Center For Research In Indo

বাংলাদেশ ধর্মীয় রাষ্ট্রের পথে অগ্রসরমান –- বর্তমান সরকারের ভূমিকা কি ?

বিমল প্রামাণিক

বর্তমান  বাংলাদেশ সরকার দেশটিকে পুরোপুরি ধর্মীয় রাষ্ট্র (theocratic state) প্রতিষ্ঠাকরণ  প্রতিরোধে কি ভূমিকা রাখছে ?   ১৯৪৭ সালে ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গেই অমুসলমান অধিবাসীবৃন্দ পাকিস্তানে দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিকে পরিণত হয়ে যায় তদুপরি, একের পর এক বৈষম্যমূলক আইন ও অর্ডিন্যান্স জারি করে অমুসলমান অধিবাসীদের পঙ্গু করে ফেলা হয় সরকারি মদতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দ্রুত অমুসলমান বিশেষভাবে হিন্দু সম্প্রদায়কে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয় এর ফলে শাসকশ্রেণীর ছোটবড় মুসলমান নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় সমর্থকগণ হিন্দুদের ফেলে যাওয়া বাড়িঘর, জমিজমা সহ সকল সম্পদ অনায়াসে ভোগ দখল করার সুযোগ পায় বাঙালি মুসলমান নেতৃবর্গের  মনোবাঞ্ছা সহজেই পূরণ হতে থাকে ফলে ধর্মরাষ্ট্র গঠন করার প্রয়োজন অনুভূত হয় নাই কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের স্বার্থের  অনুকুল হল না মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই চুড়ান্ত প্রত্যাঘাতে বাংলাদেশের প্রাণভোমরা শেখ মুজিবসহ মুক্তি সংগ্রামের প্রধান নেতৃবৃন্দের কণ্ঠস্বর চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গেল বাংলাদেশের নতুন শাসককুল পুনরায় ইসলামি পাকিস্তানের পথ বেছে নিতে বিলম্ব করল না সেকারণেই আজকে theocratic stateএর পক্ষে জনসমর্থন ক্রমবর্ধমানএবিষয়ে বিশিষ্ট গবেষক ও অধ্যাপক রণজিত কুমার দে’র মতামত প্রণিধানযোগ্য, “আন্তর্জাতিক ধর্মজোটের নীল নকশা অনুসারে এদেশীয় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাংলাদেশে ‘minority cleansing’  শুরু করে তাদের ভূ-রাজনৈতিক কারণে। তারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা না দিয়েও জনসংখ্যার ব্যাপক  সাম্প্রদায়িকরণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং সংখ্যালঘুদের  নীরবে দেশত্যাগে বাধ্য করতে সফল হয়েছে। তারা চায় এটাকে নিরঙ্কুশ করতে। সাথে সাথে তীব্র প্রতিক্রিয়াশীল  (ইসলামি মৌলবাদী) সরকার ও  সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামেও তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এজাতীয় রাষ্ট্র শুধু সংখ্যাগুরুদের ধর্মরাষ্ট্রই নয় বরং আরও প্রান্তিক পর্যায়ের একটি পরধর্ম বিদ্বেষী রাষ্ট্র। ঘোষণায় না থাকলেও বাংলাদেশকে এরূপ একটি দেশের অবয়বে নিয়ে আসা হয়েছে। ১  

 

বাংলাদেশ সৃষ্টির কালপর্বে ইসলামি রাষ্ট্র পাকিস্তানের অন্তিম সময়ে সাম্প্রদায়িকতার প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত মনে হলেও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের শেষভাগেই দেশের নানাস্থানে শারদীয়া দুর্গাপুজার মণ্ডপ ও প্রতিমা ভাঙচুর বা অপবিত্র করা হয়। এসব ঘটনা ইঙ্গিত দেয় যে সাম্প্রদায়িক শক্তির মৃত্যু ঘটেনি। ১৯৭৫ পরবর্তী কালে দেশে ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলগুলোকে বৈধতা দেওয়ার পর থেকেই সাম্প্রদায়িক ঘটনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে যা দৃশ্যতঃ বিচ্ছিন্ন মনে হলেও সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি যে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় করেছে তা এখন অতীব স্পষ্ট। ১৯৯০, ১৯৯২, ২০০১-২০০৪ সালগুলিতে সহিংস সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলীর মধ্যে এবিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট হয়েছে, এই সকল সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতিকারীদের আসল উদ্দেশ্য কি? এবিষয়ে গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “নির্যাতনকারী এবং নির্যাতন-পরিকল্পনাকারীদের নিকট লক্ষ্য  (immediate objective)  ছিলঃ

১।(ক)সম্পত্তি গ্রাস’ – যেমনটি অতীতে হয়েছে এবং

  (খ) সংখ্যালঘুদের নির্জীব ও নিবীর্য করে দেওয়া, যাতে সংখ্যালঘুরা ভোটদান থেকে শুরু করে জাতীয় জীবনের ব্যাপক কর্মকাণ্ডে কার্যকর কোন ভূমিকা না রাখতে পারে। অর্থাৎ সমাজজীবনে, রাজনৈতিক অঙ্গনে ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংখ্যালঘুদের উপস্থিতি যেন কোন প্রভাব ফেলতে না পারে।

২)  নির্যাতন-পরিকল্পনার অন্য উদ্দেশ্যটি হল, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যত দ্রুত এদেশকে সংখ্যালঘু শূন্য করা যায়।  অর্থাৎ  বাংলাদেশকে একটি ‘একধাতুঘটির’ বা এক  ‘একশ্মিক’ (monometallic or monolithic) ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা। যেখানে কালক্রমে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক-জাতিতাত্ত্বিক  জনগোষ্ঠীর কোন অস্তিত্ব থাকবে না ঠিক যেমনটি আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে ঘটেছিল এবং সাবেক যুগোশ্লাভিয়ার বিভিন্ন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ঘটেছে। এর ফলে দুটি লক্ষ্য অর্জিত হবেঃ

 

(ক) দেশ থেকে চিরতরে ৫৫ বছর স্থায়ী সংখ্যালঘু নামক নিয়ত বিরক্তিকর কণ্ডয়ণী  (irritating and itching) সমস্যাটির চির অবসান।

(খ) দেশটিকে সংখ্যাগুরুর ‘অভিলাষ অনুযায়ী’ ধর্মীয় রাষ্ট্রে (theocratic state) রূপান্তর করতে কোন বাধা থাকবে না।

এই দুটি অর্জনের চেষ্টা করাই ছিল নির্যাতন পরিকল্পনাকারীদের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য (far reaching objective)

বাংলাদেশে কট্টর ইসলামি মৌলবাদের প্রসার রোধে বর্তমান আওয়ামি লিগ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও পদক্ষেপ স্বল্প কথায় বিস্তারিত আলোচনা করার সুযোগ কম, সেকারণে নির্দিষ্ট কালখণ্ডে সংক্ষেপে উপস্থাপনা করার প্রয়াস মাত্র।  হেফাজতের স্কুল পাঠক্রম পরিবর্তনের দাবি মেনে নেওয়ার প্রেক্ষিতে ১লা আগস্ট ২০১৯ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজ্ঞানভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক, জেন্ডার সংবেদনশীল ও মানবিক পাঠ্যসূচী চাই’ শিরোনামে এক আলোচনাসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘যাদের পিছনে বেশি রাজনৈতিক শক্তি কাজ করে, সরকার তাদের কথা আমলে নিতে বাধ্য। সরকার এখন যা করছে, তা কৌশলগত  এবং দীর্ঘ-মেয়াদে গিয়ে এ গোষ্ঠী পরাজিত হবে।

১৩ দফা দাবি নিয়ে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক কয়েকটি সংগঠন ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারি হেফাজতে ইসলাম  গঠন করেহাঠহাজারীর কওমি মাদ্রাসার প্রধান আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে এর সভাপতি করা হয়। একই বছর আওয়ামি লিগ সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করলে হেফাজত তার বিরোধীতা করে। এরপর ২০১১ সালে সরকার নারী উন্নয়ন নীতি ঘোষণা করলে একে ইসলাম বিরোধী আখ্যা দিয়ে মাঠে নামে হেফাজত ইসলাম। আন্দোলনের নামে ২০১৩ সালের ৫ মে তারা ঢাকা শহরে কী ধবংসযজ্ঞ চালিয়েছিল, তাও নিশ্চয়ই  শিক্ষা উপমন্ত্রীর  অজানা নয়। সে সময় আওয়ামি লিগের নেতারা বলেছিলেন, বিএনপি’র মদতে আওয়ামি লিগ সরকারকে উৎখাত করতে হেফাজত ঢাকা শহরে  তাণ্ডব চালিয়েছে। সরকার তখন হেফাজতের মহা সমাবেশে ভীত না হয়ে কঠোর হাতে সেই তাণ্ডব দমনও করেছে। কিন্তু তারপর কি ঘটল ?  দেশবাসী বিস্ময়ের সঙ্গে দেখল, বিএনপি’র মদতপুষ্ট হেফাজত হঠাৎ করে আওয়ামি লিগের মদ পেতে থাকল এবং এখনও পাচ্ছে।’ … বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আওয়ামি লিগ সরকার যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে, তাকে কোনভাবেই সময়োপযোগী, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, কিম্বা বিজ্ঞান মনস্ক বলা যাবে না। বিদ্যালয়ের শিশুকিশোরেরা কি পড়বে কি পড়বে না, সেটি এখন ঠিক করে দিচ্ছে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজত ইসলাম। – হেফাজতের সুপারিশে   মোট ২৯টি বিষয় স্কুল পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করা হয়েছে। ‘স্কুল পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের  নাস্তিক্যবাদ আর হিন্দুত্বের পাঠ দেওয়া হয়ে থাকে’ এধরণের অভিযোগ এনে পাঠ্য বইয়ের ১৭টি লেখা বাদ এবং ১২টি লেখা যুক্ত করতে বলেছিল হেফাজত, বর্তমান সরকার তার সবগুলোই মেনে নিয়েছে।’

 

কোন গণতান্ত্রিক দেশে কি এভাবে পাঠ্যবই অদলবদল হতে পারে? ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের সঙ্গে যেসব শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী যুক্ত ছিলেন, তাঁরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার কি কারণে তাঁদের দাবি উপেক্ষা করেছে এবং হেফাজতের দাবি আমলে নিয়েছে তার একটি ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে শিক্ষা উপমন্ত্রীর বক্তব্যে।

   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট অধ্যাপক আবুল বারকাত বাংলাদেশে ইসলামি মৌলবাদের যে বিশ্লেষণ তাঁর পুস্তকে উপস্থাপন করেছেন তা নিম্নরূপঃ

         “বাংলাদেশে মৌলবাদ সস্প্রসারিত হচ্ছেঃ ধর্মভিত্তিক মৌলবাদ তার নিজস্ব এক অর্থনীতি সৃষ্টি করেছে (যা আমি ২০০৪ সাল থেকে ‘মৌলবাদের অর্থনীতি’ বলে বিশ্লেষণ করে আসছি), মৌলবাদী জঙ্গিরা অনেক মানুষ হত্যা করেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে; মৌলবাদের অর্থনীতির ভিত শক্ত করেছে; আত্মঘাতী নারী জঙ্গিরা  জীবন দিতে কুণ্ঠাবোধ করছে না (শিশুরাও পরিত্রাণ পাচ্ছে না; জঙ্গিদের হাতে খুন হচ্ছেন বিদেশীরাও ( ১লা জুলাই, ২০১৬, হলি আর্টিজেন বেকারি); এখন ১৩৩টি মৌলবাদী জঙ্গি সংগঠন কাজ করছে; ২০১৩ সালের ৫ই মে  হেফাজত ইসলাম যেভাবে ঢাকা শহর দখল করেছিল, তা দেখে জীবন নিয়ে ভীত হননি এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না; হেফাজত ইসলামের দাবি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তিত হচ্ছে – শিক্ষার  ইসলামিকরণের কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে; কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে উচ্চতর ডিগ্রীর সমমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে; দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে বিনির্মিত  গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার দাবি উঠেছে (ইতিমধ্যেই মূর্তিটি  অপসারিত হয়েছে), মোটামুটি নিশ্চিত যে এরপর সবধরনের অসাম্প্রদায়িক ও লোকজ সংস্কৃতি ঐতিহ্য উচ্ছেদে হাত দেওয়া হবে; নারীবিদ্বেষ  এবং গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তি বাড়ছে – এসবের ফলে ত্বরান্বিত হচ্ছে ধর্মভিত্তিক  সাম্প্রদায়িকতা, সঙ্কুচিত হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতার অন্তর্নিহিত শক্তি, ধর্মের নামে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের কাজ দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। 

অধ্যাপক বারকাত বাংলাদেশে ইসলামের পশ্চাৎমুখী রূপান্তরের পাঁচটি বড় ঘটনার উল্লেখ করেছেন, তা হলঃ

১। ১৯৪৭-এ দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি।

২। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে সেনানায়ক জেনারেল জিয়াউর  রহমান      কর্তৃক বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চার স্তম্ভ থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ (Secularism)  স্তম্ভটি সম্পূ্র্ণ উচ্ছেদ এবং  পরবর্তীকালে সেনাশাসনামলেই ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রধর্মহিসেবে সংবিধানে  অন্তর্ভুক্ত করা।  (১৯৭৭এ সেনাশাসক জিয়াউর রহমান কর্তৃক পঞ্চম সংশোধনীর  মাধ্যমে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ – সম্পর্কিত ধারা বাতিল, ১৯৮১-তে সামরিক অভ্যূত্থানের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা দখল এবং ১৯৮৮ তে তারই দ্বারা সংবিধানে “ইসলাম হবে রাষ্ট্রধর্ম সংযোজন) ২০১১ সালে বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ  আদালত ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ধারা পুনর্বহাল করে (তবে জিয়াউর ও জেনারেল এরশাদের বিসমিল্লাহ্‌ হির রাহমানির রহিম সহ রাষ্ট্রধর্ম  ইসলাম বহাল রাখে)।

৩। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক দর্শনভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালন।

৪। ধর্মভিত্তিক  রাজনৈতিক সংগঠন, সংস্থা, সমিতি গঠনের বৈধতা দেওয়া।

৫। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের  শাস্তি না দেওয়া।৬   

উপরোক্ত তথ্যভিত্তিক আলোচনা ও বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ থেকে বর্তমান সরকারের ভূমিকা তুলে ধরার একটা প্রয়াস মাত্র।  দশ বছর পর জামাতে ইসলামী পুনরায় সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে রাজনৈতিক সমাবেশ করল গত ১০ই জুন ২০২৩। বাংলাদেশ কোন পথে অগ্রসর হচ্ছে পাঠককুলই বিবেচনা করবেন।

তথ্যসূত্রঃ

১। বাংলাদেশে চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতনঃ উত্তরণ কোন পথে। নির্যাতিত সংখ্যালঘু বিপন্ন জাতি, চট্টগ্রাম, জানুয়ারি, ২০০২, পৃঃ ১৮৫।

 

২। গণতদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, ঢাকা, ২০০২, পৃষ্ঠাঃ ৫৬।

৩। প্রথম আলো,  ২ আগস্ট, ২০১৯, ঢাকা, বাংলাদেশ।

৪। সোহরাব হাসান, ‘হেফাজতের শক্তি ও সরকারের অসহায়ত্ব’, প্রথম আলো, ২৪.৮.২০১৯, ঢাকা,বাংলাদেশ।

আবুল বারকাত, বাংলাদেশে মৌলবাদ, ঢাকা, ২০১৮, মুক্তবুদ্ধি প্রকাশনা, পৃঃ৩৭-৩৮।

প্রাগুক্ত, পৃঃ৯৭-৯৮। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *