Center For Research In Indo

Articles

বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সম্পর্ক

বিমল প্রামানিক বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের সম্পর্ক আর পাঁচটা দেশের মতো নয়। যেহেতু ভারত বিভাজনের প্রাক্কালে  বাংলাও বিভাজিত হবে এ বিষয়টি পূর্ববর্তী সময়েই নির্ধারিত হয়ে যায়। বাংলার রাজনীতি, বাংলার সমাজ এমনকি বাংলার সংস্কৃতি পর্যন্ত বিভাজনের শিকার হয়। কেন এমনটা হয়েছিল তা পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশের ইতিহাস পড়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে না। এর পিছনে রয়েছে মুসলমান দেশগুলির ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিভঙ্গি। সব সময়ই তারা ধর্মের সঙ্গে ইতিহাসের মিশেলের উর্দ্ধে উঠতে পারে না, এর প্রধান কারণই হচ্ছে ক্ষমতাশীন সরকার এবং সমাজ – যেখানে ইতিহাসবিদ অসহায়; সেখানে ইতিহাস চর্চার কোন নিরপেক্ষতার অবকাশ নেই।  এ বিষয়টি গত স্বাধীনতা পরবর্তী পঁচাত্তর বছরের কঠিন বাস্তবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত  হিসেবে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আরও একটি বিষয় গত পঞ্চাশ  বছরের বাংলাদেশি সমাজে প্রকট হয়েছে। যে সমস্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং উৎসব আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি হিসেবে বাংলার গ্রামেগঞ্জে দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় অঙ্গ হিসেবে গত কয়েক শতাব্দীকাল মেহনতি মানুষের চিত্ত বিনোদন করে এসেছে – তা মাত্র কয়েক বছরে মানুষের জীবন থেকে  কিভাবে উধাও হয়ে গেল বা কেন তার প্রয়োজনীয়তা  আর অনুভূত হ্য় না – তা নিয়ে কী আদৌ আমরা  চিন্তিত ? যাত্রাগান, কবিগান, পালাগান, জারী, সারি, লোকগান, প্রভৃতি ছিল গ্রামীন জীবনের ঐতিহ্য তদুপরি, দেহতত্ত্বমূলক ফকিরি বা বাউল গান – যারা ছিল পৃষ্ঠপোষক বা শিল্পী তারাও সামাজিক চাপে  হারিয়ে যেতে বসেছে।  তার স্থান পূরণ করছে গ্রামে গ্রামে ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল। যার পিছনে রয়েছে অর্থ-বিত্ত এবং সামাজিক-রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা। বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিনের ইউসুফের ভাষ্য মত, শহুরে থিয়েটার আজ মৃতপ্রায়। সরকারি অসহযোগিতা ও সামাজিক প্রতিকুলতা এই মৃত্যু আরও ত্বরান্বিত করছে। আমরা যদি পিছনে ফিরে তাকাই, তাহলে সামাজিক অগ্রগতির কয়েকটি দিক কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তা হলো বৃটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা লড়াই এর ময়দানে জেল-জুলুম, ফাঁসি অত্যাচারের শিকার হলো –স্বাধীনতা- উত্তর কালে তারা সমাজে বা রাষ্ট্রে কী প্রতিষ্ঠা পেল – প্রকৃ্তপক্ষে তারাই প্রতিষ্ঠা পেল যারা বৃটিশদের সহযোগী বা সাহায্যকারী  হিসেবে কাজ করে অর্থবিত্ত –শিক্ষা দীক্ষায় অগ্রণী হয়েছিল। আর বিভক্ত পূর্ববঙ্গে হিন্দু স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম মুসলিম শাসনে একেবারেই চাপা পড়ে গেল। আর বাংলাদেশের পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে বলতে গেলে শাসকদের ইতিহাস বললেই যথাযথ বলা হয় । শাসকের সাথে সাথে  ইতিহাসের পরিবর্তন।  ভারতের ইতিহাসকেও এক কথায় এর অন্যথাচারণ বলা যাবে না। শেখ মুজিব ইতিহাসের এই গতি-প্রকৃতি বুঝেই পাকিস্তানি কোলাবরেটর (collaborator)  তথা দালাল বা সহযোগিরূপে কর্মরতদের  ১৯৭৪ সালে সাধারণ ক্ষমার আওতায় নিয়ে আসেন।  উনি কোটি কোটি মুসলমানদের শাস্তির মুখে দাঁড় করাতে পারতেন না, যারা তাঁর আত্মীয়স্বজন, এক সময়ের সহকর্মী, যারা তাকে ১৯৭০ সালে বিপুল ভোট দিয়ে পাকিস্তানি ক্ষমতার আসনে বসাতে চেয়েছিলেন।  এটাই বাংলাদেশের প্রকৃ্ত ইতিহাস। এবার আসি বাংলাদেশ এবং ভারতের জনগণের সম্পর্কের ক্ষেত্রগুলিতে।  বিশেষভাবে বলতে হবে বঙ্গ বিভাগের ফলে যে বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার প্রত্যাবাসন ঘটেছে পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতে ও পাকিস্তানে তার নিরসন ১৯৭১ সালেই হয়ে গেল বলে অনেকে ভেবেছিলেন – কিন্তু হয়নি। পূ্র্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশ থেকে হিন্দু মাইগ্রেশন (migration) বন্ধ তো হয়ই নি উপরোক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে ভারতে মুসলমান অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।  এর পিছনে  অনেক কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে। ঐসব কারণে ভারতে NRC এবং  CAA এর  মতো  আইন চালু হয়েছে ।  এতে দু’দেশের জন সম্পর্কের অস্বাভাবিকতা বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যে সকল দূর্বলতা ও অনৈতিকতার ফলে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি রোগী ভারতে এসে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসা-কেন্দ্রগুলিতে – তাতে হাসপাতাল এবং ডাক্তারগণ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বটে, বাংলাদেশি রোগীগণও উপকৃ্ত হচ্ছে বলা যায় আর্থিক এবং সুচিকিৎসা উভয়ক্ষেত্রে,  এক্ষেত্রে জনগণের সম্পর্ক অধিকতর মজবুত হচ্ছে। আর একটি বিষয়ে আমরা নজর দিতে পারি। তা হলো বাংলাদেশি এবং পশ্চিমবঙ্গের বই বিভিন্ন মেলায়  বিপণনের ব্যবস্থা।  আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি কলকাতা বইমেলা ছাড়াও বাংলাদেশি বই প্রকাশকদের  কলকাতায় আলাদা একটি  “ বাংলাদেশি বইমেলা” করা হয়ে থাকে। কলকাতার পাঠকরা বাংলাদেশি লেখকদের বই পড়ার যেমন সুযোগ পায় প্রকাশকরাও  ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হয়। অথচ কলকাতার বাংলা প্রকাশকরা বাংলাদেশের  কোন মেলায় তাদের বই প্রদর্শন  এবং  বিক্রয় করার কোন সুযোগ পায়না। এটা যদি ভারত সরকার বা বাংলাদেশ সরকারের কোন অঘোষিত নীতি হয়ে থাকে – তবে  এই বৈষম্যমূলক নীতির অবসান হওয়া বাঞ্ছনীয়। বাঙালির চিন্তা ও মেধার বিকাশ কয়েকশো বছর ধরে এই অঞ্চলের বাংলাভাষী জনগণকে যেভাবে সমৃদ্ধ করেছে সেটা রুদ্ধ করার চেষ্টা আত্মঘাতী প্রচেষ্টার  সামিল বৈকি? কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলাদেশের সরকার বাঙালি হিন্দু লেখকদের প্রবন্ধ, কবিতাসহ অন্যান্য লেখা বাংলাদেশের স্কুল সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে যে সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানি ইসলামি মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তাকে মোটেই সমর্থন করা যায় না। যারা আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলে নিজেদের  পরিচয় দিয়ে থাকে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতির অবারিত দ্বার রুদ্ধ করা একটা আত্মঘাতী জাতির লক্ষণ। বই বিপণনে বাধা দিয়ে ভারতীয় তথা কলকাতার প্রকাশকদের ব্যবসা বন্ধ করার চেষ্টা শুধু নিন্দনীয়ই নয় এতে ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের বাঙালি পাঠকদের।  বাংলাদেশের পাঠকদের সাহিত্য- সংস্কৃতির অমূল্য-ভান্ডার থেকে বঞ্চিত রেখে তাদের বাংলাভাষা ও সাহিত্যের  বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবাধ বিকাশের সুযোগ না দেওয়া বাঙালি জাতিকে শুধু মৌলবাদের দিকেই ঠেলে দেবে না, ভবিষ্যৎ প্রগতিও রুদ্ধ করবে। বাংলাদেশি বই ব্যবসায়ীদের ভারতীয় বাংলা বই বাংলাদেশের বাজারে অবাধ বিক্রয়ের  বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে তা থেকে একথা না বলে উপায় নেই যে, তাদের অধিকাংশের মন- মানসিকতায় এখনও সাম্প্রদায়িক পাকিস্তানি যুগের অন্ধকার থেকে বাংলাদেশের মুক্ত অঙ্গনের আলোর ছোঁয়া লাগেনি। শুধু ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ই নয় সরকারের ভূমিকাও নেতিবাচক। “জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এন সি টি বি)  কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তকগুলোতে যে ভূল ও তথ্য-ইতিহাস  বিকৃতির ছড়াছড়ি, একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, এটি তিন ধরণের। এক, বানান ও তথ্যগত বিকৃতি; দুই, বাক্য গঠনে ভূলঃ তিন, মৌলবাদ ও সাম্প্রাদায়িক মনোবৃত্তির অনুপ্রবেশ  ঘটানো।  এক ও দুই নম্বরের ভুলগুলো সঠিক পরিকল্পনা এবং সুষ্ঠু  ব্যবস্থাপনার  অভাবে হতে পারে। কিন্তু তৃতীয় ভুলটি  পরিকল্পিত এবং যারা করেছেন, তারা ইচ্ছাকৃতভাবেই একটি সাম্প্রদায়িক জাতি রাষ্ট্র গঠনের জন্য এই কাজটি করে চলেছেন।“১ তথ্যঃ ১) প্রসঙ্গ কথা, পাঠ্য পুস্তকে সাম্প্রদায়িকী-করণ  -– বাদ দেওয়া হয়েছে যেসব লেখা, বাংলাদেশ  ঊদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ২০১৭,  ঢাকা।

The Amplitude of Saidpur Airport

The northern region of Bangladesh which is popularly known as North Bengal ( or, Uttar Banga or Uttaranchal in Bengali) has four full-fledged civilian airports in Rajshahi, Ishwardi, Saidpur and Thakurgaon, one STOL ( Short Take-off and Landing) in Bogura and an enormously extensive military airfield in Lalmonirhat. At present, Ishwardi, located in Pabna district, and Thakurgaon airports are inoperative though the earlier one was regularly used by civil aviation operators including Biman Bangladesh Airlines, the state owned national flag carrier of Bangladesh. Since 2014 the flight operations have been stopped in Ishwardi airport due to sharp decline in number of passengers to avail the air connectivity. The story of Thakurgaon airport is totally different and carries a long-standing dismal reality. The CAAB ( Civil Aviation Authority of Bangladesh) had started commercial flight services in 1977 after considerable renovation work but the services had to be stopped due to acute uneconomic response from the local populace which led to its closure in 1980. As the aviation reality shows only Rajshahi and Saidpur airports are functional at present. Both are domestic airports but have hugely profitable scope if upgraded to international ones with expanded state-of-the-art infrastructure and facilities.   The Govt. of Bangladesh under the farsighted and dynamic premiership of Sheikh Hasina, the illustrious daughter of Bangabandhu Sheikh Mujib, has explicit plans and projects to develop the entire aviation infrastructure and industry in Bangladesh to meet the burgeoning demands of fast growing economy and rapidly changing society of this young nation-state in Indian subcontinent.   In this paper I shall concentrate on the Saidpur airport which has an appreciable remunerative dimension due to its extremely favourable geographical location.   The Saidpur airport is located in the outskirts of the Saidpur town in Nilphamari district of Bangladesh. The Nilphamari district is part of the greater Rangpur sub-region in northern Bangladesh. Moreover the Saidpur town has an acclaimed past since the British colonial period. The town started to develop as a centre of commercial and industrial activities in undivided India after the establishment of a railway locomotive workshop in 1870. The large demand of labour to work in the railway industry invited in large scale influx and settlement of working class people from nearby Bihar. After the historic partition of India in 1947 and eventual creation of Pakistan as a separate homeland for the Indian Muslims greater number of Muslims from Bihar and erstwhile United Provinces ( present Uttar Pradesh) had come to settle in Saidpur and adjoining semi-urban areas. During the Pakistan period a cantonment and civilian airport had been established. The airport project was started in 1971, the most remarkable year in the history of Bangladesh, and completed in late 1970s. The airport became fully operational in 1979.   The saga of the construction of Saidpur airport is poignantly intertwined with the armed liberation struggle of Bangladesh in 1971. In that year the Pakistani military junta forcibly employed the local Bengali working class people to give labour in the project as the Saidpur-Parbatipur neighbourhood witnessed violent ethnic clashes between the migrant Urdu speaking staunch pro-Pakistani Bihari population and provincial pro-independence Bengali people in March when the erstwhile East Pakistan (now Bangladesh) was emotionally submerged in the vehement Bengali nationalistic torrents of non-cooperation movement called   by unquestioned leader Sheikh Mujibur Rahman.   The Saidpur airport is the only functional airport of Rangpur division is operating on 134.30 acres of land. It has 6000 metres of asphalt surfaced runway.   Presently the Biman Bangladesh Airlines and the private operators Novoair, Regent Airways and US-Bangla Airlines are offering aviation services from Saidpur to Dhaka, Chittagong and Cox’s Bazar to make it one of the busiest airports of the country.   Since 2018 after the announcement of Sheikh Hasina the Ministry of Civil Aviation and Tourism has initiated the expansion work of the Saidpur airport. For the complete implementation of this project 912.90 acres of land is needed to be acquired and about 5000 Taka crores will be required. The Nilphamari district administration will acquire 535 acres and Dinajpur administration will 317 acres of land. The process of proposed land acquisition is nearly complete.   Under the expansion and allied modernisation project of the Saidpur airport a new terminal complex, parking space for two aircrafts are going on in full swing. The construction of new taxiway, apron, cargo terminal building, air control tower, power house, pump house, fire station, administrative building, VIP and VVIO lounges, radar station are included under the project.   Except these, the construction of park parking space, approach road, peripheral patrol road, overhead water tank, etc. are also included in the expansion and modernisation plan.   The present 6000 metres of runway will be extended to 12000 metres to make the basic airport infrastructure eligible for a standard international airport. After the completion of the expansion-cum-modernisation plan Saidpur will be the fifth international airport in Bangladesh and one of the foremost regional hubs of air connectivity.   The geographical location of Saidpur airport makes it proximate to Nepal, Bhutan and northeast India including Siliguri corridor. In this backdrop both Nepal and Bhutan have expressed their sincere intent to use and utilise the aviation facilities of Saidpur.   In February 2020 bilateral meeting of foreign ministers of Nepal and Bangladesh, held in Meghna State Guest House in Dhaka the landlocked Himalayan nation proposed to use the Saidpur airport which is not very far from it and the Bagdogra airport is 160 kms away from the earlier. Again in third Foreign Office Consultation between Nepal and Bangladesh on bilateral issues the earlier country requested to allow Saidpur airport to be used for civilian purposes.   Similarly in September 2022 Bhutanese authorities have also proposed to the Bangladeshi counterparts to allow them to use Saidpur airport in order to increase regional trade and travel. The use of Saidpur airport along with Banglabandha and Burimari land ports by Bhutan is part of Bhutan-Bangladesh Transit Agreement which had been finalised at that time also. …

The Amplitude of Saidpur Airport Read More »

Bangladesh in the age of Hydrogen fuel

Drona Bandyopadhyay Hydrogen is the fuel of the future. The 21st century looks forward to utilise this abundantly available chemical element of the Earth. The hydrogen is found everywhere from the Earth to Sun. The hydrogen fuel which is generated through several chemical processes is non-toxic and clean in its essential features. It is also highly environment friendly and sustainable energy resource. The usage of  diatomic hydrogen fuel, though highly combustible, is a renewable kind of energy which can be produced from various sources of nature including water, biomass and sunlight. The hydrogen fuel can ensure the decarbonisation through the transition from expensive oil, gas and polluting coal to clean and green energy. The hydrogen is not only a fuel but also an energy carrier. It can be used to store, move and deliver energy from other sources. Not only from renewable sources the but also from fossils the energy can be stored in the form of hydrogen and later it can be used by converting it into fuel. The main sources of hydrogen fuel are water including household water, waste water, recycled water and even sea water and biomass like plants and agricultural products, solid waste, landfill gas and alcohol fuels. Solar energy is another source of hydrogen. 8Bangladesh is the land of water and waterborne. There are innumerable rivers, rivulets, rills, lakes and ponds. It is also primarily an agricultural country with a heavy monsoon and lush greenery. This is why biomass is readily available throughout Bangladesh. There is no of dearth of water and biomass in this deltaic geography of Bangladesh. This country can be an ideal one for producing hydrogen fuel in near future.  Within few decades Bangladesh can emerge as a hub of production and export of hydrogen due to its congenial geographical environment. Bangladesh has taken an important step to build its own hydrogen fuel infrastructure as the country has to meet the immense challenges of Climate Change without hampering the elephantine task of achieving economic development in this fiercely competitive world. The hydrogen fuel production and usage will also led to diversification of energy resources in the economy. The Ministry of Science and Technology of the Govt. of Bangladesh is implementing a pilot project through BCSUR( Bangladesh Council of Scientific and Industrial Research).The Chittagong Centre of BCSIR has established a Hydrogen Energy Laboratory and Processing Plant in its premises in 2021. The Ministry of Science and Technology has allocated 54 crore Taka for the realisation of the entire project which also includes a fuel charging station. The project was inaugurated on 20th January 2021 while the decision to establish such kind of a laboratory and production plant in 2017 and the project work started in on October 2018. The catastrophic advent of Covid pandemic had delayed the completion of this cherished project. The Hydrogen Energy Laboratory has been established to initiate research activities on the optimum usage of hydrogen as the fuel of the coming decades. This laboratory will conduct research on it. It will also ensure quality control and provide technological services in the arena of hydrogen fuel in such a manner where it will act as a national level centre of research and reference. This Hydrogen Energy Laboratory is first of its kind in Bangladesh and in future it will be the pivot of Hydrogen related research and development in the country. This laboratory will play a key role in large scale industrial and commercial production of hydrogen gas in future. In the Chittagong campus of BCSIR a Hydrogen fuel production plant has also been established. It will produce hydrogen fuel from two different sources which are biomass and water. As there are provision for producing the particular fuel from two sources, two separate production units have been established. The biomass based production unit will produce hydrogen  fuel through the process of gasification while the water based one will produce through the electrolysis of water. The biomass unit will produce 1.5 kgs of hydrogen fuel and the water one will 5.8 kgs in present scale. In coming years the combined production capacity can be increased to 29 kg if both the units work round the clock. The BCSIR authorities will also conduct training workshops for preparing skilled manpower in the emerging hydrogen fuel sector. The hydrogen  fuel is also economic in financial terms. To produce 1 kg of hydrogen 9 litres of water are required and it costs 850 taka while 0.87 kg of hydrogen can be produced from 20 kg of biomass and it will cost 900 taka. The fuel value of hydrogen is 120-142 MJ/kg which is three times greater than the traditional fuels like petrol, diesel, LPG ,natural gas and coal and also cleaner than the latter ones. A car can run 100.13 kms using 1 kg of hydrogen fuel and 16 kms using 1litre of petrol . In this sense hydrigen is highly economic mode of energy. Moreover 1kg of hydrogen provides 33.33 Kwh ( Kilowatt-hour) of energy but corresponding amount of petrol or natural gas provides 12Kwh or 14.7 Kwh, rrespectively. The hydrogen fuel is becoming popular all over the world as a cheaper and sustainable form of energy. It is estimated that the total market value of hydrogen fuel will be 600 US dollars by 2050. All the developed countries have made plans to generate maximum fuel from hydrogen by 2030 including Japan and South Korea. UK has set a target to produce 5GW of hydrogen energy by 2030. India and China are also not lagging behind. Both the giant economies are making vast strides in hydrogen sector. The Govt. of India has approved the National Green Hydrogen Mission on 4th January 2023 with an initial outlay of Rs. 19,744 crores  though it was launched by Prime Minister Narendra Modi  on 15th August 2021 commemorating India’s 75th independence celebrations as a derivative of National Hydrogen Policy framed and notified by the Govt. of India in February 2021 for compliance by all the concerned stakeholders.  …

Bangladesh in the age of Hydrogen fuel Read More »

Bangladesh-China India Trade Development

Sankor Sarkar ( Bangladesh) Bangladesh is geographically enclosed by India from three sides. Actually, India is a friendly neighbouring country like Nepal, Bhutan, Mynamar, Sri Lanka. India helped Bangladesh in many ways during the liberation war in 1971. More than 11000 Indian army sacrificed their lives during the freedom struggle of Bangladesh. India provided food, shelter and medical treatment for nearly one crore of refugees  from Bangladesh for a period of  nearly an  year.   This had created a favorable  international opinion for achieving the goal of independent Bangladesh. Later on, Bangladesh emerged as an independent country. Pakistan surrendered to the joint command of  India and Bangladesh. Bangladesh is ever grateful to  India for her liberation. Gradually, India and Bangladesh joined the Regional Cooperation on Trade and Commerce, Communication, Education, Culture, Water sharing, Fuel, Defence, even war against terrorists & separatists also.   Recently, Indian Foreign Secretary Mr. Vinay Kawatra visited Bangladesh in the middle of  February 2023. During his visit, he met Bangladeshi Foreign Secretary Mr.  Masud bin Momen  and talked on bilateral discussion of both the countries.    Bangladesh and India already decided to work through Comprehensive Economic Partnership Agreement (CEPA) for the economic development of both the  countries. Now China also wants to work for all out economic development as a partnership with Bangladesh.  The concerned departments of both the countries have started to  work primarily. Even the concerned officers of both the  countries are working now to prepare a structural frame of the agreement.  An officer of Bangladesh Commerce Ministry says that India and China  are the biggest Partners of our Trade Commerce and Development Project.  Bangladesh decided  for CEPA agreement with India.  On the other hand, Bangladesh is also positive with China regarding CEPA. Not only that being a developing country after 2026 Bangladesh will not get its existing world marketing facilities. For that reason, Bangladesh is thinking for various types of Commercial Agreements like PTA, FTA, CEPA ctc by the instruction of topmost authority of Bangladesh Government and accordingly concerned Ministries of Bangladesh. Regarding CEPA, concerned sources says, China has been  knocking Bangladesh again and again to start discussion formally and Chinese High Commissioner to Bangladesh Mr. Yao Uean has discussed with Bangladeshi Commerce Minister Mr. Tipu Munshi on 2nd  February 2023. Perhaps, Bangladesh and China will arrange a bilateral discussion regarding CEPA  during coming  March 2023. Though China gave tax concessions  to Bangladesh but Bangladesh has not yet been  able to increase export to China. Bangladesh and China both countries are the member of Asia Pacific Trade Agreement(APTA). As a member of APTA, Bangladesh has been getting duty-free facility in Chinese local market for 83 items and  under WTO agreement Bangladesh has been gaining  more than 5000 items duty free facility in Chinese market. Besides, China has increased export business in Bangladesh and on the other hand, Bangladesh could not increase export business to China. As a result, day by day, trade and commerce value difference is increasing between Bangladesh and China. In 2021-2022, Bangladeshi export business reduced to 683 million US Dollar. On the other hand, China has increased export business to Bangladesh up to 26253 million US Dollar. The difference of business between the  two countries is 25569 million US Dollar. At last,  it is seen that 13 percent  Bangladeshi goods export reduced to Chinese  market though China has given 98% duty free for Bangladeshi goods. Not only that Export Import Trade business difference between Bangladesh with the biggest business partner China increasing geometrically day by day. In this circumstances, Bangladesh is very anxious to this type of export import trade difference between the two countries. For this reason, Bangladesh is planning to take steps for check and control. Recently, Bangladesh Foreign Minister Mr. Abdul Momen met new Chinese Foreign Minister Mr. S Gang at the Hazrat Shahjalal  International Airport on his way to Africa visit. Mr Momen said to Chinese Foreign Minister that China had agreed and gave commitment to enter Bangladeshi goods into Chinese market as duty free. But Bangladeshi Exporters are not getting that facility, regarding this matter he requested the Chinese Foreign Minister to solve that problem. On 2nd February 2023, when the Chinese High Commissioner met Bangladeshi Commerce Minister Mr. Tipu Munshi said the matter in same voice. He requested to the Chinese High Commissioner as  Export Import trade difference is very big  so he requested the Chinese High Commissioner to give duty free market for Bangladeshi products in Chinese Market and he also told for Chinese Investment in Bangladesh.   We have come to know from Bangladeshi newspapers that West Bengal merchants from Kolkata want to do business in Bangladesh. In that case not only from Kolkata, but also the businessmen  from other parts of India can think about the matter positively for export import business in Bangladesh like other Indians who have been engaged in business in   Middle East, Hong Kong, Singapore and all over the world.

একুশের চেতনার অবক্ষয়

Dr. Kakoli Sarkar  ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি বাংলাদেশের শহীদ দিবস, ভারতবর্ষে তথা সমগ্র বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুল, কলেজে, এমনকি ক্লাবগুলিতেও উৎসাহ–উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। এ কথা ঠিক যে, উৎসাহ–উদ্দীপনা হবারই কথা কারণ, পশ্চিমবঙ্গের জনগণেরও মাতৃভাষা বাংলা। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারতবর্ষের ত্রিপুরা রাজ্যে, আসামের দক্ষিণাঞ্চলে এবং আন্দামান–নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে অধিকাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু ওইসব অঞ্চলে ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন নিয়ে উৎসাহ–উদ্দীপনা পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় অনেক কম। বিগত ৪/৫ বছর ব্যাপি পশ্চিমবঙ্গে একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন নিয়ে আতিশয্য চোখে পড়ার মতো। আমি একথা বলছি না যে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পশ্চিমবঙ্গে পালন করার প্রয়োজন নেই। আমি জানি বিশ্বের প্রতিটি জাতির মাতৃভাষার মর্যাদা ও স্বাধিকার রক্ষা করার অধিকার আছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে যে বিষয়টি আমি লক্ষ্য করেছি, তা হল– পশ্চিমবঙ্গে ২১ শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতে গিয়ে অনেকেই ভুলে যাচ্ছেন আমরা বাঙালি হলেও ভারতীয়। তাদের কাছে ভারতীয় হয়ে ওঠাটা যেন এক কষ্টকর বিষয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালন করতে গিয়ে তারা বাংলাদেশের অনুকরণে শহীদ দিবস পালন করছেন। বাংলা ভাগ নিয়ে তারা বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করছেন। প্রশ্ন উত্থাপন করাটা দোষের কিছু নয়, কিন্তু কেউ যদি মনে করে আমাদের এক ভাষা তাই আমাদের এক রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়াটা উচিত, তাহলে সেটা নিশ্চয়ই দোষের। বিগত বছরে ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন উপলক্ষে আমি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নিকটবর্তী একটি স্থানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিই। সেখানে কিছু বক্তা যা বললেন তার সারাংশ হল এই, “বাংলা ভাষাকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে তাচ্ছিল্য করা হয় এবং বাঙালীদের হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, সে কারণে আমাদের উচিত হিন্দি ভাষা পরিত্যাগ করা। আমরা কেন হিন্দি শিখবো, ইত্যাদি ইত্যাদি।” আমি সেই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, “আপনি জাতীয় সংহতি নষ্ট করছেন”। আমার বক্তব্য ঠিক এখানে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কেবল বাঙালিই নয়, তারা ভারতীয়ও বটে। তাদের বাঙালিত্ব কেউ কেড়ে নিচ্ছে না। নিজেরা তাদের অন্তরে বাংলা ভাষা তথা মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। তাই বলে জাতীয় সংহতি আপনি নষ্ট করতে পারেন না। মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধার আতিশয্য দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসছে ( বিভিন্ন স্থানে বৃহৎ আকারের শহীদ মিনার তৈরি করার ধুম পড়ে গেছে)। কেউ অবশ্য বলতে পারে, বাংলাদেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিগত মিল আছে, পার্থক্য নেই। কিন্তু তা সঠিক নয়। পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সংস্কৃতিগত কিছু মিল থাকলেও পার্থক্য আছে। সরস্বতী পুজোতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়ানো পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, বাংলাদেশের নয়। সামনে দোল। দোলের আগে বুড়ির ঘর পোড়ানো পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতি, বাংলাদেশের নয়। বর্তমানকালে বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদের প্রসারের ফলে সংস্কৃতিগত অনেক পার্থক্য এসেছে। ১৯৯২–৯৩ সালে আমি বাংলাদেশের রাজবাড়ী সরকারি কলেজে একজন মাত্র মেয়েকে বোরকা পড়ে যেতে দেখেছি, কোন হিজাব পরা মেয়ে দেখিনি। কিন্তু বর্তমানে ঐ কলেজে ৯০% মেয়ে বোরকা অথবা হিজাব পরে কলেজে যায়। বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বহু পরিবর্তন হয়েছে। সেই পরিবর্তনগুলি থেকে আমরা বাঁচতে পেরেছি কি? উত্তর হল, না। কিছুটা পরিবর্তন পশ্চিমবঙ্গেও হয়েছে এবং হচ্ছে। বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদ যেমন নারী সমাজকে প্রায় অবরুদ্ধ করে ফেলেছে, পশ্চিমবঙ্গেও তেমনি নারী সমাজ অবরুদ্ধ হতে শুরু করেছে। বর্তমানকালে বাংলাদেশের পরিচয় দেবার সময় বাংলাদেশের বহু নেতা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ৯০% মুসলমানের দেশ, কিন্তু অন্য ধর্মাবলম্বীরাও সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ৯০% মুসলমানের দেশ বলে কোনো দেশের পরিচয় দেওয়া যায় কি? তারা তো কেউ এই কথা বলে না যে, বাংলাদেশ ৫০% নারীরও দেশ, বহু লোক দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে–বাংলাদেশে এইরকম একটি দেশ। এ কথা ঠিক যে, পশ্চিমবঙ্গের এবং বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান পূর্ব থেকেই হয়ে আসছে। বর্তমানকালে যেটা দেখা যাচ্ছে তা হল আমরা না বুঝেই বাংলাদেশের সংস্কৃতি কেবল নিতে ব্যস্ত। করোনা কালে আমি লক্ষ্য করলাম, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ওয়েবনার গুলি আয়োজন করা হয়েছিল, তার মধ্যে বহু ওয়েবনারে স্পিকার হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যদি প্রশ্ন করি, বাংলাদেশে যে সব ওয়েবনার হয়েছে তার মধ্যে আমরা পশ্চিমবঙ্গের কজন শিক্ষক স্পিকার হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছি? তাহলে তার উত্তর পাওয়া কঠিন। আমাকে খুঁজে দেখতে হবে কজন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। বাংলাদেশের শিল্পী সাহিত্যিক অবশ্যই আমাদের কাছে আদরণীয়। আমরা তাদের আমন্ত্রণ করি এবং করবো। কিন্তু প্রশ্ন হল, তারা আমাদের কতজনকে আমন্ত্রণ করছে। কেবল বাংলাদেশের বইয়ের জন্য পৃথক বইমেলার আয়োজন করা হয়। গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতার কলেজ স্কয়ারে ২ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশের বইমেলা উদযাপিত হলো। সেখানে ৬৮ টি স্টল ছিল, যেখানে বাংলাদেশের ৭৫টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। আমরা সকলে উৎসাহের সঙ্গে বাংলাদেশের বই কিনেছি। এটা অবশ্যই ভালো ব্যাপার। কিন্তু প্রশ্ন হল, বাংলাদেশে কবার ভারতের বইমেলা হয়। ভারতবর্ষে কি বড় চিন্তক নেই, ভালো সাহিত্যিক নেই, নাকি ভালো বই নেই। তবে কেন তারা আমাদের বই কেনার জন্য ডাকে না? এই প্রশ্নগুলি খুব স্বাভাবিক।  ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরব–গাঁথা। সেদিন বাংলাদেশে  (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে) বাঙালিরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। জীবনের বিনিময়ে তারা বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছে। এই ভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ অধিক তাৎপর্যপূর্ণ এই জন্য যে, এই গণআন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এক গণজাগরণ এবং চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। সেই চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনা। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে যখন দেশভাগ হয় তখন পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) যে চেতনা ছিল তা নিশ্চয়ই ধর্মভিত্তিক চেতনা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগের মাসে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবিত পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে উর্দুর পক্ষে দারুণভাবে ওকালতি করেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের সংহতি বজায় রাখার জন্য যেমন হিন্দি ভাষাকে সেই দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেবার বিষয়টি একরকমভাবে চূড়ান্ত হয়ে গেছে, ঠিক তেমনিভাবে প্রস্তাবিত পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার লক্ষ্যে উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিষয়টিও চূড়ান্ত করা অপরিহার্য”।১   সেই তখন থেকেই অর্থাৎ দেশভাগের পূর্ব থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তখন থেকেই বাঙালিরা এর বিরোধিতা করে আসছিল। তবুও দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হলো এবং তারা (বাংলাদেশীরা) ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তানের সাথে ঐক্যবদ্ধ হলেন। কিন্তু দেশভাগের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করতে পারলেন ধর্মীয় চেতনা প্রধান হতে পারে না। ধর্মীয় চেতনার ধাক্কায় তারা নির্যাতিত, নিপীড়িত। তাদের মধ্যে তখন অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ ঘটে। ফলে ভাষা আন্দোলনে তা প্রকট হয়ে ওঠে এবং সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণাও বটে। ১৯৭১ সালে জন্ম নিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের। সেই জন্য বাংলাদেশের কাছে ভাষা আন্দোলনের চেতনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের জনগণ আমাদের মধ্যে এই চেতনার দ্বন্দ্ব কোনদিন ছিল না, থাকার কথা নয়। ভাষা শহীদই যদি মূল আলোচ্য বিষয় হয় তাহলে ১৯৬১ সালে আসাম রাজ্যে যেসব বাঙালি বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিল আমরা পশ্চিমবঙ্গের জনগণ কজন তাদের কথা স্মরণ করি, বর্তমান প্রজন্মে জানেই বা কজন। বাংলাদেশ যদি সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধরে রাখতে পারতো তাহলে পশ্চিমবঙ্গের সাথে সংস্কৃতিগত এত পার্থক্য তৈরি হতো না, আর এই লেখার অবতারণা করারও প্রয়োজন পড়তো না। ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির সাথে ধর্ম সাপেক্ষ সংস্কৃতির পার্থক্য অবশ্যই …

একুশের চেতনার অবক্ষয় Read More »

বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত ও দুর্বলতা

পূর্ণিমা নস্কর পাকিস্তানের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে নানা রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তির প্রসার ও বিকাশ ঘটতে থাকে লক্ষণীয়ভাবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ববঙ্গের পরিসীমায় বাঙালির বিকাশের প্রশ্ন যখন সামনে চলে এলো, তখন এদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের বিকাশে মূল প্রতিবন্ধক হিসাবে দেখা দিল পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি। সে সময় নবপর্যায়ে এদেশে বাঙালি জাতীয়াবাদের উন্মেষের সম্ভাবনা তৈরী হল । সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই ধারার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। শাসকশ্রেণির সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, রবীন্দ্রনাথ বর্জনের সরকারী প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে দেশবাসীর প্রতিরোধের কথা উল্লেখ করা যায় । এ প্রসঙ্গে আরো একটি কথা মনে রাখা দরকার, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও চেতনার ধারা সামনে আনার চেষ্টা হলেও সমস্ত আন্দোলনের গতিপথে দ্বি-জাতিতত্তেবর ব্যাপারটিকে কোন সময়ই সরাসরি আক্রমণ করা হয়নি। এব্যাপারে যা প্রশ্ন তোলা হয়েছে তা সবই হয়েছে পরোক্ষভাবে। দ্বিজাতিতত্তেবর ও পাকিস্তানের গঠন  কাঠামোর কৃত্রিমতর ব্যাপারটি কখনই সামনে তুলে আনা হয়নি। অথচ জাতীয়তাবাদের চেতনার বিকাশে এই বিষয়টির প্রয়োজন ছিল খুবই বেশি।    ভাষা আন্দোলনসহ পাকিস্তানি সরকারের দমন পীড়নের মধ্য দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকশিত হয়েছিল এর প্রভাব রাজনীতিতেও দেখা গেল। ১৯৫৫ সালের ২১ থেকে ২৩শে অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামি মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। পূর্ববঙ্গে বাঙালিদের আশ্বস্ত করার লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালের ৩রা ডিসেম্বর ঢাকায় বাংলা অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই দুইটি ঘটনা থেকে একথা অনুধাবন করতে কষ্ট হয় না যে, সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে ভাষা/জাতি (সম্প্রদায়) ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের যে সূচনা ভাষা  আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল তা রাজনীতি, সমাজ ও শিক্ষাঙ্গনেও দেখা যেতে লাগল। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৫৫ সালের ১৪ই অক্টোবর ‘পূর্ব বাংলার’ নাম পরিবর্তন করে পাকিস্তান সরকার ‘পূর্ব পাকিস্তান’ করে দিল।   পাকিস্তানের পক্ষে জনজাগরণের মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এই সকল ঘটনা মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না, বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের ধারাটি তার সফলতা ও দুর্বলতা দুইয়ের ভিত্তিতে অনুধাবন করতে গেলে এই বিশেষত্বটি উপলব্ধি করতে হবে।   ১৯৪৮ সাল থেকে যে সত্যটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও পরবর্তীকালে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠল, তা হল, পাকিস্তানি শাসনে বাঙালি জাতির স্বাধীন চেতনা বিকাশের পথ মোটেই কুসুমাস্তীর্ন নয়। পাকিস্তানি শাসকদের শাসনের স্বরূপ ছিল ঔপনিবেশিক ধরণের। এদেশ থেকে সম্পদ পাচার, পশ্চাদপদতা অব্যহত রাখা এবং এদেশটাকে নিজেদের বাজার হিসাবে ব্যবহার করা ছাড়াও পাকিস্তানি শাসকশ্রেণি ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আক্রমণ করে এবং জাতীয়তাবাদের বিকাশকে রুদ্ধ করা তাদের  প্রাথমিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। বস্তুত, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ভাষা সংস্কৃতির বিকাশ। এই পর্বের বিকাশকে জাতীয় অধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে সংগ্রাম থেকে বিছিন্ন করে দেখা সম্ভব নয়।   আসলে একুশের সর্বদলীয় ভাষা আন্দোলনে ছিল একাধিক মতাদর্শের সমাহার। তবুও তার মুখ্য চরিত্র ছিল জাতীয়তাবাদ ও প্রগতিশীলতা। এর সুপ্রভাব পড়ে সাহিত্যে, সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে  কিন্তু পাকিস্তানি শাসক চক্রের রক্তচক্ষু ও প্রতিকূলতার পটভুমিতে ১৯৫১ সালে চট্টগ্রামে সহিত্য সম্মেলন উদবোধন করেন বেগম সুফিয়া কামাল। ১৯৫১ এর সাহিত্য সংস্কৃতির সম্মেলনের পর ১৯৫৩ সালে কুমিল্লা এবং ১৯৫৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় সাহিত্য সংস্কৃতির সম্মেলনসমূহ।    একদিকে এই সাহিত্য সংস্কৃতির সম্মেলনসমূহ, অন্যদিকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন হলেও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশের ধারা তেমন গতি সঞ্চার করতে পারেনি। কারণ পূর্ব পাকিস্তানের জনতার মধ্যে দ্বি-জাতিত্তেবর ধারণা মোটেই দুর্বল ছিল না এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যেও দ্বি-জাতিতত্তব বিরোধী তেমন কোন কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়নি। অথচ ব্রিটিশ ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক বা স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালি মসুলমানদের তেমনভাবে যোগদানের নজির পাওয়া যায় না। বাঙালি মুসলমান সমাজে ইসলাম ধর্মের চর্চা গভীরভাবে দেখা না গেলেও বিভিন্ন মাওলানা, মৌলবী ও ইসলামিক সংগঠনগুলি মুসলমানদের মধ্যে ধর্মাচরণ ও ইসলামিক রীতি-নীতির একটি অভ্যাস বা অনুশীলন অব্যাহত রেখেছিল ফলে গভীরভাবে ধর্মচর্চা না করেও বাঙালি মুসলমানরা ইসলামের প্রভাব বলয়ের মধ্যে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। সাধারণ মুসলমান সমাজে ইসালামী সংস্কৃতি ব্যতিরেকে উদার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা খুবই স্বল্প মাত্রায় দেখা যেত। সেকারণে পাকিস্তান আন্দোলনে দ্বি-জাতিতত্তব তাদের উপর সহজেই প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছিল। ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন পরবর্তীতে সারা দেশের আবহে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার ধারা ক্রমে বেগবান হয়ে ওঠে এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের শিক্ষা ক্রমেই পুষ্ট হতে থাকে, কিন্তু দ্বি-জাতিতত্তেবর দ্বারা মুসলমান সমাজ এতটাই প্রভাবিত হয়েছিল যে, বাংলা ভাষার  পরিবর্তে যখন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে প্রস্তাব করা হল, তখন বাঙলি মুসলমানদের গণপরিষদে সকল প্রতিনিধি উর্দুর পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন এই ভেবে যে, উর্দু হল মুসলমানদের ভাষা এবং পাকিস্তান একটি ইসলামিক রাষ্ট্র, আর এই ইসলামকে রক্ষা করতে হলে মুসলমানদের ভাষা উর্দুকেই রাষ্ট্রভাষা করা যথাযথ। তারা মনে করতেন বাংলা ভাষার উপরে হিন্দুদের প্রভাব খুব বেশি; তার শব্দ ভান্ডারের সঙ্গে ইসলাম বা মুসলমানদের খুব একটা ঘনিষ্ট সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দ বাঙালি মুসলমানদের কাছে এই ধারনাই তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিলেন। বাংলাদেশের সমাজেও এই সময়কালে অর্থাৎ ভাষা আন্দোলন কিংবা তার পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানি ইসলামি আদর্শের ভাল রকমেরই প্রভাব ছিল, ফলে উদার বাঙালি চেতনার বিকাশে তেমন কোন সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি ১৯৬৮ সালের আগে পর্যন্ত।   আবার ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন হলেও শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ১৯৬২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পূর্ববঙ্গ তথা পূর্বপাকিস্তানে বাঙালি নেতৃবৃন্দ বারে বারে ক্ষমতায় এলেও তারা শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভেবেছেন বলে মনে হয় না। ঐ সময়কালে তৎকালীন যুক্তফ্রন্ট সরকারের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য বাঙালি নেতৃবৃন্দ নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে যে ধরনের বিবাদে লিপ্ত ছিলেন, সেখানে ভাষা আন্দোলনের স্মারক নির্মাণের তেমন কোন গুরুত্বই ছিল না। তাহলে কি সমাজে ভাষা  আন্দোলনের তেমন প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি ?   অন্যদিকে, উদার বাঙালি চেতনার বিকাশে তেমন কোন সাংস্কৃতিক আন্দোলন ১৯৬৮ সালের আগে পর্যন্ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। কেননা ১৯৬০ এর দশকে বাঙালি সংস্কৃতি জগতের মাইলফলক হিসাবে ‘উদীচী ও ছায়ানট’ নামে দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠন আত্মপ্রকাশ করল। সংস্কৃতিকর্মীরা বিভিন্ন নাটক, দেশপ্রেম মূলক কবিতা, প্রবন্ধ ও সিনেমা তৈরিতে জোরকদমে নেমে পড়লেন। আর এই পর্বেই তৈরি হলো জহির রায়হানের চলচ্চিত্র – ‘জীবন থেকে নেয়া’। উক্ত চলচ্চিত্রে বিধৃত হয়ে ওঠে দেশব্যাপী  আন্দোলন ও সংগ্রামের সংহত ঐক্য এই আন্দোলনগুলি তখনও পর্যন্ত শহরকেন্দ্রিক থাকায় এর সীমাবদ্ধতাও ছিল, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এটাও একটা দুর্বল জায়গা বলা যায় কারণ জাতীয়তাবাদের অন্যতম মূল ভিত্তি হচ্ছে সাংস্কৃতিক চেতনা। সাংস্কৃতিক চেতনার বিকাশ ছাড়া কোন জাতীয়তাবাদের শক্তিশালী ভিত তৈরী হওয়া খুবই কঠিন। আর তা দীর্ঘমেয়াদী হওয়া প্রায় অসম্ভব।   যদিও পরবর্তী সময়ে ছাত্র-যুব সমাজের মুখে মুখে ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার  আমার ঠিকানা” তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ, জয় বাংলা, জয় বাংলা’ প্রভৃতি শ্লোগানের উচ্চারণ হতে দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু তাতে একটি উগ্র জাতীয়তার গন্ধ অনেকে পেলেও ১৯৬৮-৭০ সালে ছাত্র আন্দোলনে এগুলি  ছিল উচ্ছ্বাসভরা শ্লোগান। এই সমস্ত শ্লোগান থেকে একথা বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদের একটি হাওয়া পূর্ব-পাকিস্তানের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছিল।   …

বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত ও দুর্বলতা Read More »

Complexities of Post-Mujib Era as Misunderstood in India.

Bimal Pramanik Director, Centre for Research in Indo-Bangladesh Relations, Kolkata A new politics, a new economics and a new culture, taken together, started unravelling itself in post independent India under the leadership of Nehru as a result of adopted policy of state secularism, which aggravated the confusion of the exuberant and adventurist politics of secularism of the erstwhile radical nationalist and the radical left in India.  Gradually, for the first time, the Hindu refugees were being treated at par with the Muslim infiltrators.  This twin flow at the same time had introduced a new opportunity to show perversely that Bangladesh was as much secular as India.  Politicians, who placed immediate electoral gain above national interest, successfully equated Muslim infiltration with the Hindu refugee flow under the grand title of infinite and indefinite migration of Bangladeshis with nondescript faces through all conceivable manholes in the border region. Growing population pressure and crippling poverty and pauperization of the marginal rural masses in Bangladesh encouraged, if not forced, them to put this agenda of migration as a life and death question, which no force can resist.  In the meantime, the consolidation of Islamic forces was already advanced.  They adopted the agenda of a greater Islamic region as a grand political strategy.  Although it was an emotional issue for Sheikh Mujib, later it became a political and strategic issue with the covert support of Pakistan. There is no state religion in secular India, which is obliged to protect all religions equally, but the State of Bangladesh must preserve religious peace and harmony under the shadow of its state religion, viz. Islam.  The adoption of Islam as the State Religion has utterly demoralized Hindus and has reinforced their already unavoidable compulsion regarding migration to India.  Significantly, a state religion cannot extend the minimum of socio-economic protection even to Muslims, who, instead of being satisfied with living in Islamic Bangladesh, have long been voting with their feet, and continuously leaving for secular India, especially Assam and West Bengal.  Whereas this is a constant tribute to India’s secularism, this is also a threat to India’s socio-economic stability and political security.  Unfortunately, policy makers in India have displayed little alertness in pre-empting or arresting this grave threat. Reality of Independent Bangladesh: The minority community in Bangladesh participated in the war of liberation with the expectation that in the newly liberated country they would enjoy equal status and rights along with the majority community. But, in practice, the persecution of the minorities continued even after independence.  The forms of oppression of the religious minorities in Bangladesh are manifold.  Constitutionally, they have been downgraded; economically, they have been crippled through different discriminatory laws and practices; politically, they have been segregated and alienated from the mainstream; culturally and socially, they are insecure and overwhelmingly dominated.  They are totally deprived of the privileges of participation in the top positions of the government, and nationally they are used as subjects tortured through communal violence organised by the government for counteracting political unrest against the ruling party.  Because of the discriminatory policies, combined with land grabbing, looting, arson, rape, murder and attack on religious institutions and populations with the collusion, if not instigation, of the government or semi-government agencies, there has been a continuous exodus of the minorities from Bangladesh. From the very beginning since the liberation of 1971, Hindus who had earlier gone to India as war refugees and returned to independent Bangladesh, again started migrating from the newly independent country to India, because they failed to retrieve their property and enjoy social security.  Bengali nationalism was eroding fast, and anti-India sentiment was growing rapidly.  After the assassination of Sheikh Mujib (President of Bangladesh) in 1975, the relevance of the very idea of non-communal Bangladesh borne out of liberation war of 1971 was lost, and Bangladesh became a state tilting towards Islamization.  All these show that the emergent idea of secular Bangladesh, partially apparent in 1971, was not only missing but was probably mistaken.  Mujib’s case of fighting against Pakistan had finally given way to a Bangladesh which never denied its Islamic character.  On the surface, while Hindus imagined a new secular-democratic prospect, Muslims suffered from a bankruptcy of leadership, which threw them eventually into the clutches of Mustaq Ahmed, Ziaur Rahman and similar others after Mujib’s death.  It was a pity that Bangladesh soon came out as a new country and a state with an overt Islamic identity. Leaders of the Muslim society, at every level, are trying to organize and consolidate Muslim masses on the basis of religion and madrassa teachings.  The moderate views of a small section of the liberal minded urban middle class in the society society are gradually being replaced by the stronger radical trends.  As a result, the differences with the other religious and cultural communities and sects have become wider.  Now Bangladesh has become the epicentre for propagating and promoting ultra-Islamic fundamentalism and terrorism in eastern and northeastern India which has a sizeable Muslim population.

Lalmonirhat Airport: Derelict Past to Beaming Future

Drona Bandyopadhyay The very name ‘Lalmonirhat’ is quite curiously riveting name of a place or district. There are several historical explanations behind the origination of this particular queer nomenclature. One common thing among all the available explanations is popular commissioning of ‘Lalmonirhat’ is relatively not very ancient. I have first come to know about Lalmonirhat in my early adoloscence while reading a short story called ‘Bhondul Mamar Bari’ written by celebrated Bengali litterateur Bibhutibhushan Bandyopadhyay.  Since then Lalmonirhat has occupied a distinct place in my personal horizon of virginal fantasy and academic excitement. In recent years Lalmonirhat has come in news headlines due to its immense potential to emerge as a major aviation centre of not only Bangladesh but also in entire Indian subcontinent. We all know that Lalmonirhat is one of the four northernmost districts of Bangladesh. The other three districts are Panchagarh, Nilphamari and Kurigram. Before 1984 when nation-wide administrative decentralization was executed, Lalmonirhat was part of greater Rangpur district. Lalmonirhat is famous for its large aerodrome. It was built in 1931 as a military airbase. During the Second World War (1939-1945) the Allied Forces used it as a forward airbase for its operations in Burma (now Myanmar) and other countries of southeast Asia. Presently Lalmonirhat aerodrome is under the possession of Bangladesh Air Force (BAF). The BAF has an active Care and Maintenance Unit in its premises for many years. The airstrip of Lalmonirhat has 1,166 acres of land in its official possession and 4 kms long runway, huge tarmac, hanger and taxiway. Due to its huge land possession and exceptionally long landing strip Lalmonirhat airbase is the largest aerodrome in the Indian subcontinent and second largest in Asia. During the Pakistan period the Pakistan Civil Aviation Authority started flight operations in 1958 but due to lack of response from the adjoining region and relative backwardness of the same air services were stopped within few years. After the independence of Bangladesh in 1971, the newly formed Bangladesh Air Force decided to establish the Headquarters of it at Lalmonirhat airport. But it could not be materialized. Some of the political analysts in Bangladesh opine that the Govt. of India opposed the plan strongly and under Indian pressure nascent Bangladesh succumbed and abandoned the decision completely and as an alternative the Govt. of Bangladesh chose the Dhaka cantonment at Kurmitola as Headquarters of BAF along with that of Army. The rationale provided by those political analysts who hold this view is close geographical proximity of the Lalmonirhat airport to Indo-Bangladesh border and unavoidable usage of Indian airspace while landing and takeoff of aircrafts at this airport. Even without accepting the afore-mentioned role of India in abandonment of Lalmonirhat airbase by Bangladesh authorities since 1972 it can be construed that the very location of Lalmonirhat airstrip is extremely significant and sensitive from geo-strategic point of view. Hence it has a huge strategic importance in the entire subcontinent. The Lalmonirhat airport having geographical location of 25⁰ 53’ 15’’ North and 89⁰ 25’ 59’’ East, LLJ as Airport Code and VGLM as ICAO (International Civil Aviation Organisation) designation, has emerged as a critical fulcrum of trans-national hub of air connectivity. It is utterly regretful to keep Lalmonirhat airport unused and unutilized for more than seven decades. To be particular, after the end of Second World War in August 1945 the airport has been lying inactiveexcept for a short span of time from late 1950s to early 1960s. In the line of idle chronology the BAF has established an agricultural farm and cattle-breeding farm in 1983 in the abandoned land of the airport. But it cannot be a prudent alternative to proper utilization of untapped potentials of an airfield whose nearest Bangladeshi counterpart is located 54kms away at Saidpur and nearest Indian one is located 49kms away at Cooch Behar. In the recent decadesthe Lalmonirhat district and its adjoining areas have emerged as a developing economic hinterland of this airport. The commercial cultivation of tea, orange and dragon fruits has become lucrative and the bulk of production are exported abroad. In 1990 the BSCIC (Bangladesh Small and Cottage Industries Corporation) has established an industrial estate on 15 acres of land in which 36 factories have been started of which 11 remain functioning. Flour, wooden furniture, cotton textile, processed polymer are produced from these production units. The establishment of this small industrial estate is a remarkable step in fomenting industrialization in northern Bangladesh, popularly known as North Bengal. In 2001the BEPZA (Bangladesh Export Processing Zone Authority) has established an export processing zone (EPZ) in Sangloshi of Nilphamari district. It is known as ‘Uttara EPZ’ and located only about 80 kms away from Lalmonirhat airport. The Uttara EPZ has 213.66 acres of allotted land in which 180 industrial plots are demarcated for private industrial production. At present 138 plots have been developed. This Uttara EPZ is another notable project to encourage export-oriented industrial growth and employment in North Bengal. In this positive atmosphere of economic development the Lalmonirhat chapter of FBCCI (Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industries) has seriously called for reopening and reoperationalisation of unutlised Lalmonirhat airport to encourage regional commerce and connectivity. Bhutan has also expressed its willingness to use the Lalmonirhat airport for passenger and cargo services. But there are some trans-border complexities over the usage of airspace. The Indo-Bangla border land ports like Banglabandha, Burimari, Sonahat, etc. are well connected with Lalmonirhat airport. Hence the Indian business entities can also use this airport for trans-national trade and commerce as Bagdogra and Guwahati airports are over-utilised, Cooch Behar airport has no determined prospect and Rupsi airport in Kokrajhar district of Assam has limited facilities. Moreover Bangladesh has a great strategic location. It bridges between Indian subcontinent and southeast Asia. The country can also become a hub of international air connectivity. The present world is experiencing steady expansion of aviation services. It is a global trend nowadays. The Asia-Pacific region is expected to become the largest air-travel market in the …

Lalmonirhat Airport: Derelict Past to Beaming Future Read More »

বাংলাদেশে পাঠক্রম নির্ধারণে নীতিহীনতা

Dr. Kakoli Sarkar যে কোন দেশের মনোজগতে আধিপত্য বিস্তার করার সর্বোৎকৃষ্ট কৌশল হল তার শিক্ষা জগৎ দখল করা। সেই কারণে স্কুল-কলেজের পাঠক্রম তৈরি করার বিষয়টি অতি স্পর্শকাতর একটি বিষয়  রুপে বিবেচনা করা হয়। আমরা দেখি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে রাষ্ট্রগত আদর্শকে সামনে রেখে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের দ্বারা পাঠক্রম তৈরি করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই বিষয়টি অত্যন্ত বিশৃংখল ভাবে ঘটে থাকে। বিশৃংখল বলছি এই কারণে যে, সেখানে যে রাজনৈতিক দল যখন ক্ষমতা দখল করে তখন তারা তাদের মতো করে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন সাধন করে। তাদের জাতিগত আদর্শ কিছু মাত্র উপলব্ধি হয় না। এখানে আমি পাকিস্তানের কথা বলতে পারি। পাকিস্তানে শিক্ষার ক্ষেত্রে নির্লজ্জভাবে ইসলামিকরণ করা হয় এবং ভারতবিদ্বেষ ছড়ানো হয়। আমার মনে হয় সেক্ষেত্রে তবুও একটা অবস্থান পরিষ্কার আছে যে, পাকিস্তানের শিক্ষানীতির মূলে হল ইসলামী চেতনা এবং সেটা তাদের স্বাধীনতার চেতনাও বটে। সে কারণে তারা সেটা প্রকাশ্যেই করে। তার ফলও অবশ্য তারা পাচ্ছে এবং পাবে। যেমন আমরা দেখেছি পেশোয়ারের সামরিক স্কুলে জঙ্গিদের বোমা হামলায় শতাধিক মৃত্যু এবং এইরকম বহু ঘটনা। এখানে পাকিস্তান আমার আলোচ্য নয়। বাংলাদেশে বিষয়টি কিন্তু তেমন নয়। বাংলাদেশে পাঠক্রম তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যার বিষয় হলো তাদের জাতিগত চেতনা। তারা যদি তাদের স্বাধীনতার চেতনাকে সামনে রাখে তাহলে বাঙালি জাতীয়তাবাদকে প্রাধান্য দিতে হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালীন তাদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানের বর্বরচিত অত্যাচারের কথা বলতে হয়। স্বাধীনতার ইতিহাস বলতে গেলে ৩০ লক্ষ শহীদের কথা বলতে হবে, অসংখ্য নারী ধর্ষণের কথা বলতে হবে। আর এই সবই করেছিল তাদের একই ধর্মাবলম্বী পশ্চিম পাকিস্তান। যখন ধর্মভিত্তিক ইসলামিক দল বা পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দল ক্ষমতা দখল করে তখন তাদের বড় সমস্যা হয় স্বাধীনতার ইতিহাস বিষয়টিকে ঘিরে। কিন্তু বাংলাদেশ কখন স্বাধীন হলো, কেন এবং কিভাবে স্বাধীন হলো সে ইতিহাস তো বলতেই হবে। এদিকে আবার পাকসেনার বর্বরোচিত অত্যাচারের কথা বলা যাবে না, ভারতের সাহায্যের কথা বলা যাবে না। ভারতের সাহায্যের কথা তারা নাই বলতে পারে, কিন্তু প্রশ্ন ওঠে পাক সেনার আত্মসমর্পণের বিষয়টিকে নিয়ে। পাক সেনা কখন, কার কাছে আত্মসমর্পণ করল অর্থাৎ কখন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেল?– এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে তো ভারতের সাহায্যের কথা বলতেই হবে, কিন্তু বাংলাদেশের ইসলাম পন্থী দলগুলির ঘোষিত নীতি হলো ভারত ও হিন্দু বিদ্বেষ। তাদের কাছে বাঙালি জাতীয়তার থেকে বড় আদর্শ ইসলামী চেতনা। সেই কারণে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করতে গিয়ে তারা জটিল সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর সেজন্য তারা সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে তা করতেও পারে না। সত্যকে চাপা দেবার অপচেষ্টা করতে গিয়ে পাঠ্যপুস্তকে বিভিন্ন জায়গাতে জগাখিচুড়ি একটা কিছু তৈরি করে।           আমার স্কুল জীবনের একটা অংশ কেটেছে বাংলাদেশে সামরিক শাসকের সময়ে। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এবং হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশে পাকিস্তানি মডেল অনুসরণ করেছিলেন। আমি ছোটবেলায় বইতে পড়েছি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান। তিনি ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আমাদের বইতে শেখ মুজিবের কোন ছবি এবং নাম ছিল না। বাস্তবতা এবং পাঠ্যবই এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান না করার জন্য আমার মত ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বিভ্রান্ত হয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে হিন্দু লেখকদের লেখা পাঠ্য বই থেকে বাদ পড়তে থাকে। বাংলাদেশের নবম শ্রেণী থেকে মানবিক, বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখাতে ভাগ করে দেওয়া হয়। আবশ্যিক বিষয়গুলির মধ্যে আমার সময় (১৯৯০–৯২) ছিল বাংলা ২০০ নম্বরের, ইংরেজি ২০০ নম্বরের, সাধারণ গণিত ১০০ নম্বর, ভূগোল ১00 নম্বর এবং ধর্ম শিক্ষা ১০০ নম্বরের। বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য বিভাগে বিশেষ সমস্যা ছিল না, সমস্যা হতো মানবিক শাখাতে। মানবিক শাখাতে ইতিহাসের বদলে পড়ানো হতো ইসলামের ইতিহাস। তখন একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণী কলেজে পড়ানো হতো। আমাদের রাজবাড়ি সরকারি কলেজে ইতিহাস পড়ানো হতো না, তার বদলে ইসলামের ইতিহাস পড়ানো হতো, যার ১০০ নম্বর আরবের ইতিহাস এবং আর ১00 নম্বর বাংলায় মুসলমানদের  ইতিহাস। স্কুলে আবশ্যিক বিষয়গুলির মধ্যে মুসলমানরা পড়তো ইসলাম ধর্ম শিক্ষা আর আমরা হিন্দুরা পড়তাম হিন্দু ধর্ম শিক্ষা। সম্ভবত ১৯৮৯ সালে আমার বোনের হিন্দুধর্ম শিক্ষা বইটির রানিং টাইটেলে লেখা ছিল মালায়ন ধর্ম শিক্ষা, অবশ্যই তা ছাপার অক্ষরে লেখা ছিল। এর থেকে অনুমান করা যায় বাংলাদেশে পাঠ্য পুস্তক নির্মাণে সমস্যা কোন স্তরে পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশে সব থেকে বড় সমস্যা ইতিহাস পড়ানো নিয়ে। কারণ ইতিহাস পড়লে সত্য জানতে পারবে। আমার স্কুল জীবনে দেখেছি অধিকাংশ স্কুল-কলেজে ইতিহাসের বদলে ইসলামের ইতিহাস পড়ানো হতো, কেননা সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আসবেনা। আমি ২০১৬ সালের একটা পরিসংখ্যান দিতে পারি যেখানে ৮ টি জেলার ৩০ টি সরকারি কলেজে ইতিহাস বিভাগ নেই। কোনো সরকারি মাদ্রাসায় ইতিহাস পড়ানো হয় না। বাংলাদেশের ৪৭৫৭ টি বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় ইতিহাস পড়ানো হয় না (অবশ্য মাদ্রাসা শিক্ষা আমি এখানে আলোচনা করছি না) । বাংলাদেশে ১০০–এর উপরে বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইতিহাস বিভাগ আছে, এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা পাঁচ এর বেশি হবে না। এর অর্থ হল এই, শিশু অবস্থা থেকেই জোর দেওয়া হচ্ছে ধর্ম শিক্ষা, ইসলাম শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাসের উপর। সেখানে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ কি করে তৈরি হবে। যদিও বাংলাদেশ তৈরীর ভিত হিসেবে কাজ করেছিল ধর্মনিরপেক্ষতা বা অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ। সেই কারণে আমি প্রথমেই বলেছি বাংলাদেশের স্কুল কলেজে কোন্ আদর্শকে সামনে রেখে পাঠক্রম তৈরি করা হয় তা আমার বোধগম্য হয় না। বলতে বাধা নেই ১৯৭১ সালের পর যে প্রজন্ম বাংলাদেশে গড়ে উঠছে তাদের মনোজগৎ অধিকার করে আছে ধর্ম, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, প্রতিক্রিয়াশীলতা ইত্যাদি।       এবার বাংলাদেশে পাঠ্য বইয়ে যে বিবর্তন হয়েছে সে সম্পর্কে দু একটি তথ্য উপস্থাপন করব। তবে বাংলাদেশে পাঠ্য বইয়ের বিবর্তন কিভাবে হয়েছে সে সম্পর্কে তথ্য পাওয়া খুবই দুরূহ। বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষা ক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল, এ যাবত যে সব বই প্রকাশিত হয়েছে তার সংগ্রহও বোর্ডে নেই। ১৯৮০র দশকে পঞ্চম শ্রেণীর বইতে আমরা পড়েছি ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আমলে ওই মিথ্যা ইতিহাস সংশোধন করা হয়। ১৯৯৬ সালে পঞ্চম শ্রেণীর আমার বই এ “বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল” রচনাটি সংশোধন করে করা হলো এইরকম – “ গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।”      ২০০১ সালে খালেদা– নিজামী সংস্করণে ওই জায়গাতে বলা হলো, “ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ মধ্যরাতে তারা অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল। শুরু হলো হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ।” এখানে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা বাদ।      তৃতীয় শ্রেণীর বইতে একটি রচনা ছিল “ আমাদের জাতীয় পতাকা”। ১৯৯৬ সালে হাসিনা সরকার সেটি সংস্করণ করে এইরকম করলেন, “ ১৯৭০ সালে সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বেশি আসন লাভ করে। কিন্তু জনগণের রায়কে অস্বীকার করে পাকিস্তানের সরকার আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দিল না। বরং বাঙ্গালীদের কঠোরভাবে দমন করার পথ বেছে নিল।       ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকায় পাকিস্তানী সৈন্যরা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন বঙ্গবন্ধু …

বাংলাদেশে পাঠক্রম নির্ধারণে নীতিহীনতা Read More »

বাংলাদেশি সমাজে ইসলামীকরণের প্রারম্ভিক কালপর্ব

পূর্ণিমা নস্কর বাংলাদেশের সমাজে ইসলামের ভিত পাকা করতে বাংলাদেশি সকল শাসকরাই তাঁদের মতো করে উদ্যোগ নিয়েছে। পাকিস্তান আমলের যে অভিজ্ঞতা পূর্ব পাকিস্তানি সমাজের কট্টর ইসলামি নেতৃবৃন্দের সঞ্চয় হয়েছিল – তা ইসলামি সমাজ গড়ার পক্ষে তেমন সহায়ক হয়েছে বলে তাঁরা মনে করতে পারেননি। এবিষয়ে তাঁরা স্পষ্টভাবেই মতামত দিয়েছেন যে, পাকিস্তান ইসলামি রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও পূর্ব  পাকিস্তানে ইসলামের যথাযথ বিকাশ  না হওয়ায় ইসলাম এবং পাকিস্তান বিরোধী নানা আন্দোলন গড়ে উঠতে পেরেছিল। উদাহরণস্বরূপ, ভাষা আন্দোলন, উদার বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার আন্দোলন এবং সর্বোপরি, বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তানের) স্বাধীনতা আন্দোলনের কথা বলা যায়। শেষ পর্যন্ত একটি রক্তক্ষয়ী  যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ড পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের চরিত্র প্রদান করার উদ্যোগ নিল।   আর এই সমস্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই পূর্ব পাকিস্তানের ইসলামি পণ্ডিত, মৌলানা মৌলবিগণ ও তাঁদের বিদেশী মুরুব্বীগ্ণ প্রথম থেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে, বাংলাদেশের সমাজের অন্দরে ইসলামি প্রভাবের একটি বাতাবরণ তৈরি করতে হলে স্থায়ীভাবে এমন একটি ব্যবস্থা প্রবর্তন করা দরকার, যা বাংলাদেশি সমাজকে ইসলামি ধ্যান ধারণায় পুষ্ট করতে পারে এবং এই মনোভাবকে আশ্রয় করেই স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা থেকেই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে গুরুত্ব আরোপ করা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ প্রক্রিয়াকে নির্মূল করে ধর্মভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীলতাকে প্রাতিষ্ঠানিক  রূপ দিতে হলে দেশে একটি শক্তিশালী ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বা সরকারের প্রয়োজন – তাও তাঁরা অনুভব  করেছিল। কিন্তু, তা করার জন্য শুধু সংবিধানে ইসলামিকরণই যথেষ্ট ছিল না; রাজনীতিতে ও সমাজে প্রয়োজন ছিল ধর্মান্ধ মানবসম্পদের  সুনিশ্চিত জোগান। ঠিক এইরূপ একটা পটভূমিতে আমরা বাংলাদেশে মাদ্রাসা ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার শ্রীবৃদ্ধি ও স্বাধীনতা বিরোধী ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলির প্রত্যাবর্তন এবং পুনর্বাসন দেখতে পাই। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মাদ্রাসা শিক্ষা ও ইসলামি মৌলবাদী দলগুলির যুগপৎ শ্রীবৃদ্ধির ঘটনা এদেশের   বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সমাজ-রাজনীতির চরিত্র ও গতিপ্রকৃতি বুঝতে আমাদের অনেকটাই সাহায্য করবে । ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ও  তার কয়েকদিনের মধ্যে শেখ মুজিবসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রধান ভূমিকা গ্রহণকারীদের হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরবর্তীকালে  রাষ্ট্রীয় নীতিতে ইসলামি তথা পাকিস্তানি ভাবধারার স্পষ্ট প্রতিফলন  দেখা যেতে লাগল এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে  তার প্রয়োগও ঘটতে থাকল।  মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিচ্ছিন্ন রেখে যে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রশাসনের ধর্মান্ধ জনশক্তির সরবরাহ ও চলাচল  সুনিশ্চিত  করা যাবে না; তা বুঝতে বাংলাদেশের তদানীন্তন  শাসকদের বিন্দুমাত্র সময় লাগেনি। তাই মাদ্রাসা হতে মূল শিক্ষা ব্যবস্থায় চলাচল সুনিশ্চিত করতে সত্তর দশকের শেষার্ধে মূল ধারার সাথে সাথে মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্য বিষয়াবলীর সংযোগ ও  সমন্বয় এমনভাবে করা হয়; যা কিনা মাদ্রাসায় শিক্ষিত ছাত্রদের সহজেই মূল ধারায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের ইসলামিকরণ রাজনীতির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের পরপরই পাকিস্তানপন্থী ধর্মীয় মৌলবাদী নেতাদেরকে  সমাজে পুনর্বাসিত করার সাথে সাথে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য  দরগা, পীর এবং মাদ্রাসা পরিদর্শনের প্রক্রিয়া, সংবিধান হতে ধর্মনিরপেক্ষতার উচ্ছেদ ঘটানো, সরকারি নীতিমালায় মাদ্রাসা  শিক্ষাখাতে অস্বাভাবিক  ব্যয় বরাদ্দ ও তার পৃষ্ঠপোষকতাদানের ন্যায় ঘটনাবলীর নেপথ্যে ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। ধর্মকে  রাজনৈতিক বর্ম হিসাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে এরশাদ তাঁর পূর্বসূরীদের তুলনায় একধাপ বেশি এগিয়ে ছিলেন। প্রেসিডেন্ট এরশাদের সময়কালে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষাকে সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে মসজিদের ইমামদের বেতন – ভাতা  বৃদ্ধি করা হয়। শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এরশাদকে সভাপতি ও মওলানা আব্দুল মান্নানকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশের শিক্ষক ফেডারেশনের  কলেবর বৃদ্ধি করা হয়।  উল্লেখ্য যে, প্রায় সকল ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলই সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিল । তবে বাংলাদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আমরা জাতীয় পার্টি ও বি. এন. পি.-র কথা জানি, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধীতা না করলেও বা এখনও পর্যন্ত তা করা সম্ভব না হলেও জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি এদের অনীহা প্রকাশিত হয়ে পড়ে।    বাংলাদেশের সমাজে ইসলামি মৌলবাদী শক্তি, ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি এবং মাদ্রাসা শিক্ষার দ্রুত বিকাশের একটি যোগসূত্র  রয়েছে। ১৯৭৫ সালের পরবর্তীকালে জামাতে-ই-ইসলামীসহ অপরাপর ইসলামপন্থী ও দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক শক্তিসমূহ প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক রাজনীতি করার এবং দল গঠন করার সুযোগ লাভ করে । ১৯৭৬ সালের ২৮ শে জুলাই জিয়াউর রহমানের সামরিক প্রশাসন ঘোষিত “রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ বিধি”র মাধ্যমে এরা বাংলাদেশের মাটিতে সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিক বৈধতা পায়। জিয়াউর রহমানের সক্রিয় সহায়তায় এইসব মৌলবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিসমূহ বাংলাদেশের মাটিতে দ্রুত প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়। এপ্রসঙ্গে বলা যায় যে, ১৯৭৯ সালের নির্বাচনের  প্রাক্কালে খুলনায় অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী সেমিনারে তদানিন্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী  লেফটন্যান্ট কর্নেল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নতুন জাতীয় সংসদের প্রথম ও প্রধান করণীয় হবে, কোরান ও সুন্নাহভিত্তিক আইন প্রণয়ন করা ।’ ঐ সেমিনারটির উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশে নিয়োজিত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় যে, ১৯৭৬ সাল হতেই সৌদি আরব, ইরান, লিবিয়া, প্রভৃতি পশ্চিমী অর্থবান ইসলামি রাষ্ট্রসমূহ বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করতে থাকে এবং বিভিন্ন মৌলবাদী কর্মকান্ডে আর্থিক সহায়তাও দিতে  থাকে। আর এইসব মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের থেকে প্রাপ্ত বিপুল আর্থিক সাহায্য মাদ্রাসা শিক্ষাখাতে ব্যয়িত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের সমাজে ইসলামিকরণের ধারাটি দ্রুততার সাথে এগিয়ে যায়। এদেশের ধর্মানুরাগী সামাজিক জনগণ জনপ্রিয় সামাজিক প্রতিষ্ঠানরূপে মসজিদকে অচিরেই গুরুত্ব দিতে থাকে। এর কারণ ১৯৭৯ সালে প্রথমবারের মতো স্বনামে আবির্ভূত হতে পেরেই ‘জামাত’ মসজিদ ও ছাত্রদেরকে তাদের রণকৌশলের মুখ্য ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করে । এমনকি, জামাতের কথা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মসজিদকেই  কর্মতৎপরতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা হয় । নিয়মিতভাবে তাফসীর মাহফিল,  শুক্রবারের নামাজের পর খুৎবার বাংলা তর্জমা, ইসলামি লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা,  ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা এবং ইসলামি দিবসসমূহের উদযাপনার্থে  উক্ত কর্মসূচীর বাস্তবায়নের জন্যই মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা কর্মসূচী সম্পাদন করা হতে থাকে। বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার দ্রুততর বিকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে ইসলামি ছাত্রশিবির এবং ধর্মান্ধ মৌলবাদী দলের প্রসার ঘটে চলেছে। মাদ্রাসা সৃষ্ট বিশাল জনশক্তি ইতিমধ্যেই দেশ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছে ।  উদার  ও শিক্ষিত সমাজে সাম্প্রদায়িকতার  প্রসার ও এর সহনশীলতা এই সকল  কর্মকান্ডেরই ফল একথা এখন  আর অস্বীকার করা যাবে না ।