠা করা। এর পিছনে যে প্রধান উদ্দেশ্য ও মনস্তত্ত্ব কাজ করে তা হল, চারিদিকে বৃহৎ ভারতবর্ষ পরিবৃত এই ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে ভারতীয়  শিক্ষা-সংস্কৃতি দর্শন বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশাধিকার বা বিকাশ হওয়ার সুযোগ থাকলে আপামর বাঙালি মুসলমান যে দ্বিজাতিতত্ত্বের  উপর ভিত্তি করে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য …

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কঃ পর্ব ১ Read More »